ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সুভা

প্রকাশিত: ০৭:৩৩, ১০ মে ২০১৮

সুভা

ঘরে বাইরে ঘরে বাইরে চলচ্চিত্রটি জগৎখ্যাত বাঙালী চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় পরিচালিত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘরে বাইরে উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। ১৯৮৪ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। জনপ্রিয় এ ছবিটিতে অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়, জেনিফার কাপুর ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। ছবির মূল বিষয়বস্তু ছিল নারী মুক্তি। নিখিলেশ ও তার স্ত্রী এবং বন্ধুর মধ্যেকার ত্রিমুখী ভালবাসার গল্প অবলম্বনে নির্মিত ঘরে বাইরে ছবিটি। ১৯৮৪ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাম ডি অর এর জন্য প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে দেখানো হয়। চোখের বালি চোখের বালি উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথের চার নর-নারীর জীবন প্রেম, হিংসা, বিদ্বেস, হতাশা, দ¦ন্দ্ব নিয়ে লেখা। বিনোদিনী, মহেন্দ্র, আশালতা ও বিহারী চরিত্র ফুটে উঠেছে উপন্যাসটিতে। রবীন্দ্রনাথের এ বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে ঋতুপর্ণ ঘোষ ২০০৩ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। বিনোদিনী নামক এক বিধবার মানসিক অবস্থাকে কেন্দ্র করে ছবিটির কাহিনী গড়ে ওঠে। বিনোদনী এমন এক তরুণীর গল্প যা কিনা খুবই দুঃখময় চরিত্র। বিয়ের কিছুদিন পরই বিনোদিনীর স্বামী মারা যায়। এরপরই সে তাঁর গ্রামের বাড়ি ফিরে আসে। এর পরই সে উঠে রাজলক্ষ্মী ও তাঁর ছেলে মহেন্দ্রর এর সঙ্গে। বিনোদিনীর সঙ্গে এক সময় মহেন্দ্রর এর বিয়ের কথা হয়। কিন্তু সে সময় বিয়ের জন্য বিনোদিনী প্রস্তুত না থাকায় বিয়েটি আর হয়নি। এদিকে আবার মহেন্দ্রের বন্ধু বিহারির সঙ্গে বিয়ে হ্ওয়ার কথা ছিল বিনোদনীর বান্ধবী আশালতার। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সে বিয়ে হয় মহেন্দ্রের সঙ্গে। আশালতা ছিলেন ছোট তাই সংসারের প্রতি তাঁর তেমন মন ছিল না। এ নিয়ে নানা ঝঞ্ঝাটে কাটে তাদের সংসার। বিনোদিনীর আগমনে ঘটনা উল্টেÑপাল্টে যায়। মহেন্দ্র এক সময় বুঝতে পারে, তাঁর স্ত্রী আশালতার বান্ধবী বিনোদিনীর সঙ্গেই যেন তার মনের মিল খায়। ঠিক যেন তাঁর মতো করেই ভাবে বিনোদিনী। এসবের ফাঁকে মহেন্দ্র ভালবেসে ফেলে বিনোদিনীকে। এদিকে হিংসার জ¦ালায় জ¦লতে থাকে আশালতা। বিহারী অপমানিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এক সময় বিনোদিনী ও বাড়ি ছেড়ে চলে যান। ভালবাসার এ কাহিনী নিয়েই তৈরি হয় চোখের বালি চলচ্চিত্রটি। ছবিটিতে অভিনয় করেন, ঐশ^রিয়া রায় বচ্চন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রাইমা সেন, টোটা রায় চৌধুরী, লিলি চক্রবর্তীসহ প্রমুখ। নৌকাডুবি নৌকাডুবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিশীল উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। রমেশ, হেমনলিনী, নলীনাক্ষ, কমলা, অন্নদাবাবু চরিত্রে নৌকাডুবি উপন্যাসটি রূপান্তর করেছেন বিশ^কবি রবী ঠাকুর। ২০১১ সালে ঋতুপর্ণ পরিচালিত বাংলা চলচ্চিত্র, রবী ঠাকুরের অনবদ্য উপন্যাস নৌকাডুবি অবলম্বনে মুক্তি পায়। গভীর আবেগ আর সামাজিকতায় পরিপূর্ণ একটি চলচ্চিত্র এটি। ছবিটিতে অভিনয় করেন, যীশু সেনগুপ্ত, রাইমা সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ, রিয়া সেনসহ প্রমুখ। ছবিটি ভারতে মুক্তি পেলেও ছবিটি নির্মাণ করা হয় বাংলা ভাষায়। ১২৬ মিনিটের দৈর্ঘ্য ছবিটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ছবির কাহিনীটি ছিল এমন যে, রমেশ ভালবাসে তার বন্ধুর বোন ব্রাহ্ম তরুণী হেম নলিনীকে। কিন্তু রমেশের বাবার আদেশে তার বিয়ে হয় গ্রামের সাধারণ মেয়ে সুশীলার সঙ্গে। নববধূ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নৌকাডুবি হয়। নৌকাডুবিতে সুশীলার মৃত্যু হয়। নববধূকে নিয়ে নৌকা ডুবিতে রমেশ ঠিকই ভাগ্যের মারপ্যাঁচে বেঁচে যান। এক চরে গিয়ে জ্ঞান ফেরে রমেশের। জ্ঞান ফেরার পর রমেশ এক নববধূকে উদ্ধার করে। নিজের স্ত্রী মনে করে যে নববধূকে ঘরে তুলেন রমেশ সে আসলে রমেশের স্ত্রী নয়। সে নববধূ হলো অন্য এক যুবক নলীনক্ষের স্ত্রী কমলা। রমেশ যখন বোঝে যে সে পরস্ত্রীকে নিয়ে এসেছে সে সময় থেকেই ঝামেলা বাঁধে।
×