স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওভাল টেস্টে ২৩৯ রানে বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সোমবার শেষ দিনে ৪৯২ রানের বিশাল লক্ষ্য নিয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫২ রানে অলআউট হয়। প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৭৫ রানে। ইংল্যান্ড ৩৫৩/১০ ও ৩১৩/৮ ডিক্লেঃ। শেষ দিনের শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেছেন স্পিনার মঈন আলি। তবে দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন বেন স্টোকস। এ জয়ে সিরিজে ২-১এ এগিয়ে গেল ইংলিশরা। ওল্ডট্র্যাফোর্ডে শুক্রবার শুরু সিরিজ নির্ধারণী চতুর্থ ও শেষ টেস্ট। ৭৬তম ওভারের শেষ দুই বলে ডিন এলগার ও কাগিসো রাবাদাকে ফিরিয়ে দলের জয়কে এক উইকেট দূরত্বে নিয়ে যান মঈন। পরের ওভারে ফিরে প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মরনে মর্কেলকে।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি ৪৩তম হ্যাটট্রিক। ১৯৩৮ সালের পর প্রথম ইংলিশ অফস্পিনার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন মঈন। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই জোহানেসবার্গে পরপর তিন বলে উইকেট নিয়েছিলেন টম গডার্ড। ম্যাচ বাঁচাতে ৬ উইকেট নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিন কাটিয়ে দিতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। জিততে করতে হতো আরও ৩৭৫ রান। তার কোনোটারই ধারে কাছে যেতে পারেনি দলটি। গুটিয়ে গেছে ২৫২ রানে। ৪ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা প্রোটিয়াদের শুরুটা অবশ্য ছিল আশা জাগানিয়া। ইংলিশ পেসারদের ঠিকঠাক সামাল দিচ্ছিলেন এলগার ও টেম্বা বাভুমা। তাদের ১০৮ রানের জুটি ভাঙ্গার কৃতিত্ব টবি রোল্যান্ড-জোন্সের। অভিষিক্ত এই পেসার পরপর দুই বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বাভুমা ও ভার্নন ফিল্যান্ডারকে। ক্রিস মরিসের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটিতে আবার প্রতিরোধ গড়েন এলগার।
মরিসকে ফিরিয়ে বিক্তরিকর হয়ে ওঠা জুটি ভাঙ্গেন মঈন। কেশভ মহরাজের সঙ্গে ৪৭ রানের আরেকটি জুটিতে দলকে আড়াই শ’ রানে নিয়ে যান এলগার। তবে অতিথিদের প্রতিরোধ মাত্র তিন বলের মধ্যেই গুঁড়িয়ে দেন মঈন। ২২৮ বলে ২০টি চারে ১৩৬ রান করে ফেরেন এলগার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাভুমার ৩২। ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার মইন। রোল্যান্ড জোন্স ৩ উইকেট নেন ৭২ রানে। সেঞ্চুরিসহ ১৪৩ রান আর ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা স্টোকস।
