ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিন্ডিকেটের কারণে চালের কৃত্রিম সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৫ জুলাই ২০১৭

সিন্ডিকেটের কারণে চালের কৃত্রিম সঙ্কট

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিদেশ থেকে জিটুজির মাধ্যমে আমদানির নামে কমিশন বাণিজ্য করতেই সরকারের ঘরে চাল-গম মজুদে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন আমদানি বন্ধ রেখে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে গত বছরের চেয়ে অনেক কম খাদ্যশস্য সংগ্রহ করায় তৈরি হয়েছে এই সঙ্কট। খোদ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালীরা এই সিন্ডিকেটে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বোরো উঠার পর বছরের এই সময়ে সরকারী চালের মজুদ থাকার কথা ৬ থেকে ৭ লাখ টন। কিন্তু এখন সরকারী গুদামে চাল আছে মোটে ১ লাখ ৭০ কাজার মেট্রিক টন। এ মজুদ পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সরকার ভিজিএফ, ভিজিপি, জিআর, টিআরসহ অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীতে চালের পরিবর্তে গম দেয়া শুরু করে। আর এতে করে ৩০ জুনের পর গমের মজুদও ৩ লাখ টন থেকে কমে নেমে আসবে ১ লাখ টনে। চাল-গমের মজুদের এত করুণ দশায় আগে কখনও পড়তে হয়নি সরকারকে। কেন এই সঙ্কট তার কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বেশ কিছু তথ্য। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ধান-গম সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা সরকার নির্ধারণ করে তা পূরণ না করেই আমদানিতে তৎপর হয়ে উঠে খাদ্য মন্ত্রণালয়েরই একটি চক্র। এ কারণে গেলবার সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করলেও এবার আতপ ও সিদ্ধ মিলিয়ে চাল সংগ্রহ হয় মাত্র ৪৫ হাজার টন। গম সংগ্রহ হয় মাত্র ৮৭ হাজার টন, যা গেলবার ছিল ২ লাখ টন। ঘাটতি পূরণে জিটুজির মাধ্যমে দুই দফায় রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয় ১ লাখ টন গম। আর ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ টন চাল আনার সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। অভিযোগ আছে, এসব আমদানির নেপথ্যে রয়েছে ওই চক্রের কমিশন বাণিজ্য। সুইস ব্যাংকে টাকা রাখা বাংলাদেশীদের তালিকা নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সুইস ব্যাংকে যেসব বাংলাদেশী টাকা রেখেছেন, তাদের কোন তালিকা নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। কারণ, এখন পর্যন্ত সুইস সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের এ ধরনের কোন চুক্তি হয়নি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারতের অনুকরণে সরকার এই তালিকা যোগাড়ে উদ্যোগ নিতে পারে। তবে সেজন্য দরকার সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা। বিশ্বের যে কোন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তুলনায় বেশি আলোচিত সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবি। কারণ, প্রতিবছরই সুইজারল্যান্ডের এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব দেশের মিডিয়াতেই আলোচনায় আসে তার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে। সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশীদের জমা অর্থের পরিমাণ ২০১৫ সালের ৫৫ কোটি সুইস ফ্রাঁ থেকে বেড়ে ২০১৬ সালে ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ হয়েছে।
×