ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু ২৮ ডিসেম্বর

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু ২৮ ডিসেম্বর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে লেনদেনের পর মূল মার্কেটে ফিরে আসছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আগামী ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে মূল মার্কেটে লেনদেন করবে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র অনুযায়ী আগামী ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে ওটিসি মার্কেটে কোম্পানিটির আর লেনদেন হবে না। কোম্পানির শেয়ার সেটেলমেন্টের জন্য এই লেনদেন বন্ধ থাকবে। যার নতুন লেনদেন হবে মূল মার্কেটে বৃহস্পতিবার। ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের ৮৮০তম সভায় কোম্পানিটিকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর এরপর ডিএসই ম্যানজেমেন্ট মূল মার্কেটে লেনদেনের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তারিখ নির্ধারণ করেছে। এর আগে মূল মার্কেটে লেনদেন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি পায় কোম্পানিটি। নাম পরিবর্তনের আগে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের নাম ছিল সজিব নিটওয়্যার লিমিটেড। ২০০৯ সালে এই সজিব নিটওয়্যার মূল মার্কেট থেকে ওটিসিতে চলে যায়। ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর জেড ক্যাটাগরির ৫১টি কোম্পানিকে চালু হয় ওটিসি মার্কেট। লোকসানের পর লোকসান, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন না করা, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে না পারা কোম্পানিগুলো ছিল এই মার্কেটে। এরপর আরও ২৯টি কোম্পানিকে এই তালিকায় যুক্ত করা হয়। তবে পরবর্তীতে আর্থিক অবস্থা পরিবর্তন ও সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করা ১২টি কোম্পানিকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনা হয়। ৩০ জুন, ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বোনাস এবং ১০ শতাংশ রয়েছে নগদ লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩৭ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) ২৪ টাকা ১৪ পয়সা। ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির ৩ কোটি ৭৭ হাজার ৬০০ শেয়ারের মধ্যে বর্তমান পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৭৬.৮৭ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬.৩৩ শতাংশ শেয়ার। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৬.৮০ শতাংশ শেয়ার।
×