ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কেন আবারও শেখ হাসিনাকে দরকার ॥ কবীর চৌধুরী তন্ময়

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কেন আবারও শেখ হাসিনাকে দরকার ॥ কবীর চৌধুরী তন্ময়

শিরোনামের মতই অনেকের কাছে এই প্রশ্নটা বার-বার ঘুরে ফিরে আসে- কেন আবারও শেখ হাসিনাকে দরকার। অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে ভোট দিবেন কেন? আওয়ামীবিরোধীরা রীতিমতো তাদের নীলনকশার পরিকল্পনা নিয়ে এই প্রশ্নটি করার সঙ্গে-সঙ্গে কিছু অবান্তর ও বিভ্রান্তকর গল্পও জুড়ে দেয়। আওয়ামী বিরোধী মহলের অবান্তর ও বিভ্রান্তকর গল্পে না গিয়ে প্রশ্ন করতে চাই- আওয়ামী লীগ তথা নৌকা মার্কায় কেন ভোট দিবেন? কেন আবারও শেখ হাসিনাকে সরকারপ্রধান হিসেবে দেখতে চান? কেনই-বা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একাদশ জাতীয় সংসদ কার্যকর দেখতে চান? পিছনে ফিরে তাকালে দেখা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। দীর্ঘ একুশ বছর স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে অবশেষে ’৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুবিহীন নেতৃত্বে তখনকার আওয়ামী লীগ সদ্য ফোঁটা শিশুর মতো সরকার পরিচালিত করেছিল তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা। আপন-পর চিনতে চিনতে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা হারাতে হয় আওয়ামী লীগকে। পরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে আওয়ামী নেতা-কর্মীদের রাজনীতি করা তো দূরের কথা, এক ঘণ্টা শান্তিতে ঘুমানোই ছিলো কষ্টকর! তখন রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ছিল নিপীড়িত-নির্যাতিত নেতাকর্মীদের একমাত্র আশ্রয়স্থল। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার মহাপরিকল্পনার ষড়যন্ত্রের পরে এক-এগারোর মতো আরেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এই আওয়ামী লীগ দেশে প্রথমবারের মতন জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের মাধ্যমে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে। এখন প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে কী করেছে যার জন্য আওয়ামী লীগকে আবারও ভোট দিতে হবে? এই প্রশ্নটি আমার চেয়ে দেশের জনগণ তথা পাঠক বন্ধুগণ বেশ ভাল করেই জানেন- রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা কী কী করেছে। বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের দুর্নীতিতে বিশ্বের তলানির সেই বাংলাদেশকে শেখ হাসিনাই বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন। বিএনপি-জামায়াত ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গীবাদ নির্মূল করে বাংলাদেশ একটি দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। একদা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের হাতে লাল-সবুজের পতাকা ও তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দৌরাত্ম্য দেখে দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ নীরব-নিভৃতে চোখের জলে বুক ভাসিয়েছে। মুখ খুলে দুটো কথা বলতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিবর্তন করায় পরবর্তী প্রজন্মকে সত্য জানানোর পরিবেশ ছিল না। কারণ, প্রকাশ্যে বেগম খালেদা জিয়া ও যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে মিডিয়াতে বলেছিল, এ দেশে কোনও যুদ্ধাপরাধী নেই! যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়নি! বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতির সেই দীর্ঘদিনের আশা-আকাক্সক্ষা তথা রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থাই শুধু করেননি; বিচারিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করে আইনী কাঠামোর মাধ্যমে অপরাধের প্রদত্ত রায়ও বাস্তবায়ন করেছে এবং আজও সেই বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। সারাদেশের মানুষের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাঙালী সেই বিচার কাজকে যেভাবে সমর্থন করেছিল; তা ইতিহাসের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যুবক, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষের সঙ্গে বাড়ির ছোট্ট শিশু-কিশোর পর্যন্ত সেই জনজাগরণ, গণজাগরণে ছুটে