ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কার নাট্যদলের ‘বশীকরণ’ নাটকের দুই প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ৮ মে ২০১৮

সংস্কার নাট্যদলের ‘বশীকরণ’ নাটকের দুই প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংস্কার নাট্যদলের পঞ্চম প্রযোজনা ‘বশীকরণ’ নাটকের দুই প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে আগামীকাল ৯ মে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে একটি এবং আগামী ১১ মে ময়মনসিংহ শিল্পকলা একাডেমিতে অনসাম্বল থিয়েটারের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘বশীকরণ’ নাটকের আরও একটি প্রদর্শনী হবে। সংস্কার নাট্যদলের পঞ্চম প্রযোজনা ‘বশীকরণ’ নাটকটির মূল রচনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নবনাটলিপি, নির্দেশনা, মঞ্চ ও সঙ্গীত পরিকল্পনা ড. ইউসুফ হাসান অর্ক। ‘বশীকরণ’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন মনামী ইসলাম কনক, আশিকুর রহমান, বাপ্পী সাইফ, নদী বাপ্পী, পৃথা দে, মফিজুর রহমান শ্রাবণ, সেলিম রেজা স্বপন, ফাতেমা তুজ জোহরা ইভা, সামিয়া সুলতানা, ছালেহ্ আহমেদ মুকুল, সন্তু বৈরাগী, এন ডি চঞ্চল, সুজন কির্ত্তনীয়া, মেহেদী হাসান নিশু, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সাজ্জাদ হাওলাদার, অলি উল্লাহ (আরিয়ান), বশির আহমেদ, মাসুদ কবির ওসুস্মিতা।নাটকের আলোক পরিকল্পনা হাবিব মাসুদ, পোশাক সামিউন জাহান দোলা, কোরিওগ্রাফি আমিনুল আশরাফ, রূপসজ্জা লিপি দে, প্রচার আরিফুল ইসলাম, পোস্টার ও স্মরণিকা ডিজাইন বক্স, মিলানায়তন ব্যবস্থাপনা এস এস শুভ্র ও সাইফুল ইসলাম, প্রপ্স সাজ্জাদ হাওলাদার, সহ মঞ্চ ব্যবস্থাপনা পৃথা দে, মঞ্চ ব্যবস্থাপনা সুজন কির্ত্তনীয়া, সহ প্রযোজনা অধিকর্তা সেলিম রেজা স্বপন, প্রযোজান অধিকর্তা এনডি চঞ্চল। ‘বশীকরণ’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যায় দুই বিপরীতমূখী দর্শনে দীক্ষিত বন্ধু অন্নদা ও আশু। অন্নদা ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণ করায় খানিকটা আধুনিক, পাশ্চাত্য যুক্তিবাদ ও তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্ক। আশু ফিজিক্যাল সাইন্সে এমএ করেও সনাতন ধর্মের সংস্কার ও ভক্তিবাদে বিশ্বাসী। অন্নদার স্ত্রী তাঁর শ্বশুরের গোঁড়ামিতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বামী ছেড়ে গয়া কাশী ঘুরে বশীকরণ মন্ত্রে দীক্ষাদাত্রী মাতাজি সেজে এই শহরে এসেছেন। আরেক বিধাবা মা তাঁর কন্যাকে পাত্রস্থ করার পরিকল্পনা নিয়ে একই শহরে হাজির। ঘটনাক্রমে দুজন যে দুটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছে তা একই মালিকের । মাতাজির আবদারে বাড়িওয়ালা তার জন্য বরাদ্দকৃত ২২ নম্বর বাড়ি থেকে তাঁকে ৪৯ নম্বরে পাঠান। আর ওই বিধবা মাতা ওঠেন ২২ নম্বরে। অন্নদার ৪৯ নম্বরে এক কন্যা দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। আর আশুর যাওয়ার কথা ২২ নম্বরে মন্ত্র দীক্ষা নিতে। বন্ধু যুগলের জানা হলো না যে ভাড়াটে বদল হয়েছে। তাই ভাড়াটে বদল হয়ে যাওয়ার বিভ্রাটে পড়ে দু’জনই। নানা ঝামেলার পর দেখা যায় অন্নদার স্ত্রীই আসলে মাতাজি আর দীক্ষা নিতে গিয়ে দেখা গেল কনেটাকেও আশু’র পছন্দ হয়। এই নিয়ে কারবার। শেষ পর্যন্ত বিপরীত দার্শনিকতার দুই বন্ধুরই বশীকরণ ঘটে। নাটক প্রসঙ্গে নির্দেশক বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাট্যচিন্তা নিয়ে বিদগ্ধ মহলে নানা মত আছে এ কথা সর্বজন বিদিত। কিন্তু এ বিষয়ে কারও দ্বিমত নেই বলেই জানি যে, তাঁর নন্দনতাত্ত্বিক মননে পাশ্চাত্যকে অনুধাবনের পরই প্রাচ্যের পক্ষপাতিত্ব তৈরি হয়েছিল। তাই ব্যঙ্গ কৌতুক নামে অভধা দিয়েও তিনি যে বেশ কিছু নাট্য রচনা করলেন তা ঠিক পশ্চাত্যের ফার্স বা স্যাটায়ারের আদলের মধ্যে আঁটে না।
×