ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মংলা বন্দরে রেকর্ড সংখ্যক জাহাজ এসেছে

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৭ জুলাই ২০১৭

মংলা বন্দরে রেকর্ড সংখ্যক জাহাজ এসেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে মংলা বন্দরে বিদেশী জাহাজের আগমন, পণ্য হ্যান্ডেলিং ও আয় আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম বন্দরটিতে রেকর্ড সংখ্যক এসেছে বিদেশী জাহাজ। বেড়েছে পণ্য হ্যান্ডলিং ও আয়। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে মংলা বন্দরে ৬২৩টি বিদেশী জাহাজ এসেছে। প্রায় ৭৫ লাখ মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডেলিং হয়েছে। আর সব মিলিয়ে মুনাফা হয়েছে প্রায় ৭২ কোটি টাকা; যা আগের সব অর্থবছরের চেয়েও অনেক বেশি। ১৯৫০ সালে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ৭১ নটিক্যাল মাইল উজানে পশুর নদী ও মংলা নালার সংযোগস্থলে প্রতিষ্ঠিত হয় এ বন্দরটি। শুরুতে চালনা বন্দর নামকরণ করা হলেও ১৯৮৭ সালের মার্চ মাসে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মংলাবন্দর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলে এলেও নব্বইয়ের দশকে এসে এ বন্দর বেহালদশায় পড়ে। বন্দরে বিদেশী জাহাজ আসার পরিমাণ মারাত্মক হারে কমতে থাকে। এমনও সময় গেছে, যখন দীর্ঘ এক মাসে মাত্র একটি বা দুটি জাহাজ ভিড়েছে এ বন্দরে। কোন কোন মাসে তো একটি জাহাজও ভিড়তে দেখেননি বন্দর সংশ্লিষ্টরা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নানামুখী উদ্যোগ নেয় মংলাবন্দরকে ঘিরে। ফলে ধীরে ধীরে কর্মচঞ্চল হতে শুরু করে বন্দরটি। এছাড়া পশুর চ্যানেলে ড্রেজিং করে নাব্য সংকট দূর করা, ড্রেজারসহ নতুন নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, নৌযান কেনা ও দক্ষ জনবল নিয়োগের ফলে বন্দরে জাহাজের আগমন বাড়তে থাকে। ফলে এক সময় মৃত বন্দর হিসেবে পরিচিত মংলাবন্দর দাঁড়ায় মাথা উঁচু করে। এ বিষয়ে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এ কে এম ফারুক হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক মংলাবন্দরের ওপর দৃষ্টি রাখছেন। ফলে এ বন্দরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে। বন্দরের এ উন্নয়নের কারণেই সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধীরে ধীরে বিদেশী জাহাজের আগমন, পণ্য হ্যান্ডেলিং ও আয় বেড়েছে।
×