চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোার্টার ॥ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ২৪ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায়ও ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এ খাতে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১২৩ কোটি ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-আগস্ট মেয়াদে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে কাঁচা চামড়া রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ কোটি ৯৩ লাখ মার্কিন ডলার। এ সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ কম। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মেয়াদে কাঁচা চামড়া রফতানিতে আয় হয়েছিল ৪ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায়ও চলতি অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে চামড়ার রফতানি আয় ২৪ দশমিক ২১ শতাংশ কমেছে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৬ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মেয়াদে এ খাতের পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় ৮ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ কম। তবে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসের তুলনায় এ খাতের পণ্য রফতানি আয় ৩৫ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মেয়াদে চামড়ার জুতা রফতানিতে আয় হয়েছে ১৩ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৩ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের রফতানি আয় ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে চামড়ার জুতা রফতানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।