ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বস্ত্র খাতে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ৪ মে ২০১৮

বস্ত্র খাতে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেছেন, পাট দিয়ে শুধু বস্তা উৎপাদন করলে চলবে না, টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতেও পাটের ব্যবহার বাড়াতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ডিসিসিআই এ্যাগ্রোটেক এক্সপো ২০১৮’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ইউএসএআইডি’র এ্যাগ্রিকালচার ভ্যালু চেইনস প্রকল্পের সহযোগিতায় এ্যাগ্রোটেক এক্সপো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আয়োজিত এ মেলা চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কৃষি খাতের পণ্য ও ব্যবহৃত প্রযুক্তির বহুমুখীকরণে এগিয়ে আসার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পাটের ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের এবং বাংলাদেশী বিজ্ঞানী দ্বারা পাটের জেনম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা পাটের স্বত্বাধিকার অর্জন করেছি। তিনি জানান, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে শিল্পায়নের ধারা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আশা করা যায় আগামী ২০ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল কৃষি খাতের অন্যতম স্থান হিসেবে বিবেচিত হবে। ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিল্পনির্ভর অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে কৃষির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি কৃষি খাতের উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম, উন্নত সার ও বীজ প্রদান এবং পণ্যের বহুমুখীকরণে কৃষি ভর্তুকি আরও বৃহত্তর পরিসরে প্রদান করা প্রয়োজন। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং কৃষিজ উৎপাদন সহায়ক উপকরণের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা সম্প্রসারণে এ খাতের উদ্যোক্তাদের এসএমই ফিন্যান্সিং ফান্ডের আওতায় সহজশর্তে এবং জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ডিসিসিআইর সভাপতি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে কৃষি খাতে ১ বিলিয়ন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি সংশ্লিষ্ট চাষী, ব্যবসায়ী, উপকরণ সরবরাহকারী, উদ্যোক্তা, প্রশিক্ষক, গবেষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আরও গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন, ডিসিসিআই উর্ধতন সহসভাপতি কামরুল ইসলাম, রিয়াদ হোসেন, পরিচালক আকবর হাকিম, আন্দালিব হাসান, হোসেন এ সিকদার, হুমায়ুন রশিদ, ইমরান আহমেদ, রাশেদুল আহসান, মামুন আকবর, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, এস এম জিল্লুর রহমান, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, প্রাক্তন সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম, সবুর খান এবং মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির।
×