ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশ লীগ কাপ- প্রথমবার ফাইনালে গার্ডিওলার ম্যানসিটি

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

ইংলিশ লীগ কাপ- প্রথমবার ফাইনালে গার্ডিওলার ম্যানসিটি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তারকা কোচ পেপ গার্ডিওলার অধীনে প্রথমবারের মতো কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। মঙ্গলবার রাতে ইংলিশ লীগ কাপের (কারাবাও কাপ) সেমিফাইনালে জিতে এ কৃতিত্ব দেখিয়েছে সিটিজেনরা। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে স্বাগতিক ব্রিস্টল সিটিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে অতিথি সিটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালের টিকেট কনফার্ম করেছে গার্ডিওলার দল। এর আগে ইতিহাদে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ম্যানসিটি জিতেছিল ২-১ গোলে। গার্ডিওলার অধীনে এখন প্রথমবার শিরোপা জয়েরও হাতছানি দিচ্ছে সিটি। আর সাবেক বার্সিলোনা কোচেরও সুযোগ ইংলিশ ফুটবলে প্রথম কোনা বড় শিরোপা জয়ের। এ জন্য অবশ্য কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। কেননা লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনালে সিটিকে খেলতে হবে আর্সেনাল কিংবা চেলসির বিরুদ্ধে। এ দু’দল বুধবার রাতে অপর সেমিতে মুখোমুখি হয়। ইতোমধ্যেই গার্ডিওলার নেতৃত্বে প্রিমিয়ার লীগে অপ্রতিরোধ্য সিটি দ্বিতীয় স্থানে থাকা নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের থেকে ১২ পয়েন্টের সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। এছাড়াও এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও বেশ দাপটের সঙ্গে খেলছে। যে কারণে এবার দারুণ একটি মৌসুম অতিবাহিত করার সুযোগ আছে তাদের। বিরতির ঠিক আগে ও পরে মিলিয়ে ছয় মিনিটে লিওরি সানে ও সার্জিও এ্যাগুয়েরোর গোলে ম্যানচেস্টার সিটি বেশ ভালভাবেই ম্যাচে এগিয়ে যায়। কিন্তু ৬৪ মিনিটে মারলন প্যাক ও স্টপেজ টাইমে (৯৪ মিনিট) এ্যাডেন ফ্লিন্টের গোলে সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা। তবে ম্যাচের নাটকীয়তা তখনও বাকি ছিল। ম্যাচ শেষের বাঁশিটা যেন কেভিন ডি ব্রুইনের গোলটির অপেক্ষায় ছিল। সানের সহযোগিতায় ডি ব্রুইনের গোলে (৯৬ মিনিট) ম্যাচ শেষ হয়। সেই সঙ্গে সিটির জয়ও নিশ্চিত হয়। ম্যাচে প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময়ই সিটিজেনদের আটকে রাখে ব্রিস্টল। কিন্তু বিরতির তিন মিনিট আগে আর শেষ রক্ষা হয়নি। বার্নান্ডো সিলভার ক্রসে সানে গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন। বিরতির পর ৪৯ মিনিটে ডি ব্রুইনের ক্রস থেকে আর্জেন্টাইন তারকা এ্যাগুয়েরো দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। গত সপ্তাহে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে লীগে ৩-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিকে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এ্যাগুয়েরো। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে স্বাগতিকরা যখন পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় তখনই দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন প্যাক ও ফ্লিন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হয়নি। গার্ডিওলার অধীনে প্রথম মৌসুমে সিটি কোন শিরোপা জয় করতে পারেনি। সেটাই যেন এবার পুষিয়ে নিতে চায় দলটি। ম্যাচ শেষে দলটির কোচ গার্ডিওলা বলেন, ফাইনালে পৌঁছাতে পেরে আমরা খুব খুশি। ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার আগ পর্যন্ত আমরা দারুণ খেলেছি। কিন্তু হঠাৎ করেই আমরা ছন্দ হারিয়ে ফেলি। এই ধরনের ম্যাচ সাধারণত শেষ মিনিট পর্যন্ত টিকে থাকে। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সময় আমরা ভেবে নিয়েছিলাম জয়টা আমাদের জন্য সহজ হয়ে গেছে। কারণ তাদের টিকে থাকতে হলে তিন থেকে চারটি গোল দিতে হবে। কিন্তু ২-২ গোলে তারা সমতা ফিরিয়ে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছিল। আগামী সপ্তাহে কার্ডিফে এফএ কাপের জন্য এটি একটি শিক্ষা। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ম্যাচগুলোতে আমাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। সাবেক বার্সা বস বলেন, ওয়েম্বলির ফাইনালে পৌঁছানোর গুরুত্ব আমার থেকেও ম্যানচেস্টার সিটির কাছে অনন্য। আমি জানি শিরোপা জয়ের ওপরই আমাদের বিচার করা হয়। কিন্তু আমরা সন্তুষ্ট। তবে এটাও মানতে হবে চেলসি কিংবা আর্সেনাল, দুটি দলই বেশ শক্তিশালী।
×