ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বপ্নের বিশ্বকাপ জিততে চান নেইমার

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

স্বপ্নের বিশ্বকাপ জিততে চান নেইমার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সময়ের অন্যতম সেরা তারকা নেইমার। দেশ ও ক্লাবের জার্সিতে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জেতা হয়ে গেছে তার। শুধু বাকি স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি। ২০১৪ সালে নিজ দেশে সেমিফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। তবে এবার ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে চান ২৫ বছর বয়সী এই সুপারস্টার। এবারের বাছাইপর্বে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স প্রদর্শন করে ব্রাজিল। রেকর্ড সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা সবার আগে বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করে। কোচ টিটে দলকে গড়ে তুলেছেন দুর্দান্তভাবে। একই পজিশনে একাধিক চৌকষ খেলোয়াড় থাকায় আসছে বিশ্বকাপে হট ফেবারিট পেলের দেশ। তাইতো স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন নেইমারও। এক সাক্ষাতকারে পিএসজি তারকা জানিয়ে দিয়েছেন জুন-জুলাইয়ে বিশ্বকাপ জেতাটাই তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ব্রাজিলে যুগে যুগে এসেছে পেলে, গ্যারিঞ্জা, ভাঁভা, পেরেইরা, রোমারিও, বেবেতো, রোনাল্ডো, রোনাল্ডোনিহো, কাকা, রবিনহোর মতো ফুটবলার। এসব তারকার উদ্ভাসিত নৈপুণ্যে বরাবরই সাফল্য দেখিয়ে এসেছে ব্রাজিল। দেশটির সাফল্যে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, ব্রাজিল এবং ফুটবল একে অপরের পরিপূরক হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বের সেরা আয়োজন বিশ্বকাপেও সেরা দলের তকমা ব্রাজিলের। কেননা রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী তারা। সাফল্যের পরিসংখ্যানে এমন অবস্থা ব্রাজিল মানেই সেরা হওয়া। ‘দ্বিতীয়’ হওয়াটাকেও দেশটি ব্যর্থতা হিসেবে মনে করে। ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর দীর্ঘ দুইযুগ পর ১৯৯৪ সালে আবারও বিশ্বকাপ জেতে জাগো বনিতোরা। আধুনিক যুগে এসে এ সময় থেকেই মূলত দেশটি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। ১৯৯৪ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত টানা তিন বিশ্বকাপে ১২ বছর বিস্ময়কর সাফল্য দেখায় ব্রাজিলিয়ানরা। এ সময়ের তিনটি বিশ্বকাপের প্রতিটিতেই ফাইনালে খেলে ব্রাজিল এবং দু’টিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। এমন আকাশচুম্বী সাফল্যের পর ব্রাজিল দল যেন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। এ কারণেই ২০০৬ বিশ্বকাপে ‘হেক্সা‘ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে জার্মানি পাড়ি জমায় লুই ফিলিপ সোলারির দল। এ সময় রোনাল্ডিনহোরা এতটাই ফর্মের তুঙ্গে অবস্থান করছিলেন যে বিশ্বকাপ জয় করা নিয়ে কোন সংশয় ছিল না। কিন্তু চূড়ান্ত লড়াইয়ে খেই হারিয়ে বিদায় নিতে হয় ব্রাজিলকে। এরপর দলের দায়িত্ব দেয়া হয় ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কার্লোস দুঙ্গাকে। ২০০৯ সালে কনফেডারেশন্স কাপ জয় করে তিনিও স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের। কিন্তু দলের সেরা ফুটবলারদের বিশ্বকাপে না এনে তথাকথিত ‘শ্রমিক’ দিয়ে শিল্পকর্ম করতে যেয়ে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর স্বাভাবিকভাবেই অপসারিত হতে হয় এই লৌহমানবকে। ২০১৪ বিশ্বকাপে নিজ দেশে ব্যর্থ হয় পেলের দেশ। টানা তিন বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়া ব্রাজিলের এখন পাখির চোখ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে।
×