ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএলে স্পট ফিক্সিং স্বাভাবিক ঘটনা!

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

বিপিএলে স্পট ফিক্সিং স্বাভাবিক ঘটনা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়ার পেসার ডার্ক ন্যানেস ক্রিকেট থেকে অবসরে গেছেন বেশ আগেই। তিনি এক সময় বিশ্বের বিভিন্ন ঘরোয়া টি২০ ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহণ করেছেন। এমনকি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ আসরেও খেলেছেন। ওই সময় ম্যাচ ফিক্সিংয়ে যুক্ত ছিলেন তিনি এমন সন্দেহই এখন তৈরি হয়েছে। কারণ ন্যানেস শুক্রবার এবিসি রেডিও’র সঙ্গে সাক্ষাতকার দেয়ার সময় দাবি করেছেন বিপিএলে স্পট ফিক্সিং স্বাভাবিক ঘটনা। এর ব্যাপকতা এতটাই বেশি যে কোন খেলোয়াড়ের পক্ষে সেটা পাশ কাটিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। ২০১৩ সালের বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক, ম্যানেজার ও কোচ অভিযুক্ত হন। মোহাম্মদ আশরাফুলের ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করার পর সেটা প্রমাণিত হয়। এ কারণে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। সে সময় সিলেট রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন ন্যানেস। এতদিন পর তিনি বোমাই ফাটালেন। তিনি দাবি করলেন বিপিএলে ব্যাপক হারেই স্পট-ফিক্সিং হয়ে থাকে। আর সেটা বিপিএল সংশ্লিষ্ট সবাই জানে। ন্যানেস বলেন, ‘আইসিসির নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও এটা জানতেন। মাঠে যারা থাকতো তারাও জানতেন, সকলেই জানতেন। তাহলে একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনার কি করার আছে? কিন্তু ধোঁয়াশাচ্ছন্ন কিছু না পাওয়া পর্যন্ত আইসিসি কর্মকর্তাদের সুযোগ নেই বিশ্বের সব ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধরা কিংবা তাদের ফোন পরখ করার। আপনি একমাত্র পুলিশ না হলে সেটা করার জন্য তৎপরতা দেখাতে পারবেন না।’ ন্যানেস অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৭ আন্তর্জাতিক টি২০ খেলেছেন। তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) বেশ অদ্ভুত ধরনের। তিনি বলেন, ‘সেখানে দলের মালিকরা যারা আছেন তারা সবকিছুতেই আসতে পারেন। সাধারণত মালিকদের মাঠে প্রবেশাধিকার নেই। কিন্তু দলের ম্যানেজাররা মালিকের কাছে দৌড়ে গিয়ে পরবর্তী করণীয় কি হবে সেটাও জিজ্ঞেস করেন। নিরাপত্তাকর্মীরা বারবার শুধু বলেই যান এবং বলাতেই সীমাবদ্ধ থাকে বিষয়টা এবং এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটেই চলে। মালিকরা ফোন নিয়ে বসে থাকেন। তারা সবসময় দাবি করেন যে কোচেদের সঙ্গে তাদের সার্বিক যোগাযোগ থাকতেই হবে। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি দল কেনার জন্যই এ অধিকার আছে তাদের।’ এছাড়া ন্যানেসের দাবি দর্শকদের মধ্যেও বাজিকরদের সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু অন্যান্য দেশে তাদের দেখলে নিরাপত্তাকর্মীরা বের করে দিলেও বাংলাদেশে এমনটা ঘটতে দেখেননি তিনি। এ বিষয়ে ন্যানেস বলেন, ‘তাদের জামার কলারে মাইক্রোফোন থাকে এবং কোমরে কয়েকটা ফোন ঝোলানো থাকে। যখনই কিছু ঘটে তারা হাতা গুটিয়ে কথা বলতে পারেন।
×