ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ড. চিত্তরঞ্জন দাশ

বাল্টিক সাগার থেকে রকি মাউন্টেন

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৯ মে ২০১৭

বাল্টিক সাগার থেকে রকি মাউন্টেন

(পূর্ব প্রকাশের পর) সম্রাট দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয় ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে তাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য, ফিনল্যান্ডের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা, ও দেন দরবার করার সুযোগ সৃষ্টি করা, সম্মেলন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার কারণে এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক সংস্করণ তিনি করেন যেগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে স্বায়ত্তশাসন অর্জন করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। ফিনল্যান্ডকে রাশিয়ান সামরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করার সময় ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে এই ভাস্কর্য দ্বিতীয় নিকোলাস, অর্থাৎ তার পূর্বসূরি গ্রান্ডফাদারের জারি করা কিছু কিছু অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ এর পাদদেশে ফুল দিয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং আলেকজান্ডার যে একজন ভাল শাসক ছিলেন সে স্বীকৃতি ও তার শাসনকালে রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের সুসম্পর্কের বিষয়টাও স্মরণ করিয়ে দেয়। ফিনল্যান্ডের রাজধানী শহর হেলসিংকির অন্যতম বিখ্যাত সিনেট স্কয়ারে আলেকজান্ডারের ভাস্কর্যের পাদদেশে দাঁড়িয়ে তার সম্পর্কে অনেক কথাই বলতে ইচ্ছা করছে। তিনি নিজেই একটা ইতিহাস। একজন শাসক হিসেবে মানবকল্যাণে তিনি এমন কিছু অবদান রেখে গেছেন যে অবদানগুলো তাকে মানব ইতিহাসের অন্ত পর্যন্ত স্মরণীয় করে রাখবে। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়, মানবাধিকার রক্ষায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রাশিয়ান কৃষকদের দাস প্রথার বিলোপ। এই রিফর্মের ফলে তিনি পরিচিতি লাভ করেন অষবীধহফবৎ ঃযব খরনবৎধঃড়ৎ হিসেবে। তার অন্যান্য ক্ষেত্রে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখায় যে পদক্ষেপগুলো মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে তার মধ্যে জুডিসিয়াল সিস্টেম ঢেলে সাজানো, স্থানীয় পর্যায়ে বিচারকদের নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান এবং অপরাধীদের শারীরিক শাস্তির বিধান রহিত করা। এর পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সার্বজনীন সামরিক সেবা, অভিজাত সম্প্রদায়ের সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ব্যবস্থা তুলে দেয়াসহ উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করা ছিল আলেকজান্ডারের বিশেষ অবদান। বৈদেশিক নীতির সফল অবদান আলাক্সা আমেরিকার কাছে বিক্রি করা। কারণ হিসেবে তার ব্যাখ্যা ছিল প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত এই দ্বীপ ব্রিটিশ আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে এর বিকল্প কোন পথ রাশিয়ার কাছে ছিল না। তিনি শান্তি খুঁজতে চেয়েছিলেন ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়ানের পতনের পর ফ্রান্সের বেলিকোজ থেকে রাশিয়াকে সরিয়ে এনে ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে জার্মান এবং অস্ট্রিয়ার সঙ্গে জোট বেঁধে খবধমঁব ড়ভ ঃযব ঞযৎবব ঊসঢ়বৎড়ৎং মাধ্যমে। যার পরিপেক্ষিতে ইউরোপের পরিস্থিতি শান্ত হয়। অন্যদিকে তুরস্কের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ককাস ও সাইবেরিয়ার সীমান্ত যেমন বর্ধিত হয় তেমনি টুরকিস্থান দখল করতে সফল হন। জনপ্রিয় এই সম্রাট তার দীর্ঘ শাসনামলে (১৮৫৫-১৮৮১) গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত একাধারে রাশিয়া, পোলান্ড এবং গ্রান্ড ডিউক অব ফিনল্যান্ড ছিলেন। প্রসঙ্গক্রমে বিখ্যাত এই ব্যক্তির সম্পর্কে অনেক কথাই বলে ফেললাম। সময় সুযোগ পেলে আরও অনেক কথাই বলার ছিল। কিন্তু এই স্বল্পপরিসরে তা আর হলো না। এগিয়ে গেলাম সামনের দিকে। হেলসিংকির অন্যতম নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়। যেখান থেকে সারা পৃথিবীর ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা লাভ করে কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখছে সাফল্যের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের দ্বারা দেশটির আয়ের উৎস হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। উন্নত সকল দেশের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানের তাতে কোন সন্দেহ নেই। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি দেশ আছে যারা শিক্ষাকে পণ্য হিসেবে বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি আদায় করতে পেরেছে। আর এর বিনিময়ে তারা একদিকে যেমন দেশের প্রয়োজনে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে দেশের উন্নয়নের কাজে অবদান রাখতে পারছে তেমনি আবার বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে প্রচুর উপার্জনও করছে। দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা সবার উপরে। পরের স্থান নিঃসন্দেহে ব্রিটেন। বাকিদের মধ্যে কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার নাম উল্লেখ করা যায়। তবে এশিয়ার কোন দেশ সেই অর্থে অনেক পিছিয়ে। ভালবাসাকে কি তালাচাবি মেরে অটুট রাখা যায়! ভালবাসার আজ এমনই দৈন্যদশা যে মানুষ সে প্রচেষ্টা করতেও কসুর করছে না। এমনই একটা বিষয় জীবনে প্রথম প্রত্যক্ষ করলাম হেলসিংকি বেড়াতে এসে। আমরা সকলে মিলে সিনেট স্কয়ারের দর্শন পর্ব সাঙ্গ করে সাগর শাসন করে গড়ে তোলা সভ্যতাকে পায়ে মাড়িয়ে ধীর পদক্ষেপে দলবেঁধে এগিয়ে যেতে হঠাৎই চোখে পড়ল একটা ছোট্ট সেতুর দুই পাশের রেলিং এ হাজার হাজার তালা ঝুলছে। এত তালা ঝোলার কারণ অনুসন্ধান করতে জানা গেল ভালবাসাকে আজীবন ধরে রাখার এ এক প্রচেষ্টা। যুবক-যুবতী, এমন কি বৃদ্ধ-বৃদ্ধরা যুগলবন্দী হয়ে ভালবাসা চিরস্থায়ী করার এই পবিত্রতম স্থানে এসে মিলেমিশে সপথ নিয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় ভালবাসা অটুট রাখার, তারপর সেই ভালবাসায় তালা মেরে চাবি সাগরে ফেলে, ভালবাসার অথই সাগরে ভাসতে ভাসতে চলে যায়। মানুষের সুস্থ, স্বাভাবিক দেহ মন নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে এমন কিছু কিছু বিষয়ের এতটাই প্রয়োজন যে, সেই বিষয়ের অপ্রাপ্তিতে হাহাকার আরও বেড়ে যায়। ভালবাসা হলো তেমনই একটা বিষয় যার বড় বেশি অভাব আজ মানুষের জীবনে দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে পাশ্চত্য দেশগুলোতে এর প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তাই তো একে ফিরে পাওয়ার, এই ভালবাসাকে আঁকড়ে ধরে থাকার এ এক ব্যর্থ প্রচেষ্টা মাত্র। তাদের মধ্যেই আবার ভালবাসার ঘাটতি সর্বজনবিদিত। এই যখন ভালবাসার হাল তখন সে ভালবাসার দুয়ার আর কত খোলা রাখা যায়! দেখাই যাক তালা মেরে যদি ধরে রাখা যায়। ইতস্তত এদিক-ওদিক ঘুরতে-ফিরতে হাজির হলাম টংঢ়বহংশর ঈধঃযবফৎধষ এ প্রবেশের রাস্তায়। এ রাস্তাটা মোটেও আড়াআড়ি অল্প হেঁটে স্বল্পসময়ে যাওয়ার রাস্তা নয়। বেশ কিছু দালান-কোঠা হাতের ডানে রেখে বাম দিকের নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলীতে ভরপুর হারবার, যার মাঝে দোদুল্যমান বিলাসবহুল স্পিড বোটগুলোর হালকা বাতাসে ঢেউয়ের তাল বেতালের নাচন দেখতে দেখতে এগিয়ে যাওয়া। পরিবেশটা সত্যিই মনোরম। এমন মনোরম পরিবেশ উপেক্ষা করে চলাও সহজ কথা নয়, আর যখন ঘুরতে বেরিয়েছি তখন তো নয়ই। বসে পড়লাম বাঁধানো জেটির উঁচু দেয়ালের ওপর। আমার সঙ্গে বাকিরা যোগ দিতে এতটুকুও বিলম্ব করল না। মুহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দী করতে পালা করে পোজ দেয়া, নিজের চেহারাটাকে কত সুন্দর করে উপস্থাপন করা যায় সে প্রচেষ্টা চলল কিছুটা সময় ধরে। সময়টাকে পস দিয়ে রাখার যদি কোন ব্যবস্থা থাকত তবে কিছু সময়ের জন্য সেই কাজটি করতে পারলে কি যে খুশি হতাম। তা যখন করার কোন উপায় বিজ্ঞানীরা এখনও আবিষ্কার করতে পারেনি তাই উঠেই পড়তে হলো। আপহিলে লম্বা স্লোপিংয়ের রাস্তা মাড়িয়ে ক্যাথিড্রালের আঙ্গিনায় গিয়ে হাজির হতেই চোখে পড়ল উম্মুক্ত প্রসস্ত হেলসিংকি হারবারের আরও এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। জলরাশি, সবুজ বৃক্ষরাজি দ্বারা আচ্ছাদিত দ্বীপমালা, উঁচু-নিচু বাড়িঘর, দিগন্ত বিস্তৃত নীল সাদায় ঢাকা আকাশ, সেই সঙ্গে রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিবস সব মিলিয়েই এক অপূর্ব দৃশ্য। এমন সব দৃশ্য বহু দেশে বহু স্থানে ভ্রমণপিপাসুদের পিপাসা মিটাতে কি অবদানই না রেখে চলেছে। আর একদল মানুষ পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে এদেশ-সেদেশ। নিরন্তর এই পথ চলার নেই কোন শেষ নেই কোন বাধা। যার যেখানে মন চাইছে সে সেখানে ছুটে যাচ্ছে সমৃদ্ধ করছে অভিজ্ঞতার ভা-ার, প্রশান্তি নিয়ে ফিরে যাচ্ছে আপন ভুবনে। রাশিয়ান আর্কিটেকট অষবীবু গধশংরসড়ারপয এড়ৎহড়ংঃধবা এই ক্যাথিড্রালের নক্সাকার এবং তার মৃত্যুর পর ১৮৬২-১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণকাজ শেষ হয়। পূর্ব ইউরোপের অর্থোডক্স খ্রীস্টানদের জন্য নির্মিত এই ক্যাথিড্রালের নাম করণ করা হয় স্যালাভোনিক শব্দ ঁংঢ়বহরব নামানুসারে যার অর্থ ভারজিন মা মেরিকে উৎসর্গ করা স্বর্গীয় বার্তা। ঢ়বহরহংঁষধ-এর সব থেকে উচ্চ পাহাড়ের ওপর ক্যাথিড্রালের অবস্থান, যার পেছনের দিকে রাশিয়ার সম্রাট দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের স্মরণীয় ফলক উন্মোচিত হয় তারই শাসন আমলে। তিনি তখন সার্বভৌম ফিনল্যান্ডের যখন এর নির্মাণকাজ চলতে থাকে। পাশ্চাত্য ইউরোপের সব থেকে বড় অর্থোডক্স চার্চ হিসেবে এর সুখ্যাতি সর্বত্র। বিনা প্রবেশ মূল্যে এই চার্চের দর্শন লাভ করা যায় তবে শীতের সময় প্রতি সোমবার এর দরজা খোলা হয় না। দর্শন ভাগ্যের দিক থেকেও ভাগ্যবানদের সংখ্যাটাও নিতান্ত কম নয়। প্রতিবছর পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ্য দর্শনার্থীর পদচারণায় এর আঙ্গিনা মুখরিত থাকে। মানুষের লোভ লালসার কোন অন্ত নেই। সেই লোভ লালসা থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও বাদ যায় না। এই ক্যাথিড্রালের মধ্যে বহু মূল্যবান আইকন ছিল যার মধ্যে ঝধরহঃ ঘরপযড়ষধং (১৫ গধৎপয ২৭০Ñ৬ উবপবসনবৎ ৩৪৩) যাকে ঘরশড়ষধড়ং ঃযব ডড়হফবৎড়িৎশবৎ ও বলা হতো তার উপর আরোপিত অলৌকিক ধর্মীয় অনুযাচনার কারণে। তার এই দুর্লভ আইকনটি প্রকাশ্য দিবালোকে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট শত শত পর্যটকদের উপস্থিতিতে চুরি হয়ে যায়। আসলে এই আইকনটি অর্থোডক্স ক্যাথিড্রালের ঠুনড়ৎম-এর দান যা কিনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হেলসিংকিতে স্থান্তরিত করা হয়। বর্তমান ফিনল্যান্ডসহ সর্বত্র এর অনুসন্ধান চলছে। টকটকে লাল ইটের তৈরি পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থিত অপূর্ব সুন্দর এই ক্যাথিড্রালের চুড়ায় নান্দনিক সৈন্দয্য ম-িত তেরোটি পেঁয়াজের আকৃতির সবুজ রঙের ডোম শোভা পাচ্ছে। এই ডোমগুলো বহুদূর থেকে দৃশ্যমান। তেমনিভাবে এর আঙ্গিনা থেকে দৃশ্যমান শহরের নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও পেনিনস্যুলার অপূর্ব সুন্দর মনভোলানো দৃশ্যাবলী। ক্যাথিড্রালের বাহ্যিক বিবরণ দিতে দিতেই অনেকটা সময় কেটে গেল। আসলে কিছু কিছু স্থাপনা সারা বিশ্বব্যাপী এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে যার দর্শন লাভে একজন পর্যটক হিসেবে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে এত কিছুর অবতারণা। কিছুটা বিস্মিত হলাম এর ভেতরে ঢুকে। বাইরে থেকে যে বিষয়টা অনুমান করার কোন সুযোগ ছিল না। ভেতরের কারুকার্যখচিত ডেকোরেশন যে কোন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য। কম বেশি সব চার্চের ভেতরের কাজগুলোকে অনন্য সাধারণ করার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এর কাজটা অতুলনীয়, সব বিতর্কের উর্ধে উঠে এই স্বীকৃতি দেয়া যেতে পারে। বিশেষ করে এই চার্চের অভ্যন্তরের অর্থোডক্স ডেকোরেশন এবং সংরক্ষিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ আইকনকে পাশ কাটিয়ে সবার আগে, যার প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেটা হল, চিত্তাকর্ষক ঝুলে থাকা বিশাল আকৃতির অলঙ্কৃত বাতির ঝাড়। এ এক অনিন্দ সুন্দর ক্যালারফুল ঝাড় বাতি। প্রায় একশত ফুট উঁচু চার্চের ওপরের সিলিং থেকে মোটা লোহার রডের সাহার্যে প্রকা- এই বাতি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। প্রথমে এই বাতি দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে, এটা ঝাড় বাতি। চার্চের এক দেয়াল থেকে অন্য দেয়াল পর্যন্ত বিস্তৃত অপূর্ব কারুকার্যখচিত এই বাতি দেখলেই প্রথমেই চোখে ভ্রম লাগবে, মনে হতে পারে এটা পেছনের দেয়ালেই একটা ডেকোরেশন। সেই ভ্রম অবশ্য সহজেই কেটে যাবে, চোখের সামনে ভেসে উঠবে আসল চেহারায় স্বরচিত একখানি কাব্য। তবে রাতের বেলায় আলোকিত এই কাব্যখানি দেখার আকাক্সক্ষা অধরা রয়েই গেল। চলবে...
×