হালাল শিল্পের বিকাশ বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি হালাল খাদ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। শিল্পমন্ত্রী ঢাকায় ‘বাংলাদেশ হালাল এক্সপো-২০১৭’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, হালাল শিল্প বিশ্বব্যাপী একটি উদীয়মান শিল্প খাত। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্য ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ হালাল খাদ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে বিশ্ববাজারে রফতানি বাড়াতে পারে। ইসলামিক ফউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বক্তব্য দেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, হালাল শিল্প এখন বিশ্ব ইসলামিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ সালে বিশ্বে হালাল শিল্পের পরিমাণ ছিল ৭শ’ ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে প্রতি বছর হালাল খাদ্য ও পণ্যের চাহিদা ১০.৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০১৯ সাল নাগাদ বিশ্বে হালাল শিল্পের পরিমাণ ৩.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। হালাল খাদ্যের মতো বিশ্বে হালাল পর্যটন শিল্প খাতও দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ব পর্যটন শিল্প খাতের শতকরা ১১.৬ ভাগ হালাল পর্যটন শিল্পের আওতাভুক্ত। ২০১৯ সাল নাগাদ এ শিল্প ২শ’ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাজারে ওয়ালটনের ৬৭ মডেলের এলইডি টিভি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানেই বিনোদন। ঈদের দিনগুলোতে দেশের প্রায় সব চ্যানেলেই প্রচারিত হয় বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এ বিনোদন উপভোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে টেলিভিশন। বিনোদনপিপাসুদের জন্য নিখুঁত ফিনিশিং ও আকর্ষণীয় আউটলুকের ৬৭ মডেলের এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) টেলিভিশন বাজারে বিক্রি করছে ওয়ালটন। ঈদ-উল-ফিতরকে ঘিরে স্থানীয় বাজারে এলইডি টিভির যে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে তা পূরণে বিশেষ প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার ওয়ালটনের টার্গেট গত ঈদ-উল-ফিতরের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি এলইডি টিভি বিক্রি। কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় স্থাপিত ওয়ালটন মাইক্রো-টেক কর্পোরেশনে সর্বাধুনিক ইউরোপিয়ান প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে বার্ষিক ১.৩ মিলিয়ন এলইডি টেলিভিশন প্রস্তুত করার ক্ষমতাসম্পন্ন কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে আর্দ্রতা, তাপ ও ধুলারোধী আইএসও ৭:১০০০০ মানের ক্লিন রুম।