ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাহিদুর রহমান

পুরুষের দায়ভাগ

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১২ জুলাই ২০১৮

পুরুষের দায়ভাগ

সত্য বলতে এখন নারীরা ঘরে বসে নেই। সেই যুগ আমরা পেরিয়ে এসেছি। এই প্রগতির যুগে নারীরা ঘর গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি দেশ গঠনে অংশীদার হতে আগ্রহী। ছোট পরিসর থেকে বড় পরিসরে সকল ক্ষেত্রেই উদ্যমী নারীদের অবস্থান লক্ষণীয়। নারীরা আজ পুরুষের সঙ্গে সমান তালে তাল মিলিয়ে কর্মক্ষেত্র করে তুলছে প্রাণবন্ত। যারা মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সামনের কাতারে থেকে সাম্যের জয়গানে শামিল হয় তারা নিশ্চয়ই তাদের পরিবারের সঙ্গে একটি অমানবিক কাজ প্রতি নিয়তই করে যাচ্ছি। সেটা হলো আমার স্ত্রী এবং আমি দুজন-ই কর্মস্থলে কাজ করে একসঙ্গে বাসায় ফিরি, বাসায় ফেরার পর আমি চলে যাই ওয়াশরুমে, ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নেই সারা দিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য। অন্যদিকে আমার স্ত্রী সারাদিন অফিসে কাজ করে বাসায় এসে রান্নার কাজে লেগে যায়। এখানে মানবিকতা নিশ্চয়ই ক্ষুণœ। আমি একটা উন্নত দেশের কথা জানি যেখানে পরিবারের দুজনই বাইরে চাকরি করেন। কিন্তু যখন গৃহস্বামী ফিরে আসেন তখন বাড়ির অন্যজন তার কর্মস্থলে ফিরে যান। মজার ব্যাপার হলো কেউ কারও জন্য কাজ ফেলে রাখেন না। গৃহস্বামী যখন বাড়িতে থাকেন তখন বাড়ির রান্নাসহ সব কাজ সেরে রাখেন। ভাগাভাগি করে কাজ করার ফলে কারও বিরুদ্ধে কারও কোন অভিযোগ নেই। স্বস্তিকর হয়ে উঠেছে তাদের সংসার জীবন। যেখানে একজন অন্যজনের জন্য। কাজ যারই হোক সেটা পালাক্রমে দুজন ভাগ করে সম্পন্ন করেন। এখন আসি আমাদের বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায়। আমাদের দেশে নারী মানেই রান্না হতে শুরু করে গৃহস্থালি সকল কাজের দায়িত্ব তার। গৃহস্থালির কাজ শেষ করে বা ম্যানেজ করে কর্মস্থলে যেতে হয়। যার ফলে পরিবারের কলহ-ঝগড়া বাগবিতণ্ডা লেগেই থাকে। আমার সমান অধিকারের কথা বলি কিন্তু নিজ পরিবারে ক্ষেত্রে কেন যে অমান্য করি তা বলা মুশকিল। আসুন আমরা নারী অধিকার মুখে না বলে কাজে প্রমাণ করি। নিজ বাড়ি-নিজ ঘর থেকেই অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করি। কর্মস্থলে যে সমানভাবে কাজ করি অনুরূপভাবে বাড়িতে এসে দুজন মিলেই গৃহস্থালির কাজ করে নিই। কেননা আমি একজন পুরুষ হিসাবে কর্মস্থলে যতটা কাজ করছি তেমনভাবে আমার স্ত্রীও আমার মতো কাজ করছে। সেক্ষেত্রে বলতে গেলে কার্মস্থল থেকে ফিরে আমরা দুজনই ক্লান্ত, বিশ্রামের প্রয়োজন থাকলে দুজনই নেব। গৃহস্থালি কাজের ক্ষেত্রে হাতে হাতে দুজনই করব যাতে করে আমার গৃহকর্ত্রীর কাজে প্রশান্তি আসে। অভিযোগের কোন জায়গা না থাকে। এতে করে পরিবারে শান্তি বিরাজ করবে। যা উন্নত জীবনের একটি শক্তিশালী শর্ত। কাপাসিয়া, গাজীপুর থেকে
×