ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ধারাবাহিক ‘সোনাভান’ এটিএন বাংলায়

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ধারাবাহিক ‘সোনাভান’ এটিএন বাংলায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ধারাবাহিক ‘সোনাভান’ নাটকটি আজ থেকে এটিএন বাংলায় প্রচার শুরু হচ্ছে। সপ্তাহে দুইদিন রবিবার এবং সোমবার রাত ১১-৩০ মিনিটে নাটকটি প্রচার হবে। তৌফিক হাসান ময়নার মূলগল্পে নাটকের কাহিনী বিন্যাস ও সংলাপ রচনা কাজী শুসমিন আফসানা। পরিচালনাকরেছে এস এম শাহীন এবং আব্দুস শহীদ মিঠু। নাটকটি প্রযোজনা করছেন জুয়েল খান। চিত্রগ্রহণ ইকবাল ইব্রাহিম পলাশ। সহকারী পরিচালক সিজুল ইসলাম। নাটকে অভিনয় করেছেন আফরোজা বানু, লুৎফর রহমান জর্জ, মীর সাব্বির, ফারহানা মিলি, শশী, অবিদ রেহান, সাঈদ বাবু, আহসানুল হক মিনু, কল্লোল চৌধুরী, মাহমুদা মেহেরুন্নবী মাহিন, বিধান, সিজুল, সবুজ, মাহবুব সোবহানী, ফারুক হোসেন, আবু সাঈদ সিদ্দিকী, মির্জা আহসানুল হক দুলাল, মুনসুর রহমান তানসেন, শাজাহান আলী বাদশা, রফিকুল ইসলাম, হাসনুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, সরণ, সামিউল এবং বগুড়ার বিভিন্ন থিয়েটারের নাট্যকর্মীরা। প্রথমবারের মতো বগুড়ার ভাষায় নির্মিত ‘সোনাভান’ নাটকের শূটিং হয়েছে বগুড়ার যমুনা তীরবর্তী সারিয়াকান্দিতে। নাটকের গল্প বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার এক গ্রামের। নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে সোনাভানরা দুই বোন দুই ভাই। সোনা সবার ছোট। বড় ভাই হাতেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ছোট ভাই কাশেম পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ একেবারে নেই। সে গ্রামের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে বেড়ায়। বড় বোন তারা এসএসসি পাস করেছে, সে পড়তে চায় কিন্তু চাচা সব্দল তাকে বিয়ে দেয়ার জন্য ভাল পাত্র খুঁজছে। সোনাভানের বাবা-মা নেই। তারা সবাই চাচা সব্দলের পরিবারের সঙ্গে থাকে। চাচী আয়েশা তাদের কখনও মায়ের অভাব বুঝতে দেয়নি। সব্দল ও আয়েশার একমাত্র ছেলে তাহের রংপুর কারমাইকেল কলেজে পড়ে। সোনাভানের চাচা সব্দল গ্রামের চেয়ারম্যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় সব্দল আর্মিদের সঙ্গে এক হয়ে গ্রাম রক্ষার জন্য শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হয়। কিন্তু তার বড় ভাইয়ের ছেলে হাতেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসে গ্রামে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গ্রামে যুবকদের নিয়ে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়। এদিকে কাশেম সহজ সরল ও রগচটা টাইপের ছেলে; তাকে সব্দল নিজের কাজে লাগায়। সব্দল নিজের ছেলে তাহেরকে সব কিছু থেকে আলাদা করে রাখে। সব্দল যখন জানতে পারে হাতেম মুক্তিবাহিনীর সদস্য তখন সে পরিকল্পনা করে কাশেমকে তার ভাইয়ের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেয়। সব্দল চেয়ারম্যান তখন মিলিটারি ক্যাপ্টেনের নাম করে গ্রামবাসীকে জানায়, হাতেম দেশদ্রোহী তাই তাকে কুকুর শিয়ালের জন্য ফেলে রাখা হবে। কেউ যদি হাতেমকে কবরস্থ করার চেষ্টা করে তাহলে তার শাস্তি মৃত্যুদ-। দুই ভাইয়ের মৃত্যু তারা ও সোনাকে বিপর্যস্ত করে ফেলে। সোনাভান কিছুতেই মেনে নিতে পারে না যে তার বড় ভাইয়ের মৃত দেহ শকুনে খাবে। আর এর মধ্যে সে বুঝেও ফেলে তার দুই ভাইয়ের মৃত্যুর পেছনে প্রকৃত দায়ী সব্দল। তাই সে মৃত্যুদ-ের ভয় না পেয়ে রাতের অন্ধকারে হাতেমের মৃত্যুদেহকে কবর দেয়ার চেষ্টা করে।
×