ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী সপ্তাহেই পর্দা উঠছে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের, প্রস্তুত আয়োজকরা

ফুটবল বিশ্বকে চমকে দেয়ার অপেক্ষায় রাশিয়া!

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ১৩ জুন ২০১৭

ফুটবল বিশ্বকে চমকে দেয়ার অপেক্ষায় রাশিয়া!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ রাশিয়া। তার আগে ১৭ জুন পর্দা উঠবে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের। প্রথমবারের মতো পূর্ব ইউরোপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে যার প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত কনফেডারেশন্স কাপ। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের আয়োজন করাটা নিঃসন্দেহে খুব কঠিন কাজ। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত আয়োজক কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে রোমাঞ্চিতও। এ প্রসঙ্গে রাশিয়া বিশ্বকাপের এক বছর আগেই আয়োজক কমিটির সিইও এ্যালেক্সি সোরুকিন বলেন, ‘ফিফা যখন আমাদের ওপর আস্থা রেখেছিল তখনই আমরা রোমাঞ্চিত হয়ে পড়ি। কেননা পূর্ব ইউরোপে এবারই প্রথমবারের মতো এ রকম কোন টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। গোটা বিশ্বের কাছে আমাদের দেশকে সবচেয়ে ভালভাবে উপস্থাপন করাটাও দারুণ সুযোগ হয়ে উঠেছে। এখানে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের আমরা স্মরণীয় একটি টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারলেই খুশি হব।’ বিশ্বকাপ এবং কনফেডালেশন্স কাপ আয়োজন করাটা যে কোন দেশের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রাশিয়া প্রস্তুত। এ প্রসঙ্গে এ্যালেক্সি সোরুকিন বলেন, ‘বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এখনও চলছে। চার শহরে অনুষ্ঠিত হবে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ; সেগুলো হলো মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ, কাজান ও সোচি। সবকটি শহরই খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকদের গ্রহণ করতেও প্রস্তুত তারা।’ আয়তনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দেশ রাশিয়ার ১১ শহরের ১২ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ২০১৮ বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। প্রথমবার বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল হতে চলেছে প্লাস্টিকের ঘাসে। আয়োজক কমিটিই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফাইনালের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামকে। এরপর থেকেই লুঝনিকি স্টেডিয়ামের মাঠকে আমূল পাল্টে ফেলার কাজ শুরু হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের একটি সংস্থা এই বিশেষ প্লাস্টিক ঘাসের মাঠ তৈরি করার দায়িত্ব নিয়েছে। বিশেষ এই ঘাসকে বলা হচ্ছে ‘সিসগ্রাস’। যেখানে মাঠের ৯৫ শতাংশ প্রাকৃতিক ঘাসকে ছেটে ফেলে তাকে প্লাস্টিকের ঘাসে পরিণত করা হবে। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইলিয়াস কোবাল জানান, ‘ফুটবলারদের এই বিশেষ প্লাস্টিকের ঘাসের মাঠে খেলতে বিন্দুমাত্র সমস্যা হবে না। বরং বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালের মতো ম্যাচে এই বিশেষ মাঠে আয়োজন করার সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত।’ ইংল্যান্ডে অবশ্য এই প্লাস্টিক ঘাসের মাঠে ফুটবল নতুন কোন ঘটনা নয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ফুটবলারদের পক্ষে এই প্লাস্টিকের ঘাসের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেয়া কতটা সহজ হবে? সিসএয়ার সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, কোন কারণে প্রবল বৃষ্টি হলে প্রাকৃতিক ঘাসের মাঠে নিচে যে পরিমাণ পানি জমে এবং ফুটবলারদের বুট আটকে যায়, সেই সমস্যা প্লাস্টিকের ঘাসের মাঠে হবে না। সেইসঙ্গে মাঠের নিচে থাকবে পাইপ, যেখানে আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করে গরম এবং ঠা-া হাওয়া দিয়ে মাঠকে খেলার উপযোগী করে রাখা যাবে। ফুটবলারদের কোন অসুবিধা হবে না খেলতে গিয়ে। কোবাল বলেছেন, ‘এই মাঠে বিশ্বের সেরা ফুটবলাররা আরও চিত্তাকর্ষক ফুটবল সমর্থকদের উপহার দিতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।’ রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার ফেবারিট ব্রাজিল। ইতোমধ্যেই প্রথম দল হিসেবে ২০১৮ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করেছে সেলেসাওরা। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। কিন্তু গত বিশ্বকাপ থেকেই চেনা যাচ্ছিল না তাদের। একের পর এক টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ম্যাচ জেতা এমনকি ছোট দলের বিপক্ষে পরাজয়ের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু সেই দলকে যেন একেবারেই বদলে ফেলেছেন দলটির নতুন কোচ তিতে। তিতের প্রিয় শিষ্য নেইমার তো বলেই দিলেন, তিতের দেখানো পথে হেঁটেই ২০১৮ বিশ্বকাপ জিতবে ব্রাজিল। এ বিষয়ে নেইমার বলেন, ‘তিতে আসার পর দলের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে তিনি আসার আগে দলের অভ্যন্তরীণ যে সুন্দর পরিবেশ ছিল তার উপর কোন হস্তক্ষেপ করেননি তিতে। তাই তাকে সবার এত পছন্দ। তিনি কোচ হিসেবে আমাকে অভিভূত করেছেন। এত কম সময়ে তিতে সম্পর্কে সবকিছু বলা সম্ভব নয়। ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসকে আরও এগিয়ে নিতে তিতের সান্নিধ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’
×