ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার জারি

ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তার জন্য ৯ শতাংশ সুদে ঋণ

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৪ এপ্রিল ২০১৭

ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তার জন্য ৯ শতাংশ সুদে ঋণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতের নারী উদ্যোক্তার জন্য প্রদত্ত পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণের সুদ হার কমিয়ে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন এই সুদ হার ছিল ১০ শতাংশ। সোমবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ। সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদনশীল শিল্প খাতে নারী উদ্যোক্তাকে অধিকহারে উৎসাহিত করতে বিদ্যমান ঋণ বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে তহবিলের সর্বোচ্চ সুদহার পুনর্নির্ধারণ করা হলো। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত ‘স্মল এন্টারপ্রাইজ খাতে পুনঃঅর্থায়ণ স্কিম’, কৃষিজাতপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য মফস্বলভিত্তিক শিল্প স্থাপনে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম এবং কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতে নতুন উদ্যোক্তা পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় নারীরা ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই তহবিল তিনটি থেকে অর্থ নিয়ে নারী উদ্যোক্তার মধ্যে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুদহার ৯ শতাংশে সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নারীকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক রেট + ৪ শতাংশ সুদ নেয়া যাবে। আগে ছিল ব্যাংক রেট + ৫ শতাংশ সুদ। বর্তমানে ব্যাংক রেট ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ওই তহবিলের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ৯ শতাংশ নারী উদ্যোক্তার মাঝে বিতরণ করতে হবে। নয় মাসে রেমিটেন্স কমেছে ১৭ শতাংশ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিটেন্স এসেছে ৯১৯ কোটি মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮৬ কোটি ডলার বা ১৭ শতাংশ কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে মোট রেমিটেন্স এসেছে ৯১৯ কোটি মার্কিন ডলার। অথচ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে রেমিটেন্স আসে ১১০৬ কোটি মার্কিন ডলার। এদিকে একক মাস হিসেবে চলতি বছরের মার্চ মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে রেমিটেন্স এসেছে ১০৮ কোটি ডলার। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। তবে এর পরিমাণ ২০১৬ সালের মার্চ মাসের তুলনায় কম। গত বছর মার্চ মাসে রেমিটেন্স প্রবাহের পরিমাণ ছিল ১২৮ কোটি ডলার। দেখা যাচ্ছে গত কয়েক মাস ধরেই রেমিটেন্স প্রবাহে নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলের পরিবর্তে অবৈধ চ্যানেল বেছে নিচ্ছেন। এর ফলে একদিকে অব্যাহতভাবে কমছে প্রবাসী আয়। অন্যদিকে বাড়ছে মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা। তার মতে অবৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর কারণে রেমিটেন্স কমেছে।
×