ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কন্টেনার আটক রেখেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস

সোডি ফাইবার রফতানিকারকরা হয়রানির শিকার

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

সোডি ফাইবার রফতানিকারকরা হয়রানির শিকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত কয়েক মাস ধরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সোডি ফাইবার রফতানিকারকেরা অযথা হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, রফতানিককারকরা যে এইচ এস কোড ব্যবহার করছেন, তা ঠিক নয়। সোডি ফাইবার বা গার্নেটেড স্টক হল গার্মেন্টসের ঝুট কাপড় হতে মেশিনে তৈরি তুলা। জানা গেছে, বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক এসআরও নং ২৬.০২.০০০০.০২৭.২৩.৪৮.৩০.১৪ (অংশ নথি)/৭২ তারিখ ০১.০৭.২০১৪ অনুযায়ী এইচ এস কোড ৫২০২.৯৯.১০ পন্য ঈড়ঃঃড়হ ডধংঃব রফতানিতে ট্যারিফ ভ্যালু প্রতিকেজি ১.৬০ মার্কিন ডলার ধার্য হয় এবং রফতানি শুল্ক আরোপ করা হয়। কিন্তু রিসাইকেল কটন সোডি ফাইবার বা গার্নেটেড স্টক যার এইচ এস কোড ৫২০২.৯১.০০ রফতানিতে কোন ট্যারিফ ভ্যালু অথবা রফতানি শুল্ক নেই। দুটি পণ্যই কটন হলেও ১. কটন ওয়েস্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক তুলার (জধি ঈড়ঃঃড়হ ডধংঃব) ওয়েস্ট। ২. রিসাইকেল কটন সোডি ফাইবার বা গার্নেটেড স্টক হচ্ছে- মেশিনের মাধ্যমে গার্মেন্টস ঝুট থেকে তৈরি তুলা যার এইচ এস কোড ভিন্ন। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট ছোট দুইশতাধিক গার্মেন্টসের ঝুট কাপড় থেকে তুলা (সোডি) তৈরির কারখানা রয়েছে। রফতানি করতে না পারায় একদিকে যেমন তাদের ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে, অন্যদিকে এ শিল্পে নিয়োজিত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশ হারাতে বসেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও রফতানি বাজার। এই বিষয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল এ্যান্ড গার্মেন্টস ওয়েস্ট প্রসেসরস এ্যান্ড এক্সপোর্টারস এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হাফিজুল ইসলাম খান জানান, ক্ষুদ্র খাতের এই অপ্রচলিত শিল্পের পণ্য রফতানিতে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের যেখানে সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা পাওয়ার কথা, সেখানে উল্টো রফতানিতে বাধাসৃষ্টি করা হচ্ছে। কোন কোন রফতানিকারকের পণ্য ল্যাব টেস্ট করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কটন ওয়াস্ট রেজাল্ট পাচ্ছে। কটন ঝুট কাপড় থেকে তৈরি সোডি ফাইবারতো কটনই হবে। কটন জিন্স, কটন গেবাডিন কাপড় বা কটন টি-শার্টের কাপড়ের টুকরো ল্যাব টেস্ট করলে কটন ওয়েস্ট রেজাল্ট তো পাওয়া যাবে। আমরা বিষয়টি রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যানকে অবহিত করে দ্রুত এর সমাধান দাবি করেছি।
×