ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টি ইসলাম তারিক

ফুটবলার রণজিৎ সাহার আশির দশক

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৩ আগস্ট ২০১৭

ফুটবলার রণজিৎ  সাহার  আশির  দশক

জন্ম খুবই সাধারণ পরিবারে। বাবা সুরেশ চন্দ্র সাহা ছিলেন নামকরা ওষুধ কোম্পানি ‘কুমিল্লা শর্মা কেমিক্যাল’ এর ম্যানেজার । অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই বাবার মৃত্যু তাকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়। সে বয়সেই নেমে পড়তে হয় জীবন যুদ্ধে। টানাটানির সংসার সচল রাখতে পড়াশোনার পাশাপাশি একটা কাপড়ের দোকানে চাকরি নিতে হয়। কানুদা নামের এক ফুটবল পাগল ফুটবলের রতœ চিনতে ভুল করেননি। ওইটুকু বয়সেই নিজ গোল সীমানায় বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের রুখতে দেখেই কানুদা আঁচ করতে পেরেছিলেন সে একদিন দেশের রক্ষণ ভাগ সামলাবে তিনি তাকে কাপড়ের দোকান বাদ দিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখান। একদিকে সংসারের টানাটানি অন্যদিকে বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন। মনের যুদ্ধে কানুদার সিদ্ধান্তটাই বেছে নিলেন। তিনি বাংলাদেশের ফুটবলার এক সময়ের রক্ষণ ভাগের অতন্দ্র প্রহরী কুমিল্লায় জন্ম নেয়া রণজিৎ সাহা। সমর্থকদের কাছে রণজিৎ নামেই বিশেষ পরিচিত। ফুটবল ক্যারিয়ার খুব একটা দীর্ঘ নয়। তবে অল্প সময়েই একজন দক্ষ রক্ষণ ভাগের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবেই নিজেকে মেলে ধরেছিলেন রণজিৎ। ১৯৮০’র দশকে তৎকালীন সময়ে স্কুল ফুটবল এবং কলেজ ফুটবলের প্রচলন ছিল খুব বেশি। চিটাগং জোনের চারটা বোর্ডের খেলায় কুমিল্লার হয়ে অংশ গ্রহণ করেন রঞ্জিত সাহা। আর তাতেই নজরে পড়ে যান ফুটবল বোদ্ধাদের। ধানম-ি ক্লাবের সে সময়ের কোচ মোহসিন ভাইয়ের সুবাদে যোগ দেন ধানম-ি ক্লাবে। সময়টা তখন ১৯৮১ সাল। তবে ধানম-িতে যোগ দিলেও অতিথি খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম আরামবাগের হয়েই মাঠে নামেন নেপালের আনফা কাপে। নেপাল থেকে ফিরে ধানম-িতে যোগ দিলেও আরামবাগের কোচ আশরাফ ভাই রঞ্জিতকে নিজের দলে খেলাবার জন্য মোহসিন ভাইয়ের কাছে জোর অনুরোধ করেন । মোহসিন ভাই তাতে সাড়া দেননি । তবে রঞ্জিত সাহা কুমিল্লার সেই কানুদার কাছে পরামর্শ চাইলে তিনি ধানম-িতে খেলার সাপেক্ষেই রায় দেন। ধানম-িতে যোগ দিয়ে খেলেন ১৯৮১-১৯৮২ দুই বছর। লীগ শেষে মোহামেডান খেলতে যায় নেপালের আনফা কাপে। ৮২’র লীগে মোহামেডানে ডিফেন্সের একজন খেলোয়াড় ছিলেন চিটাগংয়ের টিপু। তিনি ইঞ্জুরিতে পড়লে শেষে আমন্ত্রিত খেলোয়াড় হিসেবে মোহামেডানের সঙ্গে আবার ওই আনফা কাপে নেপাল যান। আর তাতেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। বাদল রায় আর সালাম মুর্শেদি দুজনে মোহামেডান ক্লাবের তৎকালীন সেক্রেটারি মুনিরুল হক চৌধুরীর কাছে রঞ্জিতকে ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন। তারপর ১৯৮৩ সালেই নাম লেখান সমর্থকপুষ্ট ক্লাব ঐতিয্যবাহি ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। তখন আজমতের সঙ্গে স্টপারে খেলেন রঞ্জিত সাহা। ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানে খেলেছেন ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত। ১৯৮৭ সালে মোহামেডানের অধিনায়ক ছিলেন। ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা পার করেছেন মোহামেডানে। আলোচিত লীগ ছিল ৮৬ এবং ৮৭ সালের। সেল ফোনে জীবনের স্মরণীয় ম্যাচ কোনটা জিজ্ঞেস করলে তিনি উল্লেখ করেন ১৯৮৬ সালের সুপার লীগের মোহামেডান আবাহনীর ম্যাচের কথা। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর পাশের রাজ্য মিনোসোটা থেকে কথা বলতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। ফিরে আসেন সেই ৮০’র দশকের ফুটবলের কথায়। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান ১৯৮৬ সালটা মোহামেডানের জন্য খুব ভাইটাল ছিল। মুল প্রতিপক্ষ আবাহনী ৮৩, ৮৪, ৮৫ টানা তিন বারের চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান ৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন না হতে পারলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে এমন ধারণা সবার। সুপার লীগে মোহামেডান আবাহনী ম্যাচ ড্র হলেই আবাহনী টানা চারবার চ্যাম্পিয়নের পথে এগিয়ে যাবে। মোহামেডানের প্রয়োজন জয়। আবাহনী জয়টা পাক্কা করার জন্য সুপার লীগে মোহামেডানকে মোকাবেলায় ভারত থেকে উড়িয়ে আনে মনোরঞ্জন, ভাস্কর গাংগুলি আর চিমা ওকোরিকে। সঙ্গে ছিল প্রেম লাল এবং পাকির আলী। রঞ্জিত জানান আমরা তখন জয়ের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। গোল কিভাবে কম হজম করা যায় মনে মনে তার পরিকল্পনা করছি। তবে সবার ভেতরে একটা জেদ কাজ করছিল। মোহামেডানে মনু তখন তুখোড় ফর্মে। সে ছিল খুব উজ্জীবিত। তার কথা সে আবাহনীর জালে বল জড়াবেই। জাম্প প্যাকড স্টেডিয়াম। রাইট ব্যাক আবুল ভাই চিমা কে ডি বক্সে ঢুকতেই দিল না। এরি মধ্যে প্রথমার্ধের আট মিনিটে ইলিয়াসের গোল। দ্বিতীয় গোল ২৪ মিনিটে মনুর। পুরো মোহামেডান টিম যেন অলৌকিক শক্তিতে ভরপুর। ২-০ গোলের লিডে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। প্রথমার্ধের ফলাফলই বিরাজ করে দ্বিতীয়ার্ধে। খেলা শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই মোহামেডান সমর্থকরা বিকট আওয়াজে কাপিয়ে তুলে পুরো স্টেডিয়াম। শেষ ম্যাচ ওয়ান্ডার্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করা হয় । বাংলাদেশ ফুটবলের এখন যে সঙ্কট চলছে তার থেকে বের হবার উপায় কি এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আসলে ফুটবলের সঙ্কট দুই ধরনের। একটা হচ্ছে ফুটবলের ক্রেজ সঙ্কট। আরেকটা হচ্ছে ফুটবলের উন্নতি সঙ্কট। ফুটবলের আগের ক্রেজ নাই তবে এটা ফিরিয়ে আনা সম্ভব কিন্তু ফুটবলের উন্নতি করতে হলে অনেক কঠিন কিছু পথ পাড়ি দিতে হবে । আমি এখনও মনে করি বাংলাদেশের ফুটবল দুই শিবিরে বিভক্ত। মোহামেডান এবং আবাহনী। দেশে যতই নতুন ক্লাবের আবির্ভাব হউক না কেন এই দুই দলের মত সমর্থক তারা কেউ তৈরি করতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ এখনও ফুটবলকে পছন্দ করে এখনও মোহামেডান আবাহনীর চরম ভক্ত। প্রয়োজন শুধু এই দলে আবার কঠিন পক্ষ প্রতিপক্ষ হওয়া। আবাহনী কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য পেলেও মোহামেডান একেবারেই তলানিতে চলে গেছে। দেশের ফুটবলের ক্রেজ বাড়াতে হলে অবশ্যই মোহামেডানকে চ্যাম্পিয়ন দল গড়তে হবে। আগামী পাঁচ বছরে যদি মোহামেডান তিনবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারে অবশ্যই বাংলাদেশ ফুটবল ক্রেজ সঙ্কট থেকে অনেকটা উত্তরণ ঘটবে। তবে ফুটবলের উন্নতির বিষয়ে বলেন অন্য কথা। রণজিৎ জানান যেহেতু আজকাল ফুটবলে ভাল অর্থ আছে তাই অনেকেই ফুটবলের প্রতি স্বেচ্ছায় ঝুঁকছে। কিন্তু প্রয়োজন বিকেএসপির মতো আর কিছু ফুটবল একাডেমি। আজকাল বড় বড় কোম্পানিগুলো ফুটবল দল গড়ছে। তাড়া যদি ফুটবলকে এতই ভালবাসে তবে তাদের উচিত হবে দল গড়ার পাশাপাশি ফুটবল একাডেমি গড়ার দিকে নজর দেয়া এবং জুনিয়র দল গঠন করে প্রশিক্ষণ দেয়া। যেখান থেকে ফুটবলার তৈরি হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা সে পথে হাটছে না। খেলোয়াড় যদি বের না হয় তাহলে কিভাবে খেলোয়াড় সঙ্কট কাটবে । আরও উল্লেখ করেন ফুটবল আজকাল হয়ে গেছে ঢাকা কেন্দ্রিক। যেখানে মাঠের প্রচ- রকমের সঙ্কট। ঢাকার বাইরে গ্রামে গঞ্জে মাঠ আছে কিন্তু ফুটবলের বড় কোন আসর হয় না। আর যে কারণে ভাল খেলোয়াড় পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়মিত ফুটবলের আয়োজন হলে ভাল খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে। আর তখনই খেলার উন্নতি ঘটবে। এখনকার খেলোয়াড়রা প্রচুর অর্থ পাচ্ছে এ বিষয়ে তিনি জানান এটা ভাল লক্ষণ তবে ক্লাব অনেক কষ্ট করে টাকা যোগাড় করে খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দেয়। তাই খেলোয়াড়দের উচিত ক্লাবের দিকটা দেখা। যে পরিমাণ টাকা দিয়ে তাকে নেয়া হয় তার পুরোটা খেলা দিয়ে পুষিয়ে দেয়া। তাছাড়া একই ক্লাবে দীর্ঘদিন না খেললে খ্যাতি পাওয়া যায় না। আজকাল এ জিনিসটা খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা যায় না। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবং পত্রপত্রিকা মারফত জানতে পারেন মনুর অসুস্থতার কথা। তিনি জানান এই মনু ১৯৮৬ সালে আবাহনীকে যে গোল দিয়েছিল তার মূল্য কোটি টাকা। চীন আর থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি গোল ছিল অবিশ্বাস্য। অথচ আজ তার ভালমতো চিকিৎসা হচ্ছে না টাকার জন্য। একজন খেলোয়াড় যতদিন মাঠে থাকে ততদিন তার মূল্য আছে। মাঠে নাই তার মূল্য শেষ। বড় কষ্ট হয় এসব দেখলে। তাই খেলোয়াড়রা অর্থ পাচ্ছে আমি সেটা ভালভাবেই দেখি । ১৯৮৭ সালের লীগের শেষ ম্যাচ মনে আছে আপনার? হাসতে হাসতে জানান এখনও চোখে ভাসে সে স্মৃতিগুলো। মোহামেডান ২-১ গোলে পিছিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে কানন ইঞ্জুরড হয়ে মাঠ ছাড়ে। মাঠে নামেন কোচ কাম গোল রক্ষণ নাসের হেজাজি। হেজাজি মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে যেন আমরা চালকের আসনে চলে যাই। সে ম্যাচ আমরা ৩-২ গোলে জয় লাভ করি। জয় সূচক গোলের বলটা আমি খুরশিদ বাবুলকে থ্রু ঠেলে দেই। তারা অফসাইড ট্র্যাপ করতে গিয়ে গোলটা হজম করে। আবাহনী তখন এই কাজটা প্রায় করত। সে সময় আমাদের কোচ হেজাজি আমাদের কে এই অফসাইড ট্র্যাপ কিভাবে বিট করে গোল করতে হবে তার জোর অনুশীলন করিয়েছিলেন। আমরা তার ফলাফল হাতেনাতে