ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চক্ষু মেলিয়া ॥ নিয়ামত হোসেন

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

চক্ষু মেলিয়া ॥ নিয়ামত হোসেন

ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ছক্কা মারলেই ডিম সেদ্ধ! কিছুদিন আগে ভারতের মুম্বাই এলাকার জওহর তানুকে এক অদ্ভুত তথা চমৎকার আনন্দদায়ক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। টুর্নামেন্টটি সে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এই খেলার ব্যাপারে বিশেষ নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছিল। যে দল চ্যাম্পিয়ন হবে, তাদের দেয়া হবে একটি ছাগল। যে দল রানার্সআপ হবে, তারা পাবে পাঁচটা মোরগ। যে ব্যাটসম্যান ছক্কা মারবেন তাকে দেয়া হবে একটি সেদ্ধ ডিম। আর ছক্কার বল যদি কোন দর্শক ধরতে পারেন তাহলে তিনিও পাবেন একটি সেদ্ধ ডিম। ওই এলাকার রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে সাধারণত যে সব ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয় তাতে বিজয়ী দল পেত সে দেশের ৫০ হাজার বা এক লাখ টাকা। এই টাকা নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হয় বলে এবার টাকার বদলে ছাগল, মোরগ আর সেদ্ধ ডিমের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। টুর্নামেন্টটি সে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলে। চৌদ্দটি দল এতে সানন্দে অংশ নেয়। মহা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শুরু হয় টুর্নামেন্ট। তারপর এলাকায় বসে ফাইনালের আসর। সুন্দরভাবে হয়ে যায় নির্ধারিত ফাইনাল । পরিশেষে নিয়মমতো তথা ঘোষণামতো ছাগল, মোরগ, ডিম ইত্যাদি বণ্টনও করা হয়। বিষয়টি সে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলে দেয়। এককালে এ দেশেও হাডুডু, কুস্তি বা এ ধরনের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীকে ছাগল, খাসি বা এ ধরনের পুরস্কারও যে দেয়া হতো তেমন কথাও শোনা যায়। গ্রামে-গঞ্জে এ ধরনের প্রতিযোগিতা হলে তাতে ছাগল, মুরগি যা পাওয়া যায় সেটাই হতো লোভনীয় বস্তু। কারণ এসব দিয়ে হতো বনভোজন তথা পিকনিক এবং তাতে হতো ভূরিভোজন। গ্রামে বা কোন পাড়ায় এ ধরনের হাঁস-মুরগি বা ছাগল দিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়ত এখনও কোন কোন এলাকায় হয়। এর মধ্যে শুধু আনন্দ, আর কিছু নয়। এখন যে কোন প্রতিযোগিতা মানেই টাকাÑ কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এতে যেমন অগণিত লোকের আনন্দ, তেমন মুরগি, ছাগল পুরস্কার দেয়ার প্রতিযোগিতাও যারা আয়োজন করেন তাদের জন্য নিশ্চয়ই সেটাও কম আনন্দের নয়! এসব ক্ষেত্রে আনন্দই মূল কথা। চুল তার কবেকার... রাশিয়ার মেয়ে আলিয়া। তিনি এখন দীর্ঘ ঘন কেশদামের অধিকারিণী। খবরে জানা গেছে, তার মাথার কেশদাম যেমন লম্বা, তেমনি ঘন। চুলের দৈর্ঘ্য নব্বই ইঞ্চি এবং ওজন দুই কেজি। আলিয়া মাথায় চুল রাখতে শুরু করেন পাঁচ বছর বয়সে। রূপকথার এক মেয়ে এ ব্যাপারে তার প্রেরণা। সে মেয়েরও লম্বা চুল। যাই হোক, আলিয়ার চুল খানিকটা বড় হলে একদিন চুলে আটকে যায় চুইংগাম। সেটাকে ছাড়ানো কষ্টকর হওয়ায় তিনি তখন ন্যাড়া হয়ে যান। তারপর থেকে শুরু হয় তার চুল রাখা, পরিচর্যা। মাঝে অনেক দিন পার হয়ে গেছে। আলিয়া এখন স্বামীর সঙ্গে থাকেন লাটভিয়ায়। তিনি একা একা লম্বা চুল সামলাতে পারেন না। এ ব্যাপারে তিনি সার্বিক সহযোগিতা পান তার স্বামীর কাছ থেকে। ফলে চুল সামলাতে এখন তাকে হিমশিম খেতে হয় না। মাথায় নব্বই ইঞ্চি লম্বা বিশাল এক গোছা কেশদাম, চুলগুলো ওজনে দু-এক ছটাক হলেও সাধারণ বলা যেত। এ যে দুই কেজি ওজনের চুল! চলাফেরা, ওঠা-নামা সর্বক্ষণ সমস্যা হওয়ারই কথা। খোঁপা করলে মাথায় হয়ে যাবে বিশাল একটা হাঁড়ি বা কলসি রাখার মতো বিশাল এক বিঁড়ে, যেটা তার বালিশের কাজ করতে পারে! চুলের জন্য আলিয়ার নাম গিনেস বুকে উঠেছে কিনা জানা যায়নি। তবে তার বিচিত্র এই শখের খবর যে দেশ-বিদেশের মানুষ জেনেছে এটাই বা কম কিসের! এ ব্যাপারে শুধু এটুকুই বলা যায়, তার চুল ‘কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’ না হলেও বিদেশিনী এই নারী এই ক্ষেত্রে বহু বিদেশিনীর প্রেরণা হয়ে উঠতে পারেন, সেটাই বা কম কিসের!
×