ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকলার কর্মচারী নাট্যোৎসবে প্রাঙ্গণেমোরের ‘আওরঙ্গজেব’

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

শিল্পকলার কর্মচারী নাট্যোৎসবে প্রাঙ্গণেমোরের ‘আওরঙ্গজেব’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কর্মচারী নাট্য উৎসবে আগামী ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে প্রাঙ্গণেমোরের ‘আওরঙ্গজেব’। ওইদিন শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। ‘আওরঙ্গজেব’ নাটকটি রচনা করেছেন মোহিত চট্টোপাধ্যায়। নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন অনন্ত হিরা, নূনা আফরোজ, রামিজ রাজু, ইউসুফ পলাশ, সরোয়ার সৈকত, মাইনুল তাওহীদ, শুভেচ্ছা, রিগ্যান রতœ, সাগর, বিপ্লব প্রমুখ। নাটকটির মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন ফয়েজ জহির, সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন রামিজ রাজু ও পোষাক নূনা আফরোজ।নাটকের কাহিনীতে দেখা যায় ভারতবর্ষে মুঘল রিয়াস্তে ছিলো তৈমুরলঙ্গ আর চেঙ্গিস খাঁর রক্ত, সেই তৈমুর বংশের প্রথা ছিলো মসনদে প্রত্যেক শাহাজাদার সমান অধিকার, যার তলোয়ার যত দীর্ঘ, যত ধাঁরালো, যত সফল ততই মসনদে তার অধিকার। এটাই চলেছে মুঘল রিয়াসতে যুগের পর যুগ। সম্রাট হুমায়ূন তার ভাই কামরান, আশকরী, হিন্দালের বিরুদ্ধে লড়াই করে তখ্ত দখল করেছিলো। শাহেনশাহ আকবর পর্যন্ত মির্জা মুহম্মদ হাকিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেছিলো। বাদশা জাহাঙ্গীর নিজের আব্বাজানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলো। বাদশা শাহজাহান আপন ভাই খসরু শাহ্রিয়ারের রক্তপাত ঘটিয়ে মসনদ দখল করেছিলো। কিন্তু সেই শাহজাহানই শেষ বয়সে নিজ পুত্র আওরঙ্গজেবের হাতে বন্দি জীবন কাটান। আওরঙ্গজেব একজন ধর্মপ্রাণ সুন্নি মুসলমান হয়েও নিজ পিতাকে বন্দি করে মসনদ দখল করেন এবং মসনদের অন্য দাবীদার আপন ভাই দারা, মুরাদ আর সুজাকে একে একে হত্যা করেন। মসনদ আর রাষ্ট্র ক্ষমতার লড়াই তো যুগে যুগে একই বৃত্তে ঘুরতে থাকে। মৃত্যুর পূর্বে নব্বই বছর বয়সে বৃদ্ধ আওরঙ্গজেবের উপলদ্ধি হয় ‘পবিত্র কুরআন বুকে নিয়েও কেউ যদি হৃদয়হীন হয় তাহলে তার ক্ষমা নেই, কারণ আল্লাহ্ এবং পবিত্র কোরআন কাউকে জল্লাদ হতে বলে না’। যুগে যুগে দেশে দেশে মসনদ বা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার, ধর্মের নামে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা বা যে কোনো অমানবিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক তীব্র প্রতিবাদের নাম ‘আওরঙ্গজেব’। নাটকে রামিজ রাজু অনন্ত হিরা, নূনা আফরোজসহ প্রায় সবার অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। নাটকটি বাংলাদেশের নাট্য অঙ্গনে অন্যতম একটি প্রযোজনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
×