পেয়েছিলাম। প্লে অফ ম্যাচে নির্ধারিত সময় ড্র। সে ম্যাচে জয় পরাজয় যাই ঘটুক না কেন ম্যাচ শেষে অবধারিত হাঙ্গামা হবে এটা নিশ্চিত। তাই তখন দুই দল সহ ফুটবল কমিটির সম্পাদক নুরুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা করে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। অথচ পুরো দায়ভার এসে পড়ে আমার আর আসলাম ভাইয়ের উপর। আমাদের সাসপেন্ড করা হয়। পরে এরশাদ আর্মি স্টেডিয়ামে খেলা অনুষ্ঠিত হলে মোহামেডান ২-০ আবাহনীকে গোলে পরাজিত করে উপর্যুপরি দ্বিতীয়বারের মতো অপরাজিত লীগ চ্যাম্পিয়নের স্বাদ গ্রহণ করে। মোহামেডানের অধিনায়ক হিসেবে সেটা আমার গর্বের কিন্তু সাসপেন্ডের বিষয়টা আজও মানতে পারি না। ফুটবল ক্যারিয়ারে কোন খেলোয়াড়কে খুব বেশি সমীহ করতেন? তিনি বলেন আবাহনীর প্রেমলাল কে। প্রেমলাল ছিলেন অসাধারণ একজন খেলোয়াড়। যে কোন মুহূর্তেই খেলার ভাগ্য বদলিয়ে দিতে পারত। ডি বক্সের মধ্যে সে ছিল খুবই ডেঞ্জারার্স। আর আশিস ভদ্র ছিলেন থ্রু পাশ দেয়ার মাস্টার। হঠাৎ একটা বল দু’চারজনের মাঝখান থেকে থ্রু ঠেলে দিতেন। সেটা ছিল দেখার মতো। যে থ্রু থেকে প্রায়শই গোল পেত স্ট্রাইকাররা। এমন মাপের খেলোয়াড় আজকাল দেখা যায় না। রণজিৎ সাহা ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত মোহামেডানে ছিলেন তারপর প্রিয় ক্লাব মোহামেডান ছেড়ে আবাহনীতে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। সেখানে ১৯৯১ পর্যন্ত খেলেন। ১৯৯৬ সালে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। ২০০৮ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্ত্রী এবং এক মেয়ে রিমি সাহা কে নিয়ে সুখের সংসার। ফুটবলে কোন কষ্ট আছে কিনা জানতে চাইলে কিছুটা চুপচাপ হয়ে জান। পরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেনÑ প্রত্যেকটা মানুষ তার প্রিয় কর্মস্থল থেকে স্মরণীয়ভাবেই বিদায় নিতে চায়। আমিও তাই চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি। ক্লাবের কিছু কর্মকর্তাদের আচরণে আমি পুরোপুরি হতাশ হয়েছি। যা এখনও আমাকে কষ্ট দেয়। রঞ্জিত সাহা কানুদার হাত ধরে জীবনের প্রবাহকে বদল করেছিলেন। সামিল হতে পেরেছিলেন বাংলাদেশ ফুটবলের স্বর্ণযুগের সঙ্গে। ক্লাব ফুটবলে মূল প্রতিপক্ষের সঙ্গে জয়ের কিংবা চ্যাম্পিয়নের বহু স্বাদ গ্রহণ করেছেন। তিনি দেখেছেন বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলা মনু’র অসাধারণ কিছু গোল। যে গোলে লাখো কোটি সমর্থক এক হয়ে গোল বলে চিৎকার করেছিলেন। দেখেছেন ফুটবলের উত্থান। আজ ভাবিয়ে তুলে এই পড়ন্ত বেলায় যখন দেখেন অসুস্থ মনু’র জীবনের সঙ্গে বেঁচে থাকার লড়াই। যখন দেখেন বাংলাদেশ ফুটবলের অবমনন। তার বিশ্বাস যে দেশের লাখো কোটি মানুষ ফুটবল পাগল সে দেশে প্ল্যান মাফিক এগুলে ফুটবলের উন্নতি না হয়ে পারে না। একদিন আবার দেশের ফুটবলের জাগরণ হবে। ফুটবল সংশ্লিষ্ট সকলের স্বদিচ্ছার বহির্প্রকাশ ঘটবে বাস্তবে। নিশ্চয়ই প্রাণ ফিরে পাবে গ্যালারি। অবহেলিত হবে না বাংলাদেশের কোন ফুটবল খেলোয়াড়। লাখো কোটি সমর্থকদের সঙ্গে একাত্ত হয়ে আবারও গোল গোল বলে চিৎকার করতে চান। চিৎকার করে বাংলাদেশ ফুটবলের উত্থান জানান দিতে চান রণজিৎ সাহা।
×