ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ‘হাইভোল্টেজ’ লড়াই

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ‘হাইভোল্টেজ’ লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ট্রান্স-তাসমান অঞ্চলে ইংল্যান্ড তাদের সফরটা শুরু করেছিল সেই নবেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঐতিহ্যের এ্যাশেজ টেস্ট সিরিজে বিধ্বস্ত হলেও ওয়ানডেতে দুর্দান্ত প্রতাপে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল অতিথিরা। তবে ইয়ন মরগানদের দুর্ভাগ্য ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজের ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। সেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ওয়ানডে (পাঁচ ম্যাচ) দিয়ে শুরু হচ্ছে আরও একটি ‘হাইভোল্টেজ’ দ্বৈরথ। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের শেষ নয় সিরিজের আটতিতেই জিতেছে মরগানবাহিনী! পরিসংখ্যানেই এই ফরমেটে ইংলিশদের শক্তিটা বোঝা যায়। তার ওপর ব্রিস্টলে সেই মারামারি কা-ের পর প্রথমবারের মতো দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। তবু কাজটা বোধহয় তাদের জন্য সহজ হবে না। কারণ এটা প্রমাণিত যে, ঘরের মাটিতে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড খুবই ভয়ঙ্কর। তিন ও চার র‌্যাঙ্কিংয়েও পাশাপাশি অবস্থানে দু’দল। হ্যামিল্টনে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায়। অস্ট্রেলিয়ায় এ্যাশেজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইংলিশ শিবিরে স্টোকসকে নিয়ে হাহাকার শুরু হয়েছিল। যদিও তাকে ছাড়াই ওয়ানডেতে সাফল্য পায় সফরকারীরা। সেই স্টোকস আদালতের ছাড়পত্র নিয়েই নিউজিল্যান্ডে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। অধিনায়ক মরগান বলেন, ‘সে দারুণ ছন্দে রয়েছে। এতদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও তার ফিটনেসের কোন ঘাটতি হয়নি। যত বেশি ম্যাচে সে খেলবে তত বেশি নিজেকে ফিরে পাবে। আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। দীর্ঘদিন পরে সে ওয়ানডে ম্যাচে খেলতে নামছে।’ তার মানে ফিটনেসের ঘাটতি থাকলেও তারকা অলরাউন্ডারকে নিয়েই মাঠে নামতে চায় ইংলিশরা। সম্প্রতি ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজে বাইরে থাকার পর স্টোকসের সঙ্গে ইংলিশ দলে ফিরেছেন জো রুট, মঈন আলী, ক্রিস ওকস ও জনি বেয়ারস্টো। মরগান আরও বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে কিভাবে পুরো দল মানিয়ে নিতে পারে তার ওপরই সিরিজের সাফল্য নির্ভর করবে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড বেশ শক্তিশালী। সে কারণেই নিজেদের এগিয়ে নিতে হলে অবশ্যই বাড়তি কিছু করে দেখাতে হবে।’ অন্যদিকে ত্রিদেশীয় টি২০’র ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের ক্ষত নিয়ে মাঠে নামছে কিউইরা। শেষ সাতটি টি২০ ম্যাচের মধ্যে নিউজিল্যান্ড মাত্র একটি জয়। অথচ রান রেটে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে তারা ফাইনালে খেলে! ব্লাক-ক্যাপসদের সামনে এবার ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্য। নিউজিল্যান্ডের কোচ মাইক হেসন বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি দল ও ফরমেটেও ভিন্ন। কিছুদিন ধরেই আমরা ওয়ানডেতে বেশ ভাল করছি।’ ঘরের মাঠে সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ড ওয়ানডেতে নিজেদের দারুণভাবে প্রমাণ করেছে। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় অন্যতম। কিন্তু হেসন জানেন ওয়ানডেতে এই ইংল্যান্ডকে হারানোটা সহজ নয়, ‘ইংলিশরা ব্যাট হাতে প্রথম বল থেকেই আগ্রাসী থাকে। আর সে কারণেই আমাদেরও লক্ষ্য থাকবে প্রথম থেকেই উইকেট দখলের। এক থেকে নয় নম্বর পর্যন্ত তাদের ব্যাটিং অর্ডার বেশ শক্তিশালী। আর অবশ্যই তাদের মধ্যে অন্যতম স্টোকস। আমাদের শুধু একজন খেলোয়াড়ের ওপর নজর দিলে চলবে না, কারণ তাদের দলে অনেক ভাল খেলোয়াড় রয়েছে।’ মাত্র ৩৭ রান করলেই ওয়ানডেতে ৭০০০ রানের মাইল স্টোনে পা রাখবেন অভিজ্ঞ রস টেইলর। আর ২৩ রান হলে অধিনায়ক হিসেবে ৫০০০ রান পূর্ণ হবে উইলিয়ামসনের। হ্যামিল্টনের এই মাঠে ২০০৮ ও ২০১৩ সালে মুখোমুখি শেষ দুটি ওয়ানডেতেও ইংলিশদের হারিয়েছিল কিউইরা।
×