ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নির্ধারিত সময়ের আগেই বাংলাদেশে রফতানিকৃত পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত সরকার। শুক্রবার পেঁয়াজের রফতানি মূল্য কমানো সংক্রান্ত নির্দেশনা আসে ভারতের হিলি কাস্টমসে। ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন লিমিটেডের (এনএএফইডি) এই সংক্রান্ত এক চিঠিতে বলা হয়, শনিবার সকাল থেকে পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম প্রত্যাহার কার্যকর হবে। এনএএফইডির চিঠির বরাতে সিএন্ডএফ এজেন্ট খোকন সরকার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার করেছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা শুক্রবার বিকেলে হিলি কাস্টমসে এসে পৌঁছেছে এবং কাস্টমসের সার্ভারে তা দিয়ে দেয়া হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে ভারতের পেঁয়াজ রফতানিতে আর কোন ন্যূনতম মূল্য থাকল না। আগে প্রতি টন পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ৮৫২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা ছিল। তবে গত ২০ জানুয়ারি থেকে সে দেশে কমে পেঁয়াজের দাম। আর প্রথম দফায় তা ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়। গত দুই মাসে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে টনপ্রতি ৮৫০ ডলারে ঠেকেছিল। ২০ জানুয়ারি থেকে সেই দাম দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৭০০ ডলার। গত বছরের ২৩ নবেম্বর এনএএফইডি পেঁয়াজের টনপ্রতি সর্বোচ্চ দাম ধরে দিয়েছিল ৮৫২ ডলার। তখন সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশটির বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিয়ে ছিল বলে বাড়তি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় দুই বছর পর ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের যোগান বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়। ভারতের বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এর জের ধরে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে আগের তুলনায় পণ্যটির দাম কমে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে রফতানিকে উৎসাহিত করতে পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। গত মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। দেশটির বাজারে পেঁয়াজের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ফলে রফতানি কমিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে প্রতি টন পেঁয়াজের এমইপি ৫৪ হাজার রুপী বা ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। তবে চলতি বছরের শুরুতে পেঁয়াজের এমইপি টনপ্রতি ১৫০ ডলার কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কৃষিপণ্যের রফতানি আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে পেঁয়াজের এমইপি কমানো হলো। ভারতের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু এক বিষয়ে টুইটার বার্তায় বলেছেন, কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারত সরকার।
×