ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের পথে এগিয়ে স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া, গৌরব ও লজ্জার দুই রেকর্ডে জেমস এ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের নাম

পার্থ টেস্ট বাঁচাতে লড়ছে ইংল্যান্ড

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

পার্থ টেস্ট বাঁচাতে লড়ছে ইংল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষদিনে আজ ফয়সালার অপেক্ষায় পার্থ টেস্ট। সে ফয়সালায় ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা নেই। কোনমতে দিন পার করে ম্যাচ ড্র করতে পারলেই স্বস্তি জো রুটদের। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩২ রান তুলতেই টপ-অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে সফরকারীরা। ইনিংস হার এড়াতে চাই আরও ১২৭ রান। ডেভিড মালান ২৮ ও জনি বেয়ারস্টো ১৪ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪০৩/১০। অস্ট্রেলিয়া ৬৬২/৯ ডিক্লেয়ার এ্যাশেজে দেশের মাটিতে ৭১ বছরের মধ্যে এটিই অসিদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। টানা দুই জয়ে ট্রফি পুনরুদ্ধারের পথে অনেকদূর এগিয়ে স্টিভেন স্মিথের দল। ওয়াকায় আন্তর্জাতিক বিদায়ী ম্যাচটা ড্র করে সেটিকে কিছুটা প্রলম্বিত করতে হলে অপরাজিত জুটির দিকেই তাকিয়ে থাকবে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসেই জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন মালান ও বেয়ারস্টো। শনিবার চতুর্থদিনে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আর খুব সামনে এগোতে পারেননি। স্মিথ ২৩৯ ও মিচেল মার্শ ১৮১ রানে আউট হয়েছেন প্রতিপক্ষ পেসার জেমস এ্যান্ডারসনের বলে। জয়ের ভাবনা মাথায় রেখে ৯ উইকেটে ৬৬২ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। দেশের মাটিতে সর্বশেষ ১৯৪৬ সালে এ্যাশেজ সিরিজে সিডনি টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৬৫৯ রান সংগ্রহ করিয়েছিল অসিরা। ২০০৯ সালের পর এ্যাশেজের আর কোন ইনিংসে ৬শ’ বা তার বেশি দলীয় সংগ্রহ পেল তারা। আর এ্যাশেজের ইতিহাসে এটি অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ৬৬২/৯ দেশের মাটিতে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। সতীর্থ স্টুয়ার্ড ব্রডের সঙ্গে রেকর্ড গড়েছেন ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া ইংলিশ পেসার জেমস এ্যান্ডারসন। টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম ফাস্ট বোলিং জুটি এখন তারাই। পেছনে ফেলেছেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ ও কার্টলি এ্যামব্রোসকে। এ্যান্ডারসন-ব্রড একসঙ্গে খেলে টেস্টে উইকেট নিয়েছেন ৭৬৫টি। যা ওয়ালশ-এ্যামব্রোস জুটির চেয়ে তিনটি বেশি। দুই তারকার কৃতিত্বের দিনে লজ্জার রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন তারা। বোলিং করা সাত বোলারের পাঁচজনই এক শ’র বেশি রান দিয়েছেন। তারা হলেন এ্যান্ডারসন, ব্রড, ক্রিস ওকস, ক্রেইগ ওভারটন ও মঈন আলী। পাঁচ ফ্রন্ট-লাইন বোলারের শত রানের বেশি খরচের ঘটনা টেস্ট ইতিহাসে এটি অষ্টম। যেখানে তিনবারই ইংল্যান্ডের নাম। আগের দু’বার ১৯৭৯ সালে লর্ডসে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ২০০৯ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। স্কোর কার্ড ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৪০৩/১০ (১১৫.১ ওভার; কুক ৭, স্টোনম্যান ৫৬, ভিন্স ২৫, রুট ২০, মালান ১৪০, বেয়ারস্টো ১১৯, মঈন ০, ওকস ৮, ওভারটন ২, ব্রড ১২; স্টার্ক ৪/৯১, হ্যাজলউড ৩/৯২, কামিন্স ২/৮৪, লিয়ন ১/৭৩) ও দ্বিতীয় ইনিংস ১৩২/৪ (৩৮.২ ওভার; কুক ১৪, স্টোনম্যান ৩, ভিঞ্চ ৫৫, রুট ১৪, মালান ২৮*, বেয়ারস্টো ১৪*; স্টার্ক ১/৩২, হ্যাজলউড ২/২৩, লিয়ন ১/২৮)। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ৬৬২/৯ ডিক্লেঃ (১৭৯.৩ ওভার; ব্যানক্রফট ২৫, ওয়ার্নার ২২, খাজা ৫০, স্মিথ ২৩৯, শন মার্শ ২৮, মিচেল মার্শ ১৮১. পেইন ৪৯*, স্টার্ক ১, কামিন্স ৪১, লিয়ন ৪; এ্যান্ডারমস ৪/১১৬, ব্রড ০/১৪২, ওকস ১/১২৮, ওভারটন ২/১১০, মঈন ১/১২০)। *চতুর্থদিন শেষে
×