ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

কবিতা

স্বাধীনতা রবিউল হুসাইন এমনই নিয়েছে তারা চিরন্তন দীক্ষা প্রতিক্ষণে জেগে থাকুক মুক্তির আকাক্সক্ষা স্বাধীনতার স্বপ্ন অমর অক্ষয় বহুদিন বহুকাল আজ থেকে নয় দুঃখের কারণ ওই পরাধীনতাই দুঃখের নিবারণ সেই স্বাধীনতাই বলেছেন গৌতমবুদ্ধ দিব্যকান্তি প্রতিটি মানুষ চায় সুখ আর শান্তি স্বাধীনতার জন্য হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছে গান গাইতে গাইতে যে করেই হোক তাই বাঁচাবোই স্বাধীনতা কিছুতেই মানবো না কারো কোনো অধীনতা শুভবোধ শ্রেয়তা বুকভরা ভালোবাসা অনন্ত কল্যাণ আগামীর চির আশা উড়ছে কত ওই পত্্ পত্্ পতাকা দেশে দেশে স্বাধীনতার হংস বলাকা ** বিজয় ডানা নুরুন্নাহার শিরীন বিজয় আসার আগে স্বাধীনতা ছিলোনা এদেশে অত্যাচারে স্বপ্ন যেতো ভেসে। ইচ্ছেঘুড়ির সূতো ভিনদেশীদের হাতে। অনেক বছর পরে বঙ্গবন্ধু নেতা হলেন বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দিলেন - ঘরে-ঘরে দুর্গ গড়ো স্বাধীনতার তরে। নেতার ডাকটি পেয়ে মানুষ সাহসী হলো যুদ্ধে যাবার সাড়া পড়ে গেলো। জেগে উঠলো মানুষ যার যা কিছু নিয়ে। অবশেষ আমাদের স্বাধীনতা এলো লক্ষ বীরের রক্তমাখা স্বপ্নভুমি বাংলাদেশ নামে মুক্ত বিজয়ভুমি। সূর্যখচিত পতাকাটি আমাদের হলো। ** স্বাধীনতার শপথ আইরীন নিয়াজী মান্না অত্যাচারী শাসক ওরা ভিনদেশীদের দল ভেবেছিল বীর বাঙালীর বাহুতে নেই বল বাংলা মাকে গ্রাস করতে করলো কত ছল। সাত মার্চে, একাত্তরে শেখ মুজিবের ডাকে ছেলে-বুড়ো কেউ কি আর বন্দী ঘরে থাকে? শহর ছেড়ে ছড়িয়ে পড়ে হাজার নদীর বাঁকে। যার যা আছে তাই নিয়ে নামলো পথে সবাই ভিনদেশী অই শত্রুদের করতে হবে জবাই স্বাধীনতা আনতে হবে শপথ নিলো সবাই। ** তাঁদের অনেক দাম আ.ফ.ম. মোদাচ্ছের আলী একাত্তরের ডিসেম্বরে কাঁপছিল এই দেশটা শংকা আশায় ভাসছিল সব কি হবে এর শেষটা। মুক্তিগুলো করছে লড়াই সব হানাদার জব্দ বীরের কাছে হচ্ছে নত কামান গোলা স্তব্ধ। লড়াই লড়াই লড়াই করে দর্পে চলে মুক্তি দল একাত্তরের এই সময়ে ফুটছে পলাশ শতদল। যুদ্ধজয়ী এসব বীরের হাজার লক্ষ নাম ইতিহাসের পাতায় তাঁদের অনেক অনেক দাম।
×