ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়র কে হবেন!

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ৪ এপ্রিল ২০১৭

বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়র কে হবেন!

সাম্প্রতিক সময়ে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স টেকনোলজি আইসিটি জগতে বহুল আলোচিত একটি বিষয়। মানুষ নিজস্ব বুদ্ধির আলোকে যে কোন কাজ বা সমস্যার সমাধান করে থাকে, সেসব কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে করার বিজ্ঞানকে সাধারণত আর্টিফিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলা হয়। কয়েক বছর ধরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সে। যেমন, আধুনিক তরুণ প্রজন্মের বেশিরভাগই স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো বিশেষ ধরনের সেন্সরের মাধ্যমে মানুষের বলা কথা চিনতে পারে। ইমেজ রিকগনিশন টেকনোলজি ব্যবহার করে এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন কিউই কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। চালকবিহীন গাড়ি এবং স্বয়ংক্রিয় উড়ে চলা ড্র্রোনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু লার্নিং ও মেমোরি টাস্ক সম্পন্ন হয়, যেখানে যন্ত্র মানুষের চেয়ে ভাল কাজ করছে। আমেরিকান ধনকুবের, টিভি আলোচক ও লেখক মার্ক কুবন সম্প্রতি একটি টিভিশোতে বলেছেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রযুক্তির যে কোন একজন উদ্যোক্তা হবেন প্রথম ‘ট্রিলিয়নর’। মার্ক কুবনের এমন বক্তব্যের পর নড়েচড়ে বসেছেন অনেকেই, কারণ, ‘মিলিয়নিওর’-এর চৌকাঠ ডিঙিয়ে এতদিন মানুষের অর্থভাণ্ডার ‘বিলিয়নিয়র’ অবধি এসে আটকে গিয়েছিল। আলোচনাটা আরও জমে উঠার কারণ, সম্প্রতি রিসার্চ ফার্ম ‘অক্সফাম’ এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। তাতে দেখা গিয়েছে, ২৫ বছর পর বিল গেটস-ই হতে চলেছেন বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়র। ২০০৯ সালের সমীক্ষা বলছে, পৃথিবীতে বিলিয়নিয়রের সংখ্যা ৭৯৩। তাঁদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২.৪ ট্রিলিয়ন বা ২৪০০০০ কোটি ডলার। ২০১৬-তে এই পরিমাণটা বেড়ে হয়েছে ৫ ট্রিলিয়ন বা ৫ লাখ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রতিবছর ১১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে লাভের অঙ্ক। ‘অক্সফাম’ জানাচ্ছে, এই হারে এগোতে থাকলে ২৫ বছরের মধ্যে ট্রিলিয়নিয়রের তকমাটি নিজের পকেটে পুরবেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা। দুটো মিলিয়ে শার্কসে করা মার্ক কুবনের রয়েছে ভিন্ন যুক্তি। তিনি আরও বলেছেন, ‘ইতোমধ্যেই রোবট ও কম্পিউটারের কাজের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে কাজ হারাচ্ছে মানুষ, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে কাজ করলে বাড়ছে উৎপাদন। বাড়ছে কাজের গতি, কাজ হচ্ছে নিখুঁতভাবে। ‘মার্ক কুবন তার ধারণার কারণ হিসেবে ভাল সিজিপিএ’র চেয়ে প্রতিষ্ঠানের ভাল হিসারক্ষক দরকার। যা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের পক্ষে সম্ভব। শেষ তিন দশকের চেয়ে ভবিষ্যতের এক দশকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাত্রা অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করেন কুবন, তাই উদ্যোক্তারা যদি এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যে কোন বিলিয়নিয়র হতে পারেন প্রথম ট্রিলিয়নর। -ডিপ্রজন্ম ডেস্ক
×