ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

মেসির মহানুভবতার আরেক নজির

প্রকাশিত: ০৬:২০, ৪ নভেম্বর ২০১৭

মেসির মহানুভবতার আরেক নজির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লিওনেল মেসি মহানুভবতার পরিচয় অনেকবারই দিয়েছেন। ‘মেসি ফাউন্ডেশনে’র মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ান নিয়মিতই। এবার আরও একবার মহানুভবতার পরিচয় দিলেন বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। মামলায় জেতা অর্থ তিনি দান করেছেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য। একটি পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় জিতে সেটা থেকে পাওয়া পুরো অর্থ চিকিৎসকদের দাতব্য সংগঠন ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স’কে দান করে দিয়েছেন মেসি। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে আর্জেন্টিনার হারের পর মেসির সমালোচনা করে একটি প্রতিবেদন ছাপায় মাদ্রিদ ভিত্তিক স্প্যানিশ দৈনিক লা রাসন। সাংবাদিক আলফনসো উসিয়ার লেখা প্রতিবেদনটিতে সমালোচনারও বাইরে গিয়ে দাবি করা হয় মেসি পরচুলা পরেছিলেন এবং কর্মক্ষমতাবর্ধক ড্রাগ ন্যানড্রোলোন নিয়েছিলেন। বার্সিলোনার একটি আদালত রায় দিয়েছিল প্রতিবেদনের এসব কথা ‘অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক’। পরে সুপ্রীমকোর্টও এর সঙ্গে একমত হয়। গত বছর আদালতের রায়ে বলা হয়, মেসিকে নিয়ে করা প্রতিবেদনটি মতামতধর্মী লেখার সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিল। এ ঘটনায় লা রাসন পত্রিকার সম্পাদক ও লেখককে মেসিকে প্রায় ৭২ হাজার ৭৮৩ ইউরো ক্ষতিপূরণ নিতে নির্দেশ দেন আদালত। তখন মেসি ক্ষতিপূরণ পেলে তা দান করার কথা জানিয়েছিলেন। এর ১৭ মাস পর বৃহস্পতিবার সুপ্রীমকোর্টে মামলাটির সমাপ্তি ঘটেছে। কথামতো ক্ষতিপূরণের পুরো অর্থই মেসি দান করেছেন আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সে’র তহবিলে। সংস্থাটি যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রোগাক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় কাজ করে থাকে। সমাজের দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারটি মেসির জন্য নতুন কিছু নয়। গত মে মাসে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার স্কুলগুলোতে ২০টি শ্রেণীকক্ষ তৈরি করেছে ‘মেসি ফাউন্ডেশন’। এছাড়া ইউনিসেফ ও অন্যান্য মাধ্যমের সাহায্যে সবসময়ই দুস্থ শিশুদের পাশে দাঁড়ান ৩০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
×