ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১৫ জুলাই ২০১৮

টুকরো খবর

চাঙ্গাভাব শিল্প ধাতুর বাজারে মন্দাভাব কাটিয়ে আবার চাঙ্গা হতে শুরু“করেছে শিল্প ধাতুর বাজার। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের জের ধরে চাহিদা কমার আশঙ্কায় গত বুধবার তামার দাম এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে যায়। তবে পণ্যটির দাম আবার উর্ধমুখী হয়ে ওঠে। লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) তিন মাস মেয়াদী তামার দাম বেড়েছে দশমিক ৮ শতাংশ। এদিন পণ্যটি টনপ্রতি ৬ হাজার ১৯৪ দশমিক ৫০ ডলারে লেনদেন হয়। আগের অধিবেশনে পণ্যটির দাম ৬ হাজার ৮০১ ডলারে নেমে গিয়েছিল, যা গত বছরের ২৫ জুলাইয়ের পর থেকে সর্বনিম্ন দামের রেকর্ড। সাংহাই ফিউচার এক্সচেঞ্জে তামার দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। এ বাজারে প্রতি টন তামা ৪৯ হাজার ইউয়ানে (৭ হাজার ৩৪১ দশমিক ১৫ ডলার) লেনদেন হয়। আগের দিন এ বাজারে পণ্যটির দাম ৪৮ হাজার ৩৯০ ইউয়ানে নেমে যায়, যা এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ব্যবহারিক ধাতুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নিকেলের। লন্ডনে পণ্যটির দাম ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১৪ হাজার ৪১০ ডলারে লেনদেন হয়, যা এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। সাংহাইয়ের নিকেলের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। লন্ডনে গত বৃহস্পতিবার টনপ্রতি এ্যালুমিনিয়াম ২ হাজার ৬২ ডলার, দস্তা ২ হাজার ৫৪৮ ও টিন ১৯ হাজার ৪৩৫ ডলারে লেনদেন হয়েছে। সাংহাইয়ে পণ্যগুলো টনপ্রতি যথাক্রমে ২১ হাজার ১২০ ইউয়ান, ১৯ হাজার ৭০ ইউয়ান ও ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯০ ইউয়ানে লেনদেন হয়। এদিকে তামার দাম নিয়ে আবারও শঙ্কা প্রকাশ করেছে শীর্ষ উৎপাদক চিলি। গত বুধবার দেশটির অর্থনীতি বিষয়কমন্ত্রী জোসে র্যামন ভ্যালেন্তে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক দেশের বাণিজ্য বিরোধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি চাপের মুখে পড়তে পারে। এ কারণে তামার দাম কমে যেতে পারে। তিনি বলেন, তামার দাম কমছে। কারণ ভবিষ্যতে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বর্তমানের চেয়ে কম হতে পারে। এ কারণে তামার ব্যবহারও কমে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, এখন এমন অবস্থা যে, হুমকি ও বাণিজ্য নিয়ে সামান্য লড়াই রীতিমতো বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। বাজার সেদিকে ধাবিত হচ্ছে এবং এটা ভাল নয়। . পেস্তা উৎপাদনে শীর্ষ দেশ ইরান বিশ্বের শীর্ষ পেস্তা বাদাম উৎপাদনকারী দেশ ইরান। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর প্রতিবছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেস্তা রফতানি হয়। সর্বশেষ ইরানী বর্ষে (২০১৭ সালের ২১ মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত) দেশটিতে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টন পেস্তা উৎপাদন হয়েছে। তেহরান চেম্বার অব কমার্স, ইন্ডাস্ট্রিজ, মাইনস এ্যান্ড এগ্রিকালচারের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ফিন্যান্সিয়াল ট্রিবিউন। তেহরান চেম্বার প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২১ মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত ইরানে সব মিলিয়ে ৬ লাখ ৪৯ হাজার টন পেস্তা উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ইরান থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির সম্মিলিত রফতানি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার টনে। এ সময় ভিয়েতনামে ২৫ হাজার টন, হংকংয়ে ১৮ হাজার টন ও জার্মানিতে ১২ হাজার ৮০০ টন পেস্তা রফতানি করেছে ইরান। অর্থনীতি ডেস্ক
×