এসে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল এবং সর্বোপরি শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছিল। সেই গণজাগরণকে ধ্বংস করতে, যুব সমাজের মনোবল ভেঙে দিতে পরিকল্পিতভাবে ব্লগার-লেখক হত্যা, দেশের ভাবমূর্তি ও বিদেশী অবৈধ চাপ প্রয়োগ করতে বিদেশী নাগরিকদের হত্যাগুলো এই শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তা শুধু মোকাবেলাই করেনি; এই ধরনের বর্বরতা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সক্ষম হয়েছে। বিএনপির সেই অবরোধের কথা হয়তো সবার এতো তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়ার কথা নয়। পেট্রোল বোমার আগুনে জ্বলসে গেছে অনেক সাধারণ জনগণের স্বপ্ন। পথচারীর পাশাপাশি ছোট্ট শিশুটি পর্যন্ত সেই অবরোধের আগুন থেকে রেহায় পায়নি। তখন যানবাহনে চলাচল করা মানেই ছিল- এই বুঝি পেট্রোল বোমা উড়ে এসে গায়ে আগুন লাগল! এই বুঝি নিশ্চিত মৃত্যুর আগুন জ্বালিয়ে ছাই করে দিচ্ছে! সেই পেট্রোল বোমার ভয়াবহতা রুখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার সর্বস্ব দিয়ে দেশ ও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিল। পেট্রোল বোমার আগুন নেভাতে তিনি সক্ষমও হয়েছেন। পদ্মা সেতুর ব্যাপারটি খেয়াল করুন। জজ মিয়ার নাটকের মতই পদ্মা সেতুর দুর্নীতির নাটকের কথা পাঠক বন্ধুর নিশ্চয়ই মনে আছে। অত্যন্ত সুকৌশলে এদেশেই জন্ম-কর্ম, এদেশেই বেড়ে ওঠা এবং এদেশের মানুষের রক্ত চুষে অর্থ উপার্জন করে আবার এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে, এ দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে পদ্মা সেতুর নির্মাণের ওপর কলঙ্কলেপন করার অপচেষ্টা করেছিল এদেশের কিছু ষড়যন্ত্রকারী ব্যক্তি ও মহল! সঙ্গে যুক্ত হয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশও। ফলে কী হয়েছিল? দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য দাতাগোষ্ঠী অর্থ বিনিয়োগ বন্ধ করে পদ্মা সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল। বাংলাদেশের মান-মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী। আর বিএনপি তখন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল সে ষড়যন্ত্রের অংশীদার হয়ে। আজ পদ্মা সেতু শুধু শেখ হাসিনার চোখেই দৃশ্যমান নয়; ষড়যন্ত্রকারী ও মিথ্যাচারে গা ভাসানো ব্যক্তি ও মহলের চোখেও ঠায় দাঁড়িয়ে তার নিজের সত্য ও স্বচ্ছতার প্রমাণ দিচ্ছে। আর সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের লক্ষ-কোটি নেতা-কর্মীর পাশাপাশি পুরো জাতির কাছে শেখ হাসিনা তার সরকার পরিচালনার যোগ্যতার নক্ষত্রটি আরও উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছে, দেশের সাধারণ জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার আসা যাক ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা! এতো রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে শেখ হাসিনা। অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি; বাস-ট্রেন, লঞ্চ, বিমানের টিকেট এখন মানুষের হাতে-হাতে; আপনাকে বহন করে নিয়ে যাওয়া ট্রেন এখন কোথায় আছে সেটাও মেসেজের মাধ্যমে ঘরে বসেই জানা সম্ভব; ইন্টারনেট ব্যবহার করে অতি সহজেই তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছে নতুন প্রজন্মসহ পুরো জাতি; অনলাইন ব্যবসা, বিচারবিভাগে অনলাইন সেবাসহ পুরো পৃথিবী এখন মানুষের আঙ্গুলের মাথায়; এ সবই সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির কারণে। যা আগে মানুষ চিন্তাও করতে পারত না। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের কনসেপ্ট আজ প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। দেশের নতুন প্রজন্মসহ পুরো জাতি কতটুকু ডিজিটাল হয়ে উঠেছে, প্রযুক্তি ব্যবহারের কতটা দক্ষ হয়ে উঠেছে তা অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার লক্ষ্যে যখন ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার; তখন বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে গ্রামের সেই ছোট্ট কিশোর পর্যন্ত তার দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছিল। আর স্যোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই বুঝা যায়, মূল গণমাধ্যমে কোনও খবর আসার আগেই