ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশীয় এসি উৎপাদনে সুরক্ষা কমল

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ১৩ জুন ২০১৭

দেশীয় এসি উৎপাদনে সুরক্ষা কমল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে দেশীয় এয়ারকন্ডিশন উৎপাদনে সুরক্ষা কমেছে। এ ক্ষেত্রে আমদানিকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এসির যন্ত্রপাতি আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৩৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের এমন সিদ্ধানে দেশীয় এয়ারকন্ডিশন উৎপাদন ব্যহত হবে। সামগ্রিকভাবে ঝুঁকিতে পড়তে পারে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ও ৫০ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান। প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিদেশ থেকে এয়ারকন্ডিশনের যন্ত্রপাতি আমদানির সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। যাতে এ খাতের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ মনে করছেন উৎপাদনকারীরা। তাদের মতে কোন রকম আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করেই এমন সিদ্ধান্ত এ খাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে। এ খাত সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, দেশের মাটিতেই ওয়ালটন, মাইওয়ান, মিনিস্টার, যমুনাসহ আরও কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে মানসম্মত এয়ারকন্ডিশন তৈরি করছে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে এ সেক্টরটি উঠে দাঁড়ানোর পথে। ঠিক এ সময় সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসলে এ খাত বাধা গ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয় শত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করেন তারা। খাত সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা দেয়ায় যমুনা ইলেকট্রনিক্সের মতো ৬টি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান এয়ারকন্ডিশন (এসি) শিল্পে হাজার কোটি বিনিয়োগ করেছে। যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের। এখন সুরক্ষা কমিয়ে দিলে দেশে চীন থেকে আমদানি করা নিম্নমানের ফ্রিজে বাজার সয়লাব হয়ে যাবে। দেশীয় পণ্য মার খাবে। উদ্যোক্তাদের ধারণা, অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে একটি কুচক্রী মহল টাকার বিনিময়ে রেফ্রিজারেটর আমদানির শুল্ক কমিয়েছে। এর সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এর কিছু অসৎ কর্মকর্তারা জড়িত। গুটি কয়েক মানুষের স্বার্থের জন্য একটি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায়ভার সরকারেই নিতে হবে।
×