ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক সামান্য বাড়লেও কমেছে লেনদেন। আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমার পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ০১ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গত সপ্তাহে ২ হাজার ৮৮৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ৩ হাজার ৪৩২ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার। সেই হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৫৪৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ১৬.০১ শতাংশ। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহ ছিল লভ্যাংশ ও সর্বশেষ প্রান্তিক প্রকাশের সপ্তাহ। তাই বিনিয়োগকাীরাও নজর রাখছিল কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর। দরবৃদ্ধির শীর্ষ ও লেনদেনেরও কোম্পানিগুলোর ভাল-মন্দ প্রভাব ফেলেছে। লভ্যাংশ ঘোষণা আগের তুলনায় কমে যাওয়া কোম্পানির দর কমেছে এবং আর্থিক প্রতিবেদন ভাল কোম্পাানিগুলোর লেনদেন বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে দরও। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে দশমিক ৯৬ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৮৮ শতাংশ। আগের কয়েক সপ্তাহের টাকা পতনের পর চলতি সপ্তাহ শুরু হয় পতন দিয়ে দিয়ে। তবে একদিন পরই সূচকের উত্থানে ফিরে আসে বাজার। ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে দশমিক ২৩ শতাংশ বা ১২.৭৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৭৭ শতাংশ বা ১৫.৭২ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে দশমিক ১৩ শতাংশ বা ১.৭০ পয়েন্টে। এদিকে ডিএসইতে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট। বিশ্লেষকদের মতে, পিই রেশিও যতদিন ১৫ এর ঘরে থাকে ততদিন বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে। সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৮.৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৬.৩ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬.৯ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২১.১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২৫.৩ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতে ১২.৯ পয়েন্টে, সাধারণ বীমা খাতে ১৩ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৫.৭ পয়েন্টে। এছাড়া পাট খাতের পিই রেশিও মাইনাস ১৭.৮ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩০.৯ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতে ২২.৪ পয়েন্ট, কাগজ খাতের মাইনাস ৮১.৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৮ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৯.৪ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৮.৮ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৯.৪ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২৮ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩০.১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৭২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার। এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১৮৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার। তবে সার্বিক সূচক বেড়েছে দশমিক ৩৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৭৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।
×