ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাহিদ ফারজানা এসডি-এশিয়া

গ্রামীণফোন এ্যাক্সিলেরেটরে নতুন স্টার্টআপ গ্রুপ

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৯ আগস্ট ২০১৭

গ্রামীণফোন এ্যাক্সিলেরেটরে নতুন স্টার্টআপ গ্রুপ

জিপি হাউসে গ্রামীণফোন এ্যাক্সিলেরেটর (জিপিএ)-এর ডেমো ডে-তে মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে তৃতীয় ব্যাচকে বিদায় সংবর্ধনা এবং একই সঙ্গে চতুর্থ ব্যাচকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে। গ্রামীণফোনের সঙ্গে চার মাসের এ্যাক্সিলেরেটর যাত্রা সফলভাবে সম্পন্ন করে তৃতীয় ব্যাচের স্টার্টআপগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের ব্যবসাকে উপস্থাপন করে। একই প্ল্যাটফর্মে চতুর্থ ব্যাচের নতুন পাঁচটি স্টার্টআপকে স্বাগত জানানো হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তরুণ স্টার্টআপদের প্রযুক্তি বিষয়ক সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে এসডি এশিয়ার সঙ্গে মিলে দি জিপি এ্যাক্সিলেরেটর প্রোগ্রামটি সাজানো হয়েছে। প্রতিটি ব্যাচের স্টার্টআপদের চার মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞ দ্বারা কারিকুলামভিত্তিক মেন্টশিপ প্রদান করা হয়। নির্বাচিত প্রতিটি স্টার্টআপকে সিড ফান্ড হিসেবে ১২ লাখ টাকা, প্রায় ১০০০ মার্কিন ডলার মূল্যের এ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস ক্রেডিট এবং চার মাসব্যাপী জিপি হাউসে কাজ করার জন্য বিশাল জায়গা দেয়া হয়ে থাকে। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের নজরে আসা, খাত সংশ্লিষ্ট পেশাদারদের দ্বারা যাচাই-বাছাই এবং নিজেদের প্রকল্পটি বাণিজ্যিকীকরণের লক্ষ্যে সবরকম আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে স্টার্টআপগুলো। এদের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান আগামী সেপ্টেম্বরে টেলিনর গ্রুপ আয়োজিত ডিজিটাল উইনার এশিয়ায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে এশিয়ার অন্যান্য দেশে নিজেদের ব্যবসা বিস্তারের সুযোগ পাবে। তৃতীয় ব্যাচের তিনটি স্টার্টআপ- জলপাই, মাইক্রোটেক ও ব্যাংক কম্পেয়ারবিডি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, পেশাদার প্রযুক্তিবিদ, গ্রামীণফোন ও এসডি এশিয়ার উর্ধতন কর্মকর্তাগণসহ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত প্রায় ২০০জনের সামনে যার যার ব্যবসায়িক ধারণা প্রদর্শন করে। চতুর্থ ব্যাচের স্টার্টআপরাও অতিথিদের সামনে নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরে। চতুর্থ ব্যাচের শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপগুলো হচ্ছে- অল্টারইউথ, ফুডটং, অভিযাত্রিক, মার্স এবং আমার উদ্যোগ। দেশের বিভিন্ন খাতের জটিল সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব দিয়ে এবারের প্রোগ্রামটি পরিচালনা করা হবে। নতুন ব্যাচকে স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি বলেন, ‘নতুন বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে আমরা আমাদের ব্যবসার জন্য একটি ইকো সিস্টেম গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি এবং আপনাদের উদ্ভাবিত সেবাগুলো আমাদের নেটওয়ার্কে চলে এবং গ্রাহকদের নতুন চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।’ একটি প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সবগুলো স্টার্টআপ নির্বাচিত হয়েছে। এবারে প্রায় ৭০০টি আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্য থেকে ২৫টি স্টার্টআপকে দুদিনব্যাপী জিপি এ্যাক্সিলেরেটর বুট ক্যাম্পে ডাকা হয়। এদের মধ্যে থেকে ১১টি স্টার্টআপকে পর্যবেক্ষণ, প্রত্যক্ষ সাক্ষাতকার ও প্রতিযোগিতামূলক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে কঠোর মূল্যায়ন করা হয়। অবশেষে শীর্ষ পাঁচটি স্টার্টআপ চতুর্থ ব্যাচের জন্য নির্বাচিত হয়। নতুন ব্যাচটিকে নিয়ে জিপি এ্যাক্সিলেরেটরের প্রধান মিনহাজ আনোয়ার বেশ উচ্ছ্বসিত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম যখন পরিণত হচ্ছে তখন চতুর্থ ব্যাচকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। এখন আরও বাস্তবমুখী ও ভিন্নধর্মী সমস্যা নিয়ে স্টার্টআপগুলো কাজ করছে যেমন শস্য রক্ষার্থে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পরা বন্ধ করা বা কমিউনিটি ট্যুরিজমের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রচারণা ইত্যাদি। বিদায়ী ব্যাচ ও নতুন ব্যাচ নিয়ে উচ্ছ্বসিত এসডি এশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর আর খান বলেন, ‘ডেমো ডে-তে তৃতীয় ব্যাচের অসাধারণ প্রদর্শনীর পর আমরা চতুর্থ ব্যাচকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। নতুন ব্যাচটি ইতোমধ্যে বেশকিছু চমৎকার ব্যবসায়িক মডেল প্রদর্শন করেছে যেগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
×