** চিরকালের চাঁদ
মোরশেদ কমল
লেবুর বনে দেখেছিলাম
টুনটুনিদের বাসা
কে জানতো দেখতে হবে
এমন সর্বনাশা!
টুনটুনিদের বাসা উধাও
নীরব চোখের ভাষা।
পথের ধারে দেখেছিলাম
সেগুন গাছের সারি
সে সব এখন কোথায় গেলো
পাই না দেখা তারই;
কে জানতো থাকবে না গাছ
উঠবে যে ঘর বাড়ি?
নদীর তীরে দেখেছিলাম
সবুজ সবুজ ঘাস
কে জানতো ঘাসকে নিয়ে
খেলবে নদী তাস;
ঘাস নেই যে, এ চোখ দু’টো
করে না বিশ্বাস।
জোৎস্নারাতে দূরাকাশে
ঝলমলে চাঁদখানা
চিরকালের চাঁদটা আমার
অনেক চেনা জানা ,
ভাবছি আমার চাঁদের বুকে
কে দেয় আবার হানা!
** খোকাখুকি হবে বড়
আবেদীন জনী
ফুলের সাথে হাসবে শিশু
সবুজ ছায়ায় খেলবে
সকাল বিকেল নরোম হাওয়ায়
মনের ডানা মেলবে।
কিংবা আবার ফড়িং হবে
সবুজ ঘাসের মাঠে
কখনোবা বসবে গিয়ে
তালপুকুরের ঘাটে।
চাঁদের সাথে বলবে কথা
জোছনাভেজা রাতে
ফুটবে হাসি রাশি রাশি
ফোকলা রুপোর দাঁতে।
রঙিন রঙিন জামা-জুতোয়
মনের মতো সাজবে
খুব খুশিতে মিহিন সুরে
প্রাণের বাঁশি বাজবে।
ইচ্ছে হলেই করবে ওরা
আনন্দ-হইচই
থাকবে হাতে রং তুলি আর
গল্প-ছড়ার বই।
খোকাখুকি হবে বড়
এমন পরিবেশে
মা-মাটিকে আপন মনে
ভালোবেসে বেসে।
** নিদ্রাহীন যাত্রী
জোবায়দা আক্তার চৌধুরী
রাত্রিরা জেগে আছে আমার পাহারায়
ঘুম বলে ঘুমিয়ে পরো তুমি।
দেখিতো কে তোমায় জাগায়,
সূয্যি বলে রইবো আমি দ্বারে
উঠবে তুমি শিশির ভেজা ভোরে।
কুয়াশাচ্ছন্ন সকালটা
দেখতে চাই সবার আগে,
ঘুমটি আমার ভারি দুষ্টু
সকাল হলেই দু’চোখ লাগে।
সব কাজ পড়ে থাক
থাকবো না আর জেগে।
ঘুমকে বলি,
আমায় নিয়ে রঙ্গ করিস?
যাবো কিন্তু রেগে।
দেখবো তখন,
কোথায় যাস ভেগে।
** অপেক্ষা
অভিজিত বড়–য়া বিভু
নয়নের মন ভাল না
একা বসে থাকে,
ভাবখানা এমন যেন
ব্যথার ছবি আঁকে।
কেন যে রেগে দিল আড়ি
সময় কাটেনা একা বাড়ি
অপেক্ষায় থাকে কখন কবে
বন্ধুরা খেলায় ডাকে।
শীর্ষ সংবাদ: