ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষতিগ্রস্তরা উপার্জনের ক্ষতিপূরণও চায়

ব্যয় বাড়ছে পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পে

প্রকাশিত: ০৩:৩৫, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

ব্যয় বাড়ছে পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে বেঁধে দেয়া দামে জমি পাওয়া যায়নি। নির্ধারিত মূল্যের তিনগুণ বেশি মূল্যে কিনতে হয়েছে প্রকল্প এলাকার জমি। এবার এক নতুন দাবি তুলেছেন প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা। সেটা হলো, শুধু জমির মূল্য পরিশোধ করলেই হবে না সঙ্গে গাছ-পালা, পুকুর খনন, মৎস্য ও জমির মালিকদের উপার্জনের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নতুন এসব দাবি মেটাতে আরও একধাপ বাড়ছে প্রকল্পের ব্যয়। ফলে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রথম সংশোধনী আসছে প্রকল্পে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। জুন ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। এখন প্রথম সংশোধনে ব্যয় বেড়ে ৩ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকায় দাঁড়াচ্ছে। সময় বাড়ছে ২০২০ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। শুধু জমিতে মূল্যবান সম্পদ বাবদ নয় অন্যান্য খাতের কারণেও ব্যয় বাড়ছে ২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৮৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরে প্রকল্পটির জন্য ৬ হাজার ৬৯ দশমিক ১৯ একর জমি অধিগ্রহণ করার কথা ছিল। এখন এই খাতে মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১২শ’ কোটি টাকা। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান (পরিকল্পনা উইং) এনায়েত হোসেন বলেন, সংশোধিত প্রকল্পে ২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে। প্রকল্প এলাকায় জমির দাম তিন গুণ হয়েছে। এছাড়া পুনর্বাসন খাতেও ব্যয় বাড়ছে। প্রথমে এ খাতে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। এখন সে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১১শ’ কোটি টাকার বেশি। প্রকল্পের আওতায় সড়কসহ বেশ কিছু অবকাঠামোগত কাজ করা হবে। একটা টাগ বোটও সংগ্রহ করা হবে। এজন্য এ খাতেও নতুন ব্যয় যুক্ত হচ্ছে। পুনর্বাসন খাতে নানা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণেও ব্যয় বাড়ছে। একই সঙ্গে পরামর্শক খাতেও ব্যয় বাড়ানো হবে। প্রথমে এ খাতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০০ কোটি টাকা এখন ১ হাজার ১২৩ কোটি। পরামর্শকসেবা ছাড়াও বিস্তারিত ড্রইং, ডিজাইন ও পরিকল্পনা প্রণয়ন খাতে নক্সার জন্য জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। নতুন করে এ খাতে জনবল নিয়োগের জন্য ব্যয় বাড়বে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মূল প্রকল্পে ৫ দশমিক ৬০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৫৪ কোটি টাকা। কিন্তু এখন এই পথে আরও কিছু কালভার্ট ও সেতু নির্মাণ করা হবে। ফলে আরও ব্যয় বাড়বে।
×