ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পিপিপি আইন কি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে পারবে?

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২৬ মে ২০১৭

পিপিপি আইন কি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে পারবে?

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিনিয়োগ করার পর অর্থ ফেরত পাওয়ার অনিশ্চয়তায় কাজে আসছে না সরকারের পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি কার্যক্রম। তাই প্রতি বাজেটে বরাদ্দ দিলেও কাজে লাগে না সেই অর্থ। তবে আশার কথা, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে পিপিপিবিষয়ক নতুন আইন করেছে সরকার। গঠন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইন কার্যকর করতে পারলে আলোর মুখ দেখবে পিপিপি। সেই সঙ্গে চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোরও সুপারিশ তাদের। অবকাঠামো উন্নয়নে বিশ্বের ১০টি দেশের একটি বাংলাদেশ। এ অবস্থান থেকে সরে এসে উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি আনতে ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথম বরাদ্দ পায় সরকারের ‘নব উদ্যোগ প্রয়াস’-পিপিপি। শুরু থেকেই এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল জনসেবায় সরকারী বিনিয়োগের সঙ্গে বেসরকারী খাতকে যুক্ত করা। সে অনুযায়ী প্রথম অর্থবছর থেকেই টানা বরাদ্দ পেয়ে আসছে পিপিপি। তবে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়নি। ব্যয় করতে না পেরে বরাদ্দ দেয়া অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে ভর্তুকি খাতে। ছিল জমি অধিগ্রহণ, প্রকল্প বাস্তবায়নসহ নানা ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। তবে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ আইন-২০১৫’ এক্ষেত্রে আশা জাগাবে বলে অভিমত অর্থনীতি বিশ্লেষকদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, ‘যে জটিলতাগুলো ছিল তা আস্তে আস্তে সমাধান হয়ে যাবে। যেহেতু পিপিপি পরিচালনার জন্য একটি আইনগত অথরিটি তৈরি হয়েছে, যার চেয়ারম্যান হবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। চুক্তির মধ্যে এটা স্বীকার করে নেয়া হয়েছে যে, প্রাইভেট সেক্টরের টোল আদায়ের অধিকার থাকবে। সুতরাং এদিক থেকেও একটা সুবিধা। পিপিপি ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদী ও অংশীদারিত্বমূলক হওয়ায় এতে জনগণের স্বার্থ যেন অক্ষুণœ থাকে সে ব্যাপারে সুষ্ঠু নজরদারির তাগিদ অর্থনীতিবিদদের। তারা বলছেন, এর আওতাধীন প্রকল্পের ব্যয় ও ব্যবস্থাপনা হতে হবে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক। সিপিডির গবেষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু পাবলিক এবং প্রাইভেট এ দুটো মিলে হচ্ছে, পাবলিক যে অংশটা এটা তো জনগণের অংশ। জনগণের পক্ষ থেকে সরকারকে ওই ভূমিকাটা পালন করতে হচ্ছে। সুতরাং লাভের বিরাষ্ট্রীয়করণ এবং ক্ষতির রাষ্ট্রীয়করণ যেন না হয়।’ সেই সঙ্গে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ বাড়ানোরও পরামর্শ তাদের।
×