ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ

জয় পেল আবাহনী, মোহামেডান ও দোলেশ্বর

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৩ মে ২০১৭

জয় পেল আবাহনী, মোহামেডান ও দোলেশ্বর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের ষষ্ঠ রাউন্ডে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। মঙ্গলবার কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ৬ উইকেটে আবাহনী, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৫১ রানে মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে দোলেশ্বর। আবাহনী শুভাগত হোম, মোহামেডান তাইজুল ইসলাম ও দোলেশ্বর দেলোয়ার হোসেনের বোলিংয়ে জেতার ভিত গড়েছে। দিনটিতে যেন বোলারদেরই জয় জয়কার হয়েছে। বিকেএসপি চার নম্বর মাঠে টস জিতে আবাহনী। আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। কলাবাগান আগে ব্যাট করার সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি। শুভাগত হোমের (৪/১৯) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৫.৫ ওভারে ১৫৬ রান করতেই গুটিয়ে যায় কলাবাগান। তুষার ইমরান সর্বোচ্চ ৩৬ রান করতে পারেন। জবাব দিতে নেমে ৩০.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান করে জিতে যায় আবাহনী। সাইফ হাসান ৬১ রান করেন। মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৩০ রান। এই ম্যাচে জয় পাওয়ায় পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে উঠে যায় আবাহনী। ৬ খেলায় ৪ জয় ও ২ হারে ৮ পয়েন্ট পায় দলটি। বিকেএসপি তিন নম্বর মাঠে রূপগঞ্জকে লজ্জাই দেয় মোহামেডান। নিজেরা আগে বিপাকে পড়ে রূপগঞ্জকেও বিপাকে ফেলে হারিয়ে দেয় মোহামেডান। টস জিতে রূপগঞ্জ আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। সঠিক সিদ্ধান্তই নেয়। তার প্রমাণও মোহামেডানের ইনিংস শেষে বোঝা যায়। ৩৯.৪ ওভারে ১৩৫ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় মোহামেডান। আসিফ হাসানের (৪/১৯) বোলিং তোপে পড়েই মোহামেডানের এই অবস্থা হয়। রকিবুল হাসান সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন। রূপগঞ্জ জিতবে। এমনই ভাবা হয়। কিন্তু মোহামেডান অবাক করে। ডিক দুর্দান্ত বোলিং করেন তাইজুল ইসলাম (৬/২৪)। তার স্পিন ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়ে যায় রূপগঞ্জ। ৩২.৪ ওভারে ৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি। মোশাররফ হোসেন রুবেল সর্বোচ্চ ২২ রান করেন। এই জয়ে মোহামেডান পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে উঠে যায়। ৬ খেলায় ৪ ম্যাচ জয়ে ৮ পয়েন্ট পায় মোহামেডান। রূপগঞ্জ সাত নম্বরে নেমে যায়। ফতুল্লায় প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে ধরাশায়ী হয় প্রাইম ব্যাংক। আগে ব্যাট করে প্রাইম ব্যাংক ৪৯.৫ ওভারে ১৮০ রান করতেই গুটিয়ে যায়। ৩ উইকেট করে নেয়া দেলোয়ার হোসেন ও ফরহাদ রেজার বোলিংয়েই এমন দশা হয় প্রাইম ব্যাংকের। জাকির হাসান সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন। জবাব দিতে নেমে ৪৫.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে জিতে যায় দোলেশ্বর। শাহরিয়ার নাফীস অপরাজিত ৭৮ রান করেন। মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। জয়টি পেয়ে ৬ খেলায় ৪ জয় পেয়ে দোলেশ্বর ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচ নম্বরে আছে। প্রাইম ব্যাংক দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে। জিতলে প্রথম স্থানে যেতে পারত প্রাইম ব্যাংক। কিন্তু দোলেশ্বরের বিপক্ষে জিততে পারেনি। স্কোর ॥ কলাবাগান ইনিংস ১৫৬/১০; ৪৫.৫ ওভার (তুষার ৩৬, মাসাকাদজা ৩১; শুভাগত ৪/১৯, মনন ২/৩০)। আবাহনী ইনিংস ১৬১/৪; ৩০.২ ওভার (সাইফ ৬১, মিঠুন ৩০*, শান্ত ২৪; আবুল ২/২০)। ফল ॥ আবাহনী ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ শুভাগত হোম (আবাহনী)। মোহামেডান ইনিংস ১৩৫/১০; ৩৯.৪ ওভার (রকিবুল ২৪, শামসুর ২৩, মিলন ২০; আসিফ ৪/১৯, শরীফ ২/১৫)। রূপগঞ্জ ইনিংস ৮৪/১০; ৩২.৪ ওভার (মোশাররফ ২২, নাঈম ১৫, ইয়াসির ১৪; তাইজুল ৬/২৪, সাজেদুল ২/৩)। ফল ॥ মোহামেডান ৫১ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ তাইজুল ইসলাম (মোহামেডান)। প্রাইম ব্যাংক ইনিংস ১৮০/১০; ৪৯.৫ ওভার (জাকির ৫২, আসিফ ৩৩, আরিফুল ৩০; দেলোয়ার ৩/১৭, ফরহাদ ৩/৩০)। দোলেশ্বর ইনিংস ১৮১/৩; ৪৫.২ ওভার (শাহরিয়ার ৭৮*, মার্শাল ৬২; আল আমিন ২/২৬)। ফল ॥ দোলেশ্বর ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ দেলোয়ার হোসেন (প্রাইম দোলেশ্বর)।
×