ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এনার্জিপ্যাকের আইপিও প্রসপ্রেক্টাসে তথ্যের অসঙ্গতি

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

এনার্জিপ্যাকের আইপিও প্রসপ্রেক্টাসে তথ্যের অসঙ্গতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে আসতে চাওয়া এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের রোড শোতে উত্থাপিত রেড হেয়ারিং প্রসপ্রেক্টাসে প্রকাশিত তথ্যে নানা অসঙ্গতি রয়েছে। তবে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রেড হেয়ারিং প্রসপ্রেক্টাসের ভুল ত্রুটি থাকলেও নিলামের আগ পর্যন্ত তা সংশোধন করা যায়। এনার্জিপ্যাকের প্রসপ্রেক্টাস বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কোম্পানিটির জমা দেয়া প্রসপ্রেক্টাসে রয়েছে নানা অসঙ্গতি। এই অসঙ্গতির মধ্যেই কোম্পানিটি শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে রোড শোর আয়োজন করেছিল। এই রোড শোতে উত্থাপন করা তথ্যের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে ভুল। একসইঙ্গে কোম্পানিটির জমা দেয়া প্রসপ্রেক্টাসে দেখা গেছে, নানা ভুলের বিভিন্ন তথ্য বিভ্রাটও ঘটেছে। ফলে এই প্রসপ্রেক্টাস দেখে বিনিয়োগ করতে যাওয়া সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রাতিষ্ঠানিকরা বিভ্রান্তও হতে পারেন। জানা গেছে, এর আগে গত ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ার ২৫ টাকা দরে ইস্যু করার অনুমোদন পেয়েছিল। ওই সময় কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ৪২ কোটি টাকা সংগ্রহ করার অনুমোদন পায়। তবে পাবলিক ইস্যু রুলস-২০১৫তে প্রিমিয়ামে বুক বিল্ডিং বাধ্যতামূলক হওয়ায়, পরবর্তীতে আইপিও বাতিল করা হয়। যদিও সেই ইস্যুটির স্থগিত হয়ে যাওয়ার পেছনে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ভুল ছিল। জানা গেছে, প্রসপ্রেক্টাসে এনার্জিপ্যাক কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সম্পদের আয়ুস্কাল নিয়ে একেক সময়ে একেক তথ্য দিয়েছে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষের তথ্যে বলা হয়েছে, ৪৭ পৃষ্ঠায় প্রদত্ত স্থায়ী সম্পদ ক্রয়ের তালিকা অনুযায়ী, ২০০৫ সালে ক্রয়কৃত এবং ২০১৭ সালে ক্রয়কৃত উভয় সম্পদের আয়ুস্কাল দুই বছর রয়েছে। তবে উভয় সম্পদেরই মোট আয়ুস্কাল পাঁচ বছর। এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরের পরে ক্রয়কৃত সম্পদের মোট পাঁচ বছরের আয়ুস্কালের মধ্যে দুই বছর রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ এই সম্পদ সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ব্যবহারও হয়নি। একইসঙ্গে অবচয় কম চার্জ করে মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখিয়েছে এনার্জিপ্যাক। শুধুমাত্র এনার্জিপ্যাকের হিসাবে মেশিনারিজের ওপর অবচয় হয় এক কোটি এক লাখ টাকা। নতুন ক্রয়কৃত মেশিনারিজ ছাড়াই। তারপরেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মাত্র ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকার অবচয় চার্জ করেছে। যাতে ২৩ লাখ ৯ হাজার টাকার মুনাফা বেশি দেখিয়েছে। এছাড়া আসবাবপত্রে পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার, টুলসে ১৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ও সিএনজি স্টেশনে নয় লাখ ১৮ হাজার টাকার অবচয় কম চার্জ করা হয়েছে। এনার্জিপ্যাকে সুদজনিত অর্থ প্রদানকে অপারেটিং একটিভিটিজে দেখানো হলেও এর সাবসিডিয়ারি এনার্জিপ্যাক কনফিডেন্স পাওয়ার ভ্যানচারে ফাইন্যান্সিং একটিভিটিজে দেখায়।
×