ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

নারীলাঞ্ছনা যেন না ঘটে

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৫ এপ্রিল ২০১৮

নারীলাঞ্ছনা যেন না ঘটে

পহেলা বৈশাখ বলতে বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বা বৈশাখের ১ তারিখকে বোঝানো হয়ে থাকে। এ দিনটি বাংলাদেশে বিশেষ উৎসবের সঙ্গে পালিত হয়। বাঙালীদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসেবে বিবেচিত পহেলা বৈশাখ। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বাংলাদেশের প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বর্ণিল প্রাণের উচ্ছ্বাসে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে গোটা জাতি। নতুন বছরকে বরণ করার জন্য আয়োজন করে নানা ধরনের জমকালো অনুষ্ঠানের। মানুষের মনে নতুন অনুভূতির সঞ্চার হয়। শহর থেকে শুরু করে বিভিন্ন গ্রামে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়ে থাকে। বর্ষবরণের এ উৎসবে কেউ আসে পরিবার পরিজনদের নিয়ে, কেউ আসে যুগলভাবে। আবার অনেকেই আসে দল বেঁধে। যে যেভাবেই আসুক না কেন দেশীয় পোশাক-পরিচ্ছদে সবাই বিশেষ পরিপাটি থাকে। তরুণ-তরুণী এবং শিশুরাসহ সব বয়সের নারী-পুরুষ সাজে রঙিন সাজে। এই আনন্দের সুযোগ নিয়ে কিছু মন্দ চরিত্রের লোক ঘটিয়ে থাকে নানা ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা। যাদের মূল উদ্দেশ্য অনুষ্ঠান উপভোগ নয়, নিজের উদ্দেশ্য সার্থক করা। উদ্দেশ্য সার্থক করার মাঝে চুরি, ছিনতাইয়ের পাশাপাশি নারী লাঞ্ছিত ও উত্ত্যক্ত হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। জাগ্রত চিত্তে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে উদ্যত হতে নির্ভীক পথচলার অঙ্গীকার নির্যাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা অত্যধিক প্রয়োজন। যে সব স্থানে বর্ষবরণ উদ্যাপিত হয় সে সব স্থানে পুলিশের কড়া নজরদারির পাশাপাশি প্রয়োজন নারী-পুরুষের গভীর সচেতনতা। বৈশাখের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যাতে কোন অপ্রত্যাশিত হুমকির আশঙ্কা না থাকে তা বিবেচনায় রাখা বড় একটি দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাপাসিয়া, গাজীপুর থেকে
×