অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ লোকসানের ঘেরাটোপ থেকে বেরই হতে পারছে না বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। কুইক সামারি রিপোর্টে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, গেল অর্থবছরেও ব্যাংকটিকে গুনতে হয়েছে ৯৮১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লোকসান। কারণ হিসেবে সরকারী নীতির দুর্বলতাকে দুষছেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় হয়েছে নীতি পরিবর্তনের। কৃষি খাতের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ঋণ দেয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। কৃষকদের ঋণদানে তারা যেমন এগিয়ে তেমনি ভার বইছে লোকসানী হিসাবেরও।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, গেল অর্থবছরেও ব্যাংকটিকে গুনতে হয়েছে ৯৮১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লোকসান। এই হিসাব তাও মাত্র ৪৩টি শাখার। ব্যাংকটির সব শাখায় এর পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও শঙ্কা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। যদিও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুষছেন সরকারী নীতিকে। প্রতিবেদনটি বলছে, গেল অর্থবছরে ব্যাংকে প্রভিশন সংরক্ষণের কথা ২ হাজার ৪৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অথচ বাস্তবে রয়েছে মাত্র ৯০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আর আয় দেখানো হয়েছে ১ হাজার ১৪৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা প্রকৃত আয় থেকে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বেশি। গরমিল অন্যান্য সম্পদ, সার্বিক প্রভিশন ঘাটতি ও চাতুরী বিন্যাস আয় স্ফীতকরণ হিসাবেও। যার দায়ও চাপল জুনিয়র কর্মকর্তাদের ওপর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় হয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে ভাবনার। ব্যাংকটির বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরির আগে এই পরিদর্শন প্রতিবেদন যেন আমলে নেয়া হয়, তার নির্দেশনাও রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।