ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাশরাফির হাতে আজ উঠবে ‘সেরা বাঙালী’র পুরস্কার

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৯ জুলাই ২০১৭

মাশরাফির হাতে আজ উঠবে ‘সেরা বাঙালী’র পুরস্কার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘এ ধরনের স্বীকৃতি আনন্দের। পুরস্কার মানুষকে ভাল কাজ করতে প্রেরণা জোগায়।’ কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুক্রবার বিকেলে পরিবারসহ কলকাতায় ‘সেরা বাঙালী’ পুরস্কার নিতে যাওয়ার আগে এমনটাই জানালেন। আজ সেই পুরস্কার মাশরাফির হাতে উঠবে। আজ কলকাতায় জমকালো এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার মাশরাফির হাতে তুলে দেয়া হবে। কয়েকদিন কলকাতায় থেকে ৩ আগস্ট দেশে ফিরে আসবেন মাশরাফি। কলকাতা ভিত্তিক এবিপি মিডিয়া গ্রুপ প্রতিবারই এ কাজটি করে থাকে। বাঙালী কীর্তিমানদের পুরস্কৃত করে থাকে। এবারও তারা করছে। তবে এবার তাদের ‘সেরা বাঙালী খেলোয়াড়’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আছেন। ‘সেরা বাঙালী খেলোয়াড়’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃতদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন তিনি। প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বাঙালী কীর্তিমানদের পুরস্কৃত করে থাকে কলকাতা ভিত্তিক এবিপি মিডিয়া গ্রুপ। কলকাতার প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা আনন্দবাজার ও এবিপি আনন্দ চ্যানেলের সূত্র অনুযায়ী আজ অনুষ্ঠিত হবে ‘সেরা বাঙালী ২০১৭’ খেতাব প্রদান অনুষ্ঠানটি। মাশরাফিকে খেতাব প্রদান ও পুরস্কৃত করার ব্যাপারটি ইতোমধ্যে বিসিবির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে আয়োজকরা। প্রতিবারের মতো এবারও খেতাব প্রদান অনুষ্ঠানটি এবিপি আনন্দ চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করার কথা রয়েছে। ইতোপূর্বে ২০০৭ সালে বাংলাদেশী ক্রিকেটার হাবিবুল বাশার ও ভারতীয় ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীও জিতেছিলেন এই খেতাব। ২০১২ সালে খেতাবটি জুটেছিল বাংলাদেশী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও ভারতীয় ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারীর নামের পাশে। এছাড়াও পুরস্কারটি জিতেছিলেন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসও। ৫ বছর পর আবারও কোন বাংলাদেশী ক্রিকেটার কলকাতার মর্যাদাপূর্ণ খেতাবটি পেলেন। এবিপি মিডিয়া বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে মাশরাফি বিন মর্তুজা বিশ্বমঞ্চে বাঙালীদের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো টানা ৬টি সিরিজে জয়লাভ করে। এছাড়াও ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উত্থিত হয় এবং সর্বশেষ চলতি বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে পৌঁছায়। ২০১৪ সালে আবারও জাতীয় দলের অধিনায়ক করা হয় মাশরাফিকে। এরপর থেকে বদলে যায় দলের চিত্র। একের পর এক জয় পেতে থাকে দল। মাশরাফির নেতৃত্বে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে খেলে টাইগাররা। এরপর পাকিস্তান, ভারত ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে মাশরাফির নেতৃত্বে রানারআপ হয় দল। এসব সাফল্যের ফলে আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি হয় বাংলাদেশের। এমনকি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেও সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
×