ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

অভিমত বাংলাদেশ অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমির

‘টিম বাংলাদেশ হয়ে খেলতে চাই’

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১০ অক্টোবর ২০১৭

‘টিম বাংলাদেশ হয়ে খেলতে চাই’

রুমেল খান ॥ সুদীর্ঘ ৩২ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। দুয়ারে কড়া নাড়ছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। তারপরই স্টিক-বলের কারুকার্যে মুখরিত হয়ে উঠবে ঢাকার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়াম। যাতে অংশ নেবে এশিয়ার সেরা আটটি দেশ। এদের মধ্যে যে দেশটি লাভ করবে শ্রেষ্ঠত্বের আসন, তারাই নাম লেখাবে বিশ্বকাপ হকির আসরে। এই লড়াই, এই চ্যালেঞ্জে কে সফল হয়, আর কে ব্যর্থÑ তা দেখতে মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ তথা বিশ^ হকিবাসী। হ্যাঁ, বলা হচ্ছে এশিয়া কাপ হকির দশম আসর। যার স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আসরটি আয়োজন করার সৌভাগ্য অর্জন করতে যাচ্ছে তারা। সর্বশেষ এমন সৌভাগ্য হয়েছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে, ১৯৮৫ সালে। ইতোমধ্যেই অতিথি দলগুলোর সবাই ঢাকায় পা রেখেছে। জোরেশোরে শুরু করে দিয়েছে তাদের প্রস্তুতি। এবারই প্রথম ফ্লাডলাইটে খেলা হবে হকি স্টেডিয়ামে। ইতোমধ্যেই ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হয়েছে। অন্যান্য সংস্কার কাজও বিলম্ব হলেও প্রায় শেষ হবার পথে। সবকিছু তদারকি করতে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন এশিয়া হকি ফেডারেশনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। টুর্নামেন্টের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তা এবং অংশগ্রহণকারী আট দলের অধিনায়ক এবং ম্যানেজার। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক বলেন, ‘আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার অপেক্ষা। গত ১৩ মাসে আমরা এ নিয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক হকি টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছি। এবারের এশিয়া কাপ হকির আয়োজনের দায়িত্ব দেয়ায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি এশিয়া হকি ফেডারেশনকে। আশা করি এই আসরে বাংলাদেশ দল ভাল ফল করবে।’ প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি বলেন, ‘শেষ তিনটা মাস আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি, সেখানে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল আগের টুর্নামেন্টগুলোতে করা ভুলগুলো শুধরে নেয়ার। একটা দল হিসেবে ওই টুর্নামেন্টগুলোতে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। শেষ তিন মাস আমরা ওই বিষয়গুলো নিয়ে অনুশীলন করেছি। যেন ভাল একটা দল গঠন করা যায়। ভাল পারফরম্যান্স করা যায়। ট্রেনিংয়ে কোন ত্রুটি ছিল না। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে দরকারি বিষয়গুলো আমরা সমাধান করার চেষ্টা করেছি ভিডিওর মাধ্যমে।’ তারকা এই ফরোয়ার্ড আরও যোগ করেন, ‘আমরা শেষ যে প্রস্তুতি ম্যাচটা জাপানের বিপক্ষে খেলেছি, ওটা খুব ভাল ছিল যে আমরা আমাদের শুরুটা ভাল করতে পেরেছি। এখন টুর্নামেন্টে আমাদের এটা কনটিনিউ করতে হবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমি মনে করি যে, আমরা যেন একটা দল হিসেবে ভাল হকি খেলতে পারি। যদি আমরা টিম হিসেবে খেলতে পারি, কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে যে কোন দলের বিপক্ষে ভাল ফল করা সম্ভব।’ সবশেষে তিনি আরও বলেন, ‘জাপানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভিডিওতে আমরা দেখেছি, বল পজেশন আমাদের কম ছিল। আমাদের কিছু ভুল ছিল। ওই ভুলগুলো যেন পরের ম্যাচে না হয়, সেজন্য আজ সকালেও ওগুলো নিয়ে কাজ করেছি। টুর্নামেন্টে যেন ওই ভুলগুলো না হয়, আমরা সে চেষ্টা করব। কোচের কথা হচ্ছে, ছোট পাসে বল যতক্ষণ আমাদের কাছে থাকবে, ততক্ষণ আমাদের খেলা ভাল হবে। যে কোন ম্যাচে আমরা ভাল ফলের আশা করছি। যে কোন ম্যাচে খেলার জন্য তৈরি। পাকিস্তান হোক, ভারত হোক, জাপান হোক-আমরা প্রস্তুত। ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার চিন্তা করছি। প্রথম ম্যাচে যেহেতু পাকিস্তানের সঙ্গে, তারা অবশ্যই ভাল দল। তাদের শক্তি, তারা কি ধরনের হকি খেলে, তা আমরা জানি, আমরা যদি নিজেদের দুর্বলতা কোথায় সেটা বের করে ওদের টার্গেট করি, আর জাপান ম্যাচে আমাদের যে ভাল দিক ছিল, সেটাকে আরও পজেটিভ করতে হবে, তাহলে টিম হিসেবে ভাল করা যাবে।’ নিষেধাজ্ঞার কারণে এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারছেন না সারোয়ার হোসেন। এ প্রসঙ্গে জিমির ভাষ্য, ‘সারোয়ার খুবই ভালমানের খেলোয়াড়। প্রায় চার-পাঁচ বছর আমরা একসঙ্গে খেলছি। মিডফিল্ড থেকে শুরু করে সব পজিশনেই সে ভাল খেলে। তাকে না পাওয়াটা অবশ্যই আমাদের জন্য খারাপ একটা দিক। ও থাকলে আমাদের জন্য অবশ্যই ভাল হতো। তবে সারোয়ারের জায়গায় যে সুযোগ পেয়েছে, আমার বিশ্বাস সেও ভাল করবে।’ টেকনিক্যালি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে পাকিস্তান। তাদের বিপক্ষে মনের শক্তিটাই আমাদের জন্য বড় কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে জিমি বলেন, ‘মনের শক্তি এবং সেই সঙ্গে খেলাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখন অনেক ধরনের টুর্নামেন্ট খেলছি। দেশে এবং দেশের বাইরে। আমি মনে করি, এখন আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে ওই ক্যাপাসিটি ও ক্যাপাবিলিটি আছে ফাইট করার। যেহেতু পাকিস্তান টিমকে আমরা অনেকদিন ধরে জানি এবং তাদের সঙ্গে আমরা অনেক ম্যাচও খেলেছি, তারা আমাদের লীগেও খেলেছে। আমি মনে করি, তাদের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের সঙ্গে লড়াই করার সামর্থ্য আমাদের খেলোয়াড়দেরও আছে।’ পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ ইরফান বলেন, ‘আমরা আজও ভাল ট্রেনিং সেশন করেছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভাল হকি খেলার জন্য সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশ সহজ দল নয়। আমি তাদের কয়েকজন খেলোয়াড়কে চিনি, যারা জার্মানিতে খেলেছে। জিমি ভাল খেলোয়াড়। যদি আমরা তাদেরকে সহজভাবে নেই, তাহলে তারা আমাদের হারানোর সুযোগটা নেবে। টুর্নামেন্টের প্রথম মিনিট থেকেই আমরা ভাল হকি খেলতে চাই। অবশ্যই আমরা বাংলাদেশের চেয়ে ভাল দল। আমাদের ভাল খেলোয়াড় আছে। কয়েকজন হল্যান্ডে
×