স্যোশাল মিডিয়াতে অন্যায়-অপরাধ নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে সব বয়সী মানুষ। অনেকেরই মনে আছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিদ্যুতের কথা! বিদ্যুতের কী ভয়াবহ অবস্থা ছিল! একবার বিদ্যুত গেলে আবার কবে সেই বিদ্যুতের দেখা মিলবে সেই অনিশ্চয়তার কথা! আবার তখনকার সময়ে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির কথা! শিক্ষার হার, মৃত্যুর হার, জিডিপির অবস্থান- এগুলো নিজগুণে বিচার করলেই আপনিও দলমত নির্বিশেষে সহজভাবে সিন্ধান্ত নিবেন কেন আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করতে হবে। কেন শেখ হাসিনাই এদেশের এখন পর্যন্ত একমাত্র ভরসার প্রতীক। আর তার প্রমাণও লক্ষণীয়। যেমন সাম্প্রতিক ছোট্ট মুক্তামণির ঘটনা থেকে ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ’৯১ সালের নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্যের কঠিন মুহূর্তে একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে খবর পেয়ে বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামণির জীবনের পাশে দাঁড়িয়েছিল দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েই তিনি বসে থাকেনি; সব সময় মুক্তামণির চিকিৎকার খোঁজ খবর নিয়েছেন। শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকদের বলেছেন, কষ্ট হলেও হাতটা রেখে যদি অপারেশন করা সম্ভব হয়, যেন তাই করে। বর্তমান রাজনীতিতে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছের মাঝেও একজন আদর্শিক রাজনৈতিক ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফের করুণ পরিণতির খবর জানতে পারে স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে। স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার না করেও স্যোশাল মিডিয়ায় এই সংসদ সদস্যের খবর পেয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আর তার নির্দেশ অনুযায়ী অসুস্থ সাবেক এমপি মোহাম্মদ ইউসুফের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছেন। যেখানে স্বয়ং কমিউনিস্ট আদর্শের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তাদের নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফকে অবহেলা করেছে, সেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার পাশে দাঁড়িয়েছে। যেখানে দেশের বিত্তবান, প্রভাবশালী মহল মুক্তামণির মতো শিশুর পাশে দাঁড়াতে সংকোচবোধ করেছে, শেখ হাসিনা মমতা আর ভালবাসা দিয়ে মুক্তমণির জীবনকে আলোকিত করে তুলেছে। আর শত-সহস্র সমস্যা থাকার পরেও শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে আন্তরিকতার সহিত বিবেচনা করা হবে বলেও আন্দোলনরত শিক্ষকদের আশ্বাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাঠক, এবার আপনিই বলুন, কেন শেখ হাসিনার হাতে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিতে চান? বিশ্ব ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছেও শেখ হাসিনা কোনও সাহায্য-সহযোগিতা চায়নি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে একটি কথাও বলেনি। কারণ রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়; এটা পুরো বিশ্বের সমস্যা। আর এ সমস্যা বিশ্বাবাসীকে নিয়েই সমাধান করা হবে। ইতোমধ্যে তার প্রসেসিংও শুরু হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য ক্ষমতাবান রাষ্ট্রনায়ক অবাক হয়ে অবলোকন করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে। কীভাবে অত্যন্ত শান্ত ও মানবিক হয়ে নিজ দেশের পাশাপাশি অন্য দেশের মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন করতে হয়। কীভাবে দেশ-মাটি ও ঠিকানাবিহীন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে সুষ্ঠু সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে হয়। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরকার প্রধানই নয়; তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও বিশ্ব মানবতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। দেশের জনগণ তাদের বিচার-বিশ্লেষণ আর নিজের একান্ত জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সঠিক ব্যক্তি ও সংগঠনকে নির্বাচিত করতে ভুল করবে না এমনটাই বিশ্বাস। লেখক : সভাপতি, বোয়াফ
×