ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১৫ উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১২ এপ্রিল ২০১৮

১৫ উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের শুভ উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাভুক্ত ভৌগলিক এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ প্রত্যাশী শতভাগ পরিবারের মাঝে বিদ্যুত সুবিধা পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উপজেলাভিত্তিক শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো)। এ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সফলভাবে মার্চ পর্যন্ত দেশের ৪৬০টি উপজেলায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুত সমিতি এলাকায় মোট ৩ লাখ ৮২ হাজার কিমি লাইন ও ৯,৭১০ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ৮৩৪টি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে দেশের ৭৫,৮৯১টি গ্রাম বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ১৩ আগস্ট ২০১৬ সালে ৬টি, ১ মার্চ ২০১৭ সালে ১০টি, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে ১০টি ও ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে ১০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১২ এপ্রিল-২০১৮ তারিখে ১৫ উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যে ১৫ উপজেলা উদ্বোধন করবেন তা হলো ধামরাই-ঢাকা, নিকলী-কিশোরগঞ্জ, রাউজান-চট্টগ্রাম, পীরগঞ্জ-রংপুর, খোকসা-কুষ্টিয়া, দেবহাটা-সাতক্ষীরা, রূপসা, ফুলতলা ও দিঘলিয়া-খুলনা, বাগাতিপাড়া-নাটোর, বেড়া-পাবনা, বিয়ানীবাজার-সিলেট, চুয়াডাঙ্গা সদর-চুয়াডাঙ্গা এবং দিনাজপুর সদর ও বিরামপুর-দিনাজপুর। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন উপজেলার সংখ্যা ৪৬০টি। -বিজ্ঞপ্তি বার্লি চাষে সফলতা নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১১ এপ্রিল ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে বার্লি চাষে সুফল পেয়েছে কৃষকরা। চলতি বছর প্রথমবারের মতো বাউফল উপজেলার কেশবপুর, দাশপাড়া, বগা এবং কাছিপাড়াতে পরীক্ষামূলকভাবে বার্লির কয়েকটি প্রদর্শনী প্লটে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন বলেন, আমরা হেক্টর প্রতি দুই থেকে আড়াই টন পর্যন্ত ফলন পেয়েছি। সাধারণত রবি মৌসুমে আমাদের অঞ্চলে মুগ, বোরো এবং গমের আবাদ অধিক হয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মুগ চাষ এখন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। আবার অন্যদিকে বোরো চাষে সার কীটনাশক এবং পানি সেচের পাশাপাশি পরিচর্যা প্রয়োজন। পক্ষান্তরে গম চাষের প্রধান শত্রু হচ্ছে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ। এসব বিষয় বিবেচনায় বার্লি চাষ হচ্ছে আদর্শ। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের কৃষিকে খাপ খাইয়ে নিতে প্রচলিত কৃষি থেকে কৃষকদের নির্ভরতা কমিয়ে আনার পাশাপাশি বিকল্প ফসল চাষে উদ্বুদ্ধকরণে বার্লিচাষে কৃষকদের সম্পৃক্ত করা গেলে তা উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বলেন, শিশুখাদ্য, স্যুপ এমনকি রোগীর পথ্য হিসেবেও বার্লি খাওয়া হয়ে থাকে। চরাঞ্চলের অনুর্বর জমিতে খুবই স্বল্প খরচে বার্লির আবাদ করা সম্ভব।
×