ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে জমে উঠেছে থান কাপড়ের কেনাবেচা

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৫ মে ২০১৮

চট্টগ্রামে জমে উঠেছে থান কাপড়ের কেনাবেচা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদকে সামনে রেখে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জমে উঠেছে থান কাপড়ের সবচেয়ে বড় পাইকারি বিপণি এলাকা টেরি বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁক-ডাকে মুখর পুরো এলাকা। শুধু বাংলাদেশী নয়। চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজের থান কাপড় পাইকারি দামে বিক্রি হয় এখানে। আর ঈদের আগে পছন্দের কাপড় সেলাই করে নিতে এই বাজারে নারী ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি। ঈদে নিজের পছন্দ করা ডিজাইন ও সেলাই করে ফিটিংস করা কাপড় পড়তে আগ্রহ থাকে সবার। তাই চট্টগ্রামের টেরিবাজারে থান কাপড়ের দোকানে চলছে মহিলাদের আগে ভাগে কাপড় কেনার ধুম। ঈদের আগে টেইলার্সগুলো ব্যস্ত হয়ে গেলে টেইলার মাস্টারকে পাওয়া যায় না। বাজারে আসা বাহারি ডিজাইন আর নক্সায় থ্রি-পিস এবং সালোয়ার কামিজে নামে রঙে আছে নতুনত্ব। এবার ঈদে বাজারে নতুন এসেছে বিনয়, মাইনি, আসিমঝুপা ও গোল আহমেদসহ নানা নামের থান কাপড়। ক্রেতারা জানান, এই বছর কাপড়ের কালেকশন ও কোয়ালিটিও ভাল। তবে, দামটা একটু বেশি। এছাড়াও যেহেতু আমরা থান কাপড় ক্রয় করি। সেই ক্ষেত্রে আমাদের কাপড়গুলো সেলাই করতে হয়। এতে একটু বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। প্রতিদিন বন্দর থেকে ট্রাকে করে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা থান কাপড় আসে এই বাজারে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তাই পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে দম ফেলার ফুরসত নেই বিক্রেতাদের। বিক্রেতারা জানান, আমরা একজনে তিন চারটা ক্রেতাকে ধরতেছি। তারপরও আমাদের হিম শিম খেতে হয়। বিক্রিতে পিছিয়ে নেই পাঞ্জাবি, শার্ট ও প্যান্টের দোকানগুলোও। পুরুষদের প্রথম তালিকায় থাকে পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবির মধ্যে নতুন এসেছে লিলেন ক্লাব, কোট্টা, কাতান ও জামদানি প্রিন্টের কাপড়। শার্টের মধ্যে আছে আজালা, লুটাই আর অরবিন্দ। এছাড়া গ্রাসিম এবং ওসিএম নামে প্যান্টের কাপড় ও এসেছে বাজারে। ক্রেতারা জানান, বছরে একবার ঈদ আসে সেই জন্য মানুষ পাঞ্জাবিটা বেশি ক্রয় করে থাকে। আর এখন কাপড় ক্রয় করলে দর্জির কাছে দেয়া যাবে। এবং ঈদের আগে সহজেই পেয়ে যাব। টেরিবাজারে এবার ১২শ’ থেকে ১৫শ’ কোটি টাকার ব্যবসা করার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই ব্যাপক ক্রেতা সমাগমের বিষয়টি মাথায় রেখে যানজট নিরসনের পাশাপাশি রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
×