ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাইবার নিরাপত্তা জরুরী

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১২ এপ্রিল ২০১৮

সাইবার নিরাপত্তা জরুরী

দিন দিন নানা ধরনের প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে, বাড়ছে ব্যবহার কিন্তু কমছে না নারী নির্যাতন। নারী-পুরুষ নির্বিশেকে ফেসবুক আইডি খুলে নানা রকম রোমান্টিক, মজার মজার পোস্ট দিয়ে থাকে। অথচ সাইবার ক্রাইমসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয় মেয়েরা। কিছু দুর্বৃত্ত আছে যারা জনসমাগমের স্থল বা ভিড়ের মধ্যে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটায়। আর নারীদের চলা ফেরার সময় বখাটে ছেলেরা মুঠো ফোনে হঠাৎ এসে ছবি তুলে হেনস্তা করে। যা পরে যৌন হয়রানি হয়ে ওঠে বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবহারকারীদের শতকরা ৭৩ ভাগ নারী অনলাইনে যৌন হয়রানির শিকার হয়। আর ৮৪ ভাগ নারী কোন- না- কোনভাবে যৌন হয়রানির শিকার। দেশে বিভিন্ন প্রান্তে সাইবার ক্রাইমের কারণে মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে আরও অনেক নারী। সমাজে নারীর প্রতি অন্যান্য নির্যাতন যেমন- যৌতুক, অপহরণ, এ্যাসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণসহ আর অনেক নির্যাতনের পাশাপাশি নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে সাইবার ক্রাইম। আর একজন নারীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে অপরাধীরা এ ধরনের ক্রাইম করে থাকে। নারীরা যদি সচেতন থাকে তবে এসব ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে। পাশাপাশি সামাজিক অবক্ষয় ধৈর্যচ্যুতি এ সমস্ত বিষয়গুলো সমাজ থেকে রোধ করতে হবে। সকলকে মনে রাখতে হবে ফেসবুকে চ্যাটিং করার সময়ও সচেতন থাকতে হবে কার সঙ্গে কী চ্যাটিং করছি। কেননা অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আত্মীয় কিংবা পরিচিত কোন ব্যক্তির পরিচয় ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খুলে মেয়েদের ব্ল্যাক-মেইল করার চেষ্টা হয়ে থাকে। দেশে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হলেও পুরুষের মানসিকতার পরিবর্তন ছাড়া এই বিপন্নতা থেকে নারীর সুরক্ষা অসম্ভব বলে মনে করি। সর্বোপরি অবিলম্বে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ ও প্রতিকার কার্যক্রম কার্যকরভাবে পরিচালনার মাধ্যমেই এ জাতীয় অপরাধ রোধ করা সম্ভব হবে। আর যারা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছে সেই কারণগুলোর প্রতি সমাজের অন্য নারীদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। নারীত্বের অবমাননার সঙ্গে মনুষ্যত্বের অবমাননা যারা করছে তাদের শাস্তির দাবি জানাই। নটানপাড়া, রৌমারী থেকে
×