স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে স্বপ্নপূরণ হলো মোনাকোর। সর্বশেষ ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ফরাসী লীগ ওয়ানের শিরোপা জিতেছিল দলটি। এরপর কেটে গেছে ১৬ বছর। ট্রফি ছোঁয়া হয়নি। অবশেষে ১৭ বছর পর শিরোপা জয়ের উল্লাস করেছে মোনাকো।
বুধবার রাতে সেইন্ট এটিয়েনেকে ২-০ গোলে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করেছে মোনাকো। দলটির শিরোপা জয়ে বড় অবদান ৩১ বছর বয়সী অধিনায়ক রাদামেল ফ্যালকাও ও ১৮ বছরের তরুণ কেইলিয়ান এমবাপে। এবারের লীগে মোনাকোর সর্বোচ্চ গোলদাতা কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ফ্যালকাও করেছেন ২১ গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের পাশাপাশি লীগেও আলো ছড়িয়েছেন এমবাপে। লীগে ফরাসী এই ফরোয়ার্ড করেছেন ১৫ গোল। ৩৭ ম্যাচে মোনাকোর পয়েন্ট ৯২, রানার্সআপ পিএসজির ৮৬। লীগের বাকি আর এক রাউন্ড। শেষ ম্যাচ তাই হারলেও কোন সমস্যা নেই মোনাকোর। এর মধ্যদিয়ে ২০১২-১৩ মৌসুম থেকে টানা ফ্রেঞ্চ লীগের শিরোপা জিতে রেকর্ড গড়া প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইনের আধিপত্য ভাঙ্গতে সক্ষম হলো লিওনার্ডো জারডিমের দল। ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত টানা সাতটি শিরোপা জিতেছিল লিঁও। তাদের পিছনে থেকে সবচেয়ে বেশি সময় লীগ ওয়ানের শিরোপা ধরে রাখার কৃতিত্ব দেখিয়েছে পিএসজি। ড্র করলেই যেখানে লীগ শিরোপা নিশ্চিত। এমন ম্যাচ দারুণ জয়ই তুলে নিয়েছে মোনকো। কেইলিয়ান এমবাপের লীগে ১৫তম গোলে ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় মোনাকো। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভালেরে জার্মেইন।
১৯৯৯-২০০০ মৌসুমের পরে এটি মোনাকোর প্রথম লীগ শিরোপা ও সবমিলিয়ে অষ্টম। জারডিমের শিষ্যদের জন্য এবারের মৌসুমটা ছিল অনেকটা রূপকথার মতোই। শুধু ফ্রেঞ্চ লীগের শিরোপাই নয় চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলে একমাত্র ফরাসী দল হিসেবে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। চলতি মৌসুমে লীগে ২১ গোল করা ফ্যালকাওয়ের নেতৃত্বে মোনাকো কোপা ডি লা লিগার ফাইনাল ও কোপা ডি ফ্রান্সের সেমিফাইনালও নিশ্চিত করেছে। দু’টি টুর্নামেন্টেই তাদের প্রতিপক্ষ চির প্রতিদ্বন্দ্বী পিএসজি।
ট্রফি জিতে উচ্ছ্বসিত মোনাকো অধিনায়ক ফ্যালকাও। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, অবশেষে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমি গর্বিত আমার দলকে নিয়ে, খেলোয়াড়দের নিয়ে। এটা আমাদের স্বপ্নছিল যা পূরণ হয়েছে। আমি খুব খুশি। আরেক তারকা এমবাপে বলেন, খুব ভাল লাগছে। আমাদের পরিশ্রম সফল হয়েছে। পিএসজি ও নাইসকে পেছনে ফেলে শিরোপা জেতা সহজ ছিল না। ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।