ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে খোলাবাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৪:১২, ৪ জুন ২০১৭

সুনামগঞ্জে খোলাবাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে না

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ ॥ সারাদেশে খোলাবাজারে সরকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু সুনামগঞ্জে টিসিবির পণ্য উত্তোলন করার পরও খোলাবাজারে বিক্রয় হচ্ছে না। পণ্য পরিবহন ব্যয়কে দায়ী করছে ডিলাররা। জানা গেছে, টিসিবির পণ্য এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৪৮, মসুর ডাল প্রতি কেজি ৮৯ দশমিক ৯৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা এবং খেজুর ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও সুনামগঞ্জের ২৬ জন ডিলারের মধ্যে কেউই খোলাবাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছে না। জেলার ২৬ ডিলারের মধ্যে জগন্নাথপুরের ২ জন, দোয়ারাবাজারের ১ জন ও শাল্লার ১ জন ডিলার সদ্য মাল উত্তোলন করেছেন কিন্তু বিক্রয় করছেন না। অন্য ২২ জন ডিলার টিসিবির পণ্য উত্তোলন করেননি। তবে টিসিবি কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘বারবার তাগিদ দেয়ার পরও ডিলাররা পণ্য উত্তোলন করছেন না। অন্যদিকে ডিলাররা বলছেন, ‘টিসিবি যে পরিমাণ পণ্য দেয়, গাড়ি ভাড়া দিয়ে এ পণ্য বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হয়। আরও জানা গেছে ১৫ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ৭ জন ডিলার টিসিবির পণ্য উত্তোলন করেও বিক্রি করেননি। তারা হলেন, জগন্নাথপুরের মেসার্স পলাশ ট্রেডার্স, মেসার্স সুমন ট্রেডার্স, মেসার্স সোহেল ট্রেডার্স, শাহ্ মিয়াধন ট্রেডার্স, দোয়ারাবাজারের আমবাড়ীর দুর্গা ভা-ার ও শাল্লার শ্রীপালি ভান্ডার, মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ। আর অন্য ১৯ জন ডিলার এখনও পর্যন্ত টিসিবির পণ্য উত্তোলন করেননি। তারা হলেন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর বাজারের মেসার্স জীসপ সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের নোয়াখালী বাজারের মেসার্স সেবা টেলিকম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা বাজারের মেসার্স হাবিবুর রহমান, দোয়ারাবাজারের মেসার্স বিনয় ট্রেডার্স, একই উপজেলার বাংলাবাজারের হাজী সামছুল হক এ্যান্ড সন্স, জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের মেসার্স দি মোহাম্মদীয়া ট্রেডার্স, মধ্যনগরের মেসার্স মায়া ট্রেডার্স, বিশ্বম্ভরপুরের মেসার্স সৌখিন নির্মাণ সংস্থা ও সরবরাহকারী, দিরাই উপজেলার মেসার্স স্টার এন্টারপ্রাইজ, ছাতকের জাউয়া বাজারের মেসার্স আলী এন্টারপ্রাইজ, একই উপজেলার আলীগঞ্জ বাজারের মেসার্স হাসনাত ট্রেডার্স, ছাতকের বুড়াইরগাঁও বাজারের মেসার্স শমসের এন্টারপ্রাইজ এবং জামালগঞ্জের মেসার্স শাহরিয়া ট্রেডার্স এখনও পর্যন্ত মালামাল তুলেননি। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা বাজারের ডিলার মেসার্স হাবিবুর রহমান বলেন, ‘টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশে হচ্ছে বাজার স্থিতিশীল রাখা। কিন্তু ১ হাজার ২০০ কেজি মালামাল তুলে বাজার কিভাবে স্থিতিশীল রাখা যাবে? জেলা প্রশাসক মহোদয়ের চেষ্টায় শুনেছি সুনামগঞ্জের ডিলারদের জন্য ১ হাজার ৮০০ কেজি বরাদ্দ হয়েছে। ১ হাজার ৮০০ কেজি মালামাল টিসিবির সিলেটের আঞ্চলিক অফিস ওসমানীনগরের শেরপুর থেকে আনতে ৬ হাজার টাকা খরচ হবে। কোনভাবে মালামাল আনলেও যখন চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৮০ টাকা, ৫ লিটারের সোয়াবিন ৪২০ টাকা ও ছোলা প্রতি কেজি ৭০ টাকা ক্রেতারা পাবে, তখন দেখতে দেখতে ১ হাজার ৮০০ কেজি মাল বিক্রি হয়ে যাবে। বাজার স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্য সফল হবে না।
×