ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ফেরি চলাচল ব্যাহত

প্রকাশিত: ০৪:০১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ফেরি চলাচল ব্যাহত

পদ্মায় নাব্য সঙ্কট নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ৪ সেপ্টেম্বর ॥ সোমবার সকাল থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। ঘাটে এসেই তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পদ্মায় পানি কমতে থাকায় নব্য সংকট ও ডুবোচরের কারণে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টসহ দুটি চ্যানেলের প্রবেশমুখে পানি কমে গেছে। এ কারণে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটে চলাচলকারী ৪টি রো-রো এবং ২টি টানা ফেরি সাময়িক বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ছোট ফেরিগুলো চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ফলে ফেরিঘাটে প্রাইভেট গাড়ির চাপে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। শুধু রো-রো ফেরি বন্ধই নয়, অন্যান্য ছোট ফেরি ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যানবাহন নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ৪ রো-রোসহ ৬টি ফেরি সাময়িক বন্ধ থাকায় বর্তমানে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৩টি ছোট ফেরি চলাচল করছে। ৮৭ লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করায় যাত্রী পারাপার অব্যাহত রয়েছে। রবিবার রাতে যমুনাসহ ২টি টানা ফেরি ডুবোচরে আটকে পড়ে। সোমবার সকালে ওই ২টি ফেরি অন্য জাহাজ দিয়ে টেনে উদ্ধার করা হয়। এদিকে ঈদের তিনদিন পরও ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ রয়েছে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটে। নির্ধারিত দিনে যারা ঈদ করতে বাড়ি ফিরতে পারেনি, তাদের অনেকেই রাজধানীতে কোরবানি দিয়ে এখন বাড়ি ফিরছেন। একদিকে মানুষ ঈদ-উল-আযহার ছুটি কাটিয়ে ঝামেলা এড়াতে আগে-ভাগেই কর্মস্থলে ছুটতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ যারা ঈদ করতে বাড়ি যেতে পারেননি, তারা এখন বাড়ির পথে যাত্রা করেছেন। এ কারণে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটে দ্বি-মুখী যাত্রীচাপ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পদ্মা নদীতে হঠাৎ করে পানি হ্রাস পাওয়ায় দেখা দিয়েছে নাব্য সংকট। শিমুলিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক যান স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, নাব্য সংকটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে চলাচল মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। ২১টি ফেরির মধ্যে এখন চলাচল করছে ৮টি ছোট ফেরি। রো- রো, মিডিয়াম ও ডাম্প ফেরিগুলো চলতে না পারায় বন্ধ রাখা হয়েছে। যেগুলো চলছে পারাপারে সময় ব্যয় হচ্ছে দেড়গুণ। তাই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তিন শতাধিক ট্রাকসহ ৫ শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী সাধারণ। এসব তথ্য দিয়ে শিমুলিয়াস্থ বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ নেওয়াজ খালেদ জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নির্বিঘেœ বাড়ি পৌঁছাতে বিআইডব্লিউটিসি সব ব্যবস্থা করে রেখেছিল। ফেরি ছিল পর্যপ্ত। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকে নাব্য সংকট দেখা দিলে সব এলোমোলো হয়ে যায়। ফেরিগুলো ঠিকমতো চলতে পারছিল না। শুক্রবার রো-রো ফেরি বন্ধ করে দিতে হয়। এখন মিডিয়াম ও ডাম্প ফেরিও বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ২১টির মধ্যে ফেরি চলছে ৮টি। তাও সব ছোট ফেরি। চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। বিআইডব্লিউটিএ সোমবার সকল বাস ও ট্রাককে বিকল্প পথে যাবার অনুরোধ করেছেন।
×