স্টাফ রিপোর্টার ॥ লোহিত সাগরের পাড়ে মিসরের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর অন্যতম ঐতিহাসিক শার্ম আল শেখ শহরে আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ইয়ুথ থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল। পৃথিবীর ৪৫ দেশের নাটক ছাড়াও এ উৎসবে সহস্রাধিক নাট্য ব্যক্তিত্ব, নাট্য নিদের্শক ও অভিনেতারা অংশ নেবেন। ইয়ুথ থিয়েটার ফেস্টিবেলে ‘বিচ থিয়েটার’ থার্ড এডিশনে ১১ দেশের মোট ১৪ নাট্যনিদের্শক অংশ নেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও উপমহাদেশের বহুমাত্রিক নাট্যব্যক্তিত্ব ড. ইসরাফিল শাহীন এই ফেস্টিবেলে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও অংশগ্রহণকারী অন্য দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, মিসর, ফ্রান্স, ইরাক, কানাডা, জার্মানি ও লেবানন। ইয়ুথ থিয়েটার ফেস্টিভ্যালে ‘বিচ থিয়েটার’ থার্ড এডিশনে সমুদ্র সৈকতে উন্মুক্ত স্থানে সপ্তাহব্যাপী কর্মশালা ও সেমিনার পরিচালনা করবেন ড. ইসরাফিল শাহীন। যেখানে ১১ দেশের মোট ১৪ নাট্যনিদের্শক ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত কয়েক শ’ নাট্যব্যক্তিত্ব, নাট্যনিদের্শক, অভিনেতা, নাট্যকর্মী ও নাট্যশিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত এ ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে আগামী ৩০ মার্চ ঢাকা ছাড়বেন ড. শাহীন।
এ প্রসঙ্গে ড. ইসরাফিল শাহীন বলেন, এটি প্রথাগত কোন থিয়েটার নয় বরং একটি নতুন ধারণা। কিছুদিন আগে কক্সবাজারের বিচ থিয়েটার নিয়ে আমার সঙ্গে কাজ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াসিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক ও নির্দেশক ড. ডেরেক গোল্ডম্যান। শার্ম আল শেখে কর্মশালা ও সেমিনারে আমি দেশের বিচ থিয়েটার করার অভিজ্ঞতা যেমন ব্যক্ত করব তেমনি ওখান থেকে অর্জিত বিভিন্ন বিষয় দেশে এসে বিচ থিয়েটারে প্রয়োগ করব। অমাদের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের সমুদ্র তীরবর্তী সৈকতগুলোতে পর্যটনের যে অপার সম্ভবনা আছে তাকে আরও নান্দনিক করতে সেখানে আগত বিভিন্ন দেশের নানান শ্রেণী পেশার মানুষকে বিচ থিয়েটারের মাধ্যমে আনন্দিত-নস্টালজিক করার পাশাপাশি দেশের লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরা। এক্ষেত্রে সাকার্স, এক্রোবেটিকস, ম্যাজিক শো, জাগলারি, বানার নাচ, সাপের খেলাসহ হরেক রকম স্ট্রিট শো এবং গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা, গান, পালা উপস্থাপন করা যেতে পারে। ইতোমধ্যেই দেশের পর্যটন মন্ত্রণালয় ও পর্যটন কর্পোরেশনের সঙ্গে এ বিষয়ে প্রাথমিক কথা হয়েছে। আশা করছি বিচ থিয়েটারের মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্প দেশ-বিদেশের ট্যুরিস্টদের কাছে আরও বেশি সমাদৃত হবে এবং রাষ্ট্র বর্তমান থেকে অনেক বেশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।’
প্রসঙ্গত, চমৎকার সমুদ্র তট, পেছনে রুক্ষ পাহাড়রে সারি-সব মিলিয়ে এক মোহনীয় সুন্দর জায়গা মিসরের অবকাশ কেন্দ্র শার্ম আল শেখ। চারদিকে ক্যাফে, বিচ ক্লাব, হোটেল দেখে সহজেই যে কেউ অনুমান করতে পারবেন এটা পর্যটকদের জন্যই গড়ে তোলা মনোরম এক স্থান।
