ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যাটে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ৯ জুন ২০১৭

ভ্যাটে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জনগণ নয়, ব্যবসায়ীরা ভ্যাট ফাঁকি দেয়। যদি ব্যবসায়ীদের ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ক্যাশ রেজিস্ট্রার বা ইসিআর দেয়া যায় তাহলে ভ্যাট ফাঁকি কম বা বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন কনজ্যুমারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যে আমরা স্বস্তি চাই, সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে চাই; সমৃদ্ধি চাই না। সমৃদ্ধির জন্য যদি আমাদের ঘুম নষ্ট হয় তাহলে সেই সমৃদ্ধি আমরা চাই না। বৃহস্পতিবার বিকেলে আইডিইবি ভবনে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কার্যালয়ে ‘নতুন ভ্যাট আইনে ভোক্তাদের লাভ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গোলাম রহমান বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তেমন কোনো আর্থিক সংস্কার করেনি। আমরা সংস্কার ও উন্নয়ন চাই। সাথে সাথে আমরা চাই জীবন ধারণের ব্যয় যাতে না বাড়ে, দ্রব্যমূল্য যাতে না বাড়ে। তিনি বলেন, বাজেট প্রস্তাবনার পর ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- এ বাজেট পাস হলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি হবে, জীবন ধারণ ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা জনসাধারণ ও তাদের স্বার্থে বাজেট নিয়ে আলোচনা করবেন। বাজেটে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে একটি জনবান্ধব করনীতি জাতিকে উপহার দেবেন। নতুন ভ্যাট আইন সম্পর্কে বলেন, এনবিআর বলছে নতুন ভ্যাট আইনে জীবন ধারণের ব্যয় বাড়বে না। কিন্তু আমাদের আশঙ্কা নানা কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়বে। এ আইনে সকল পণ্যে ১৫ শতাংশ কথা বলা হয়েছে। ভ্যাট দেয় ভোক্তা, আদায় করে ব্যবসায়ী। দেখা যাচ্ছে ভ্যাট ব্যবসায়ী সংগ্রহ করলেও তা সঠিকভাবে সরকারী কোষাগারে যাচ্ছে না। এসব অসাধু ব্যবসায়ী তো একদিনে সৎ হয়ে যাবে না। যেহেতু বলা হচ্ছে সকল পণ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করবে। সে ভ্যাট কতটুকু রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাবে তাও সন্দেহ আছে। ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের আশঙ্কা। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ভ্যাট থাকবে না বলা হচ্ছে। এনবিআর ভ্যাট অব্যাহতির যে তালিকা করেছে তাতে শুকরের মাংস, খচ্চরের মাংস, গাঁধাসহ অনেকগুলো অপ্রাসঙ্গিক পণ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে সংখ্যা বেড়েছে তবে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা কমে গেছে। তালিকার যে গ্রহণযোগ্যতা তা হারিয়েছে। ভ্যাট ১৫ শতাংশ সম্পর্কে গোলাম রহমান বলেন, ১৯৯১ সালে ভ্যাট মাল্টিপল রেট ছিল। এর সুবিধা ছিল কিছু কিছু পণ্যে দাম বেশি ও কম ছিল।
×