ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইয়ে আমের ভিয়েতনাম জাত ‘তাইওয়ান গ্রীন’

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ২ আগস্ট ২০১৭

চাঁপাইয়ে আমের ভিয়েতনাম জাত ‘তাইওয়ান গ্রীন’

ডি.এম তালেবুন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ নতুন জাত, নতুন নাম, তাইওয়ান গ্রীন। এটি একটি বিদেশী আমের জাত। কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টার গত চার বছর ধরে গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে এ বছর সাফল্য পেয়েছেন। জাতটি এসেছে ভিয়েতনাম থেকে। নাভী জাতের এ আমের দারুণ চাহিদা রয়েছে দেশে এবং বিদেশে। কারণ স্থানীয় জাত, সব ধরনের ফজলি, আম শেষে এই আমে পরিপক্বতা পেয়ে থাকে। তবে মজার ব্যাপার আকারে দেখতে আসলে এখানকার ফজলি জাতের মতো। আগস্টের শেষ নাগাদ বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই নাভী জাতটি পাকতে শুরু করে। অর্থাৎ পুরো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই আম পাওয়া যাবে। প্রতিটির ওজন এক কেজি ৮০ গ্রামের কাছাকাছি। দেখতে এখানকার ফজলির মতো লম্বাটে হয়ে থাকে। আটি ও খোসা মিলে ১৩.৮১ পার্সেন্ট। ভক্ষণ উপযোগী অংশ ৮৬.১৯ পার্সেন্ট। মিষ্টির অংশ প্রায় ১৫ এর কাছাকাছি। ১৯১৩ সাল থেকে গভীরভাবে গবেষণার পর এবার সাফল্য এসেছে। গাছের উচ্চতা হয়ে থাকে ১৫/১৬ ফুটের অধিক। ডালপালায় ভর্তি থাকে। ভিয়েতনামে ‘তাইওয়ান গ্রীন’ নামের আমটি তাদের দেশে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষি বিজ্ঞানী ও গবেষক কৃষিবিদ ড. সাইফুর রহমানের অভিমত কোন আম নিয়ে এত দীর্ঘ সময় গবেষণা করতে হয় না। তবে এবারই প্রথম উৎপাদনে সফলতা আসায় তারা খুবই আনন্দিত। সহ-গবেষক জোহরুল জানান তাছাড়া এত বড় সাইজের নাভী জাতের আম এই উপমহাদেশে খুবই বিরল। বিধায় এর আবাদ বা চাষাবাদ ব্যাপক হারে শুরু হলে কৃষকরা খুবই উপকৃত হবে। তবে কৃষকদের আমটি চাষাবাদে প্রথম দিকে অধিক আগ্রহ থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখা কঠিন হবে। কারণ মৌসুমের শেষে, প্রচ- বর্ষার মধ্যে পরিপক্বতা পাওয়ার কারণে এই জাতিটিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ অধিক হতে পারে। তবে হয়তবা ব্যাগিং পদ্ধতি শুরুতেই প্রয়োগ করতে পারলে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত সমস্যা অনেকখানি প্রশমিত হবে। তাছাড়া মৌসুমের শেষ পর্যায়ে এ আম বাজারজাত করায় কয়েকগুণ বেশি দাম পাবার সম্ভাবনা খুবই থাকবে। হার্টিকালচারের সহ-গবেষক কৃষিবিদ জোহরুল জানান জাতটি বাজারে আসলে কৃষক দারুণভাবে উপকৃত হবে